For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

ভুলেও কখনও কান্না চাপা উচিত নয়! কারণ কেন জানেন?

বিজ্ঞান বলে হাঁচি চাপলে নাকি শরীরের বারোটা বেজে যায়। কিন্তু কান্না চাপা উচিত নয় কেন? আসলে বন্ধু কান্নাও কিন্তু নানাভাবে আমাদের শরীরের উপকারে লেগে থাকে, তাই তো চোখের জলকে বইতে দেওয়াই ভাল।

|

বিজ্ঞান বলে হাঁচি চাপলে নাকি শরীরের বারোটা বেজে যায়। কিন্তু কান্না চাপা উচিত নয় কেন? আসলে বন্ধু কান্নাও কিন্তু নানাভাবে আমাদের শরীরের উপকারে লেগে থাকে, তাই তো চোখের জলকে বইতে দেওয়াই ভাল, বরং আটকালে বিপদ!

বলেন কী কান্নার সঙ্গে শরীরের ভাল-মন্দের যোগ রয়েছে? একেবারেই! একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে আমরা যখনই কাঁদি, তখন শরীরের অন্দরে এমন কিছু পরিবর্তন হতে শুরু করে যে তার প্রভাবে একাধিক রোগ তো দূরে পালাই, সেই সঙ্গে চোখের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটতেও সময় লাগে না। তবে এখানেই শেষ নয়, বেশ কিছু স্টাডি অনুসারে প্রতিদিন আমাদের চোখ থেকে কম-বেশি ১০ আউন্স জল বেরোয়, যা নানাভাবে শরীরের উপকারে লেগে থাকে, যেমন ধরুন...

১. যন্ত্রণা কমে:

১. যন্ত্রণা কমে:

একেবারে ঠিক শুনেছেন বন্ধু! যে কোনও ধরনের শারীরিক যন্ত্রণা বা কষ্ট কমাতে কান্নার কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। আসলে কান্নাকাটি করার সময় আমাদের শরীরের অন্দরে অক্সিটসিন এবং এন্ডোজেনাস অপিওডিস নামক দুটি হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়, যার প্রভাবে যে কানও ধরনের যন্ত্রণা কমে যেতে যেমন সময় লাগে না, তেমনি মন-মেজাজও চাঙ্গা হয়ে ওঠে। এবার বুঝেছেন নিশ্চয় চোট পাওয়া মাত্র বাচ্চাদের চোখে থেকে জল কেন বেরিয়ে আসে...!

২. নবাজাতকদের ফুসফুসের ক্ষমতা বাড়ে:

২. নবাজাতকদের ফুসফুসের ক্ষমতা বাড়ে:

বাচ্চা জন্ম নেওয়ার পর তাদের জোর করে কাঁদানো হয় কেন জানা আছে? আসলে মায়ের পেটে থাকাকালীন বাচ্চার শরীরে অক্সিজেনের প্রবেশ ঘটে আম্বিলিকাল কর্ডের মাধ্যমে। কিন্তু জন্ম নেওয়ার পরে যে নিজেকেই শ্বাস নিতে হবে। আর ঠিক এই কারণেই প্রসবের পর পরই কাঁদাটা মাস্ট। কারণ কাঁদের সময় প্রচুর প্ররিমাণে অক্সিজেন বাচ্চার ফুসফুসে পৌঁছে যায়। ফলে লাং নিজে থেকেই ধীরে ধীরে কাজ করা শুরু করে দেয়। ফলে বাচ্চার শরীরে অক্সিজেন প্রবেশ করতে আর কোনও সমস্যাই হয় না।

৩. ঘুম বেশ ভাল রকম হয়:

৩. ঘুম বেশ ভাল রকম হয়:

একেবারেই ঠিক শুনেছেন বন্ধু, ঘুমের সঙ্গেও কিন্তু কান্নার যোগ রয়েছে। ২০১৫ সালে হওয়া একটি গবেষণায় দেখা গেছে কাঁদার সময় আমাদের শরীরের অন্দরে এমন কিছু হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়, যার প্রভাবে ঘুম আসতে একেবারেই সময় লাগে না। তাই খেয়াল করে দেখবেন যেদিন আপনি কান্নাকাটি করেন, সেদিন কিন্তু ঘুমটা বেশ দারুন হয়।

৪. নেজাল প্যাসেজ জমে থাকা ময়লা বেরিয়ে যায়:

৪. নেজাল প্যাসেজ জমে থাকা ময়লা বেরিয়ে যায়:

খেয়াল করে দেখবেন কাঁদার সময় আপনা থেকেই নাক থেকে জল বেরিয়ে আসে। আবার কান্না যখন থেকে যায়, সেই সঙ্গে নাক থেকে জল পরাও বন্ধু হয়ে যায়। এই যে কান্নার সময় দ্রুত গতিতে নেজল প্যাসেজ থেকে জল বেরিয়ে আসে, এই কারণে নাকের অন্দরে জমে থাকা ময়লা এবং ক্ষতিকর উপাদানেরাও শরীরের বাইরে বেরিয়ে আসতে বাধ্য ফলে। ফলে একাধিক রোগ ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। তাই তো বলি বন্ধু, মন যখন কাঁদতে চাইবে, তখন ভুলেও কিন্তু চোখের জলকে আটকাতে যাবেন না যেন!

৫. মনের চঞ্চলতা দূর হয়:

৫. মনের চঞ্চলতা দূর হয়:

ইয়েল ইউনিভার্সিটির গবেষকদের করা এক পরীক্ষায় দেখা গেছে কাঁদার সময় আমাদের মনের চঞ্চলতা কমে যেতে শুরু করে। ফলে সুখ হোক কী দুঃখ, যে কারণেই চোখে জল আসুক না কেন, মনের স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে কোনও কষ্টই হয় না। তাই তো কান্নার পর আমাদের এতটা হলকা লাগে। মনে হয় বুকে আটকে থাকা একটা বড় আকারের পাথর যেন নেমে গেল।

৬.শরীর বিষ মুক্ত হয়:

৬.শরীর বিষ মুক্ত হয়:

নানাভাবে, নানা কারণে সারা দিন ধরে আমাদের রক্তে ক্ষতিকর টক্সিক উপাদান মিশতে থাকে। এইসব ক্ষতিকর উপাদানগুলিকে যদি দেহ থেকে বার না করে দেওয়া যায়, তাহলে শরীরের উপর মারাত্নক কুপ্রভাব পরে। আর একাধিক গবেষণায় বিশেষজ্ঞরা লক্ষ করেছেন কাঁদার সময় শরীরে উপস্থিত এইসব টক্সিক উপাদান চোখের জলের সঙ্গে বেরিয়ে যায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই কোনও ধরনের শারীরিক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে না।

৭. বাচ্চাদের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে:

৭. বাচ্চাদের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে:

জন্ম নেওয়ার পরই নবজাতকের কান্না তার শরীরের উন্নতিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আসলে প্রথম কান্নার সময়ই বাচ্চার শরীরে অক্সিজেন প্রবেশ করতে শুরু করে। সেই সঙ্গে লাং ধীরে ধীরে অক্সিজেন গ্রহণ করার পরিস্থিতিতে আসে। ফলে শ্বাস-প্রশ্বাস প্রক্রিয়া স্বাভাবিকভাবে শুরু হতে সময় লাগে না।

৮. ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ারা মারা পরে:

৮. ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ারা মারা পরে:

২০১১ সালে ফুড মাইক্রোবায়োলজি জার্নালে প্রকাশিত এক রিপোর্ট অনুসারে কাঁদার সময় চোখের জলের সঙ্গে লাইসোজাইম নামে একটি রাসায়নিকও শরীর থেকে বেরিয়ে আসে। এই উপাদানটি ৫-১০ মিনিটের মধ্যে আমাদের শরীরে উপস্থিত প্রায় ৯০-৯৫ শতাংশ জীবাণুদের মেরে ফেলে। ফলে সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়।

৯. স্ট্রেসের মাত্রা কমে:

৯. স্ট্রেসের মাত্রা কমে:

বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে কান্নার সময় আমাদের শরীর থেকে টক্সিক উপাদান বেরিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণও কমে যেতে থাকে। যে কারণে মানসিক চাপ বা মনের দুঃখ কমে যায়। প্রসঙ্গত, বর্তমান সময়ে যে যে রোগের কারণে সবথেকে বেশি সংখ্যক মানুষের মৃত্যু ঘঠছে সারা দুনিয়ার তার বেশিরভাগের সঙ্গেই স্ট্রেসের সরাসরি যোগ রয়েছে। তাই সে দিক থেকে বলতে গেলে স্ট্রেস কমিয়ে আমাদের আয়ু বৃদ্ধিতে পরোক্ষভাবে কান্নার অবদানকে অস্বীকার করা সম্ভব নয়।

১০. দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটে:

১০. দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটে:

কান্নাকাটি করার সময় ল্যাক্রিমাল গ্ল্যান্ড থেকে বেরতে থাকা জল, চোখের অন্দরে জমে থাকা ময়লা বার করে দেয়। সেই সঙ্গে আইবল এবং আইলিডকে এত মাত্রায় লুব্রিকেট করে দেয় যে দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটতে শুরু করে। প্রসঙ্গত, আরেকভাবে কান্নার সময় আমাদের চোখের উপকার হয়ে থাকে। সেটা কিভাবে? চোখের জল, চোখের অন্দরে থাকা একাধিক মিউকাস মেমব্রেনকে তরতাজা করে দেয়। ফলে দৃষ্টিশক্তির বেড়ে যেতে একেবারে সময়ই লাগে না।

১১. শরীর চাঙ্গা হয়ে ওঠে:

১১. শরীর চাঙ্গা হয়ে ওঠে:

একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে কান্নার সময় "প্যারাসিমপ্যাথেটিক নার্ভ সিস্টেম" অ্যাকটিভেট হয়ে যায়। আর এমনটা হওয়ার কারণে সমস্ত ধরনের ব্যথা, যন্ত্রণা এবং শারীরিক কষ্ট কমে যেতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই শরীর একেবারে চাঙ্গা হয়ে ওঠে। আসলে মনের কষ্টে চোখের পাতা যখন জলে ভরে যায়, তখন আমাদের কারও পক্ষেই শরীরের এই ছোট ছোট পরিবর্তনগুলি খেয়াল করা সম্ভব হয় ওঠে না। কিন্তু বাস্তবে কিন্তু এমনটা হয়ে থাকে।

১২. হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে:

১২. হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে:

কাঁদার সময় আমাদের মস্তিষ্কের অন্দরে প্যারাসিমপ্যাথেটিক নার্ভাস সিস্টেম অ্যাকটিভেট হয়ে যায়। যে কারণে ধীরে ধীরে হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটতে শুরু করে। সেই সঙ্গে শরীর ও মন শান্ত হয়।

Read more about: শরীর রোগ
English summary

Crying As An Adult Provides 12 Incredible Health Benefits

we generally associate tears with sadness, doom, and gloom, a lot of times a good cry is exactly what we need to feel better and think about your problems more clearly.And this isn’t just a placebo effect, it has actually been proven that crying makes us feel better!That’s not all—there are plenty of ways that tears help our bodies and minds without us even realizing.So if you’ve been holding in the tears, go ahead and let them out, then check below to learn all of the benefits a good cry has for our body and mind.
Story first published: Friday, October 5, 2018, 15:26 [IST]
X
Desktop Bottom Promotion