Just In
- 32 min ago মসুর ডাল খেতে ভালোবাসেন? কিন্তু অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
- 1 hr ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
- 2 hrs ago সূর্যগ্রহণের সময় ঘটবে মা দুর্গার আগমন, তবে কি গ্রহণকালে পড়বে মায়ের পূজায় বাধা?
- 16 hrs ago ত্বকের জেল্লা ফেরাতে ম্যাজিকের মত কাজ করবে চালের জল, কীভাবে দেখুন
Don't Miss
বাচ্চাদের প্রতিদিন মাছ খাওয়া জরুরি কেন জানেন?
বাচ্চাদের মাছা না খাওয়ালে কী ক্ষতি হতে পারে? সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত বাচ্চাদের মাছ খাওয়ানোর অভ্যাস করলে তাদের ব্রেন পাওয়ার মারাত্মক বেড়ে যায়।
বাঙালি বাচ্চাদের মধ্যে মাছ খাওয়ার প্রতি অনীহা দেখা না গেলেও আজকাল অনেকে বাবা-মাই কাঁটার ভয়ে বা অন্য কোনও কারণ বাচ্চাদের মাছ খাওয়াচে চান না। কিন্তু এমনটা করা যে একেবারেই উচিত নয়, তা কি জানেন?
কেন, বাচ্চাদের মাছা না খাওয়ালে কী ক্ষতি হতে পারে? সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত বাচ্চাদের মাছ খাওয়ানোর অভ্যাস করলে তাদের ব্রেন পাওয়ার মারাত্মক বেড়ে যায়। ফলে "আই কিউ" এত বাড়তে থাকে যে পড়াশোনায় ভাল ফল করতে কোনও বাঁধাই পেতে হয় না। প্রসঙ্গত, জার্নাল সায়েন্টেফিক রিপোর্ট পত্রিকায় প্রকাশিত এই গবেষণাটি চলাকীলন গবেষকরা প্রায় ৫০০ জন ছাত্র-ছাত্রীর ডায়েট পরীক্ষা করে দেখেছিলেন, যাদের বয়স ছিল ৯-১১ বছরের মধ্যে। এমনটা করতে গিয়ে তারা লক্ষ করেছিলেন যারা অন্তত একদিনও মাছ খায়, তাদের শরীরে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের পরিমাণ এত মাত্রায় বেড়ে যায় যে বুদ্ধির ধার বাড়তে সময় লাগে না।
এই গবেষণাটিতে আরেকটি বিষয়ও উঠে এসেছে। কী সেই বিষয়? দেখা গেছে যাদের ডায়েটে প্রায় প্রতিদিনই মাছ থাকে, তাদের ইনসমনিয়া বা অনিদ্রার মতো সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা একেবারে থাকে না। তাই যাদের রাতে ঠিক মতো ঘুম হয় না, তারা নিয়ম করে মাছ খাওয়া শুরু করতে পারেন কিন্তু! এমনটা করলে যে দারুন উপকার পাবেন, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
প্রসঙ্গত, মাছ ছাড়াও আমাদের চারপাশে এমন আরও অনেক খাবার রয়েছে, যা রোজের ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করলে বাচ্চাদের স্মৃতিশক্তি এবং বুদ্ধি দুইই বাড়ে। যেমন ধরুন...
১. বাদাম:
মাছের মতো এই প্রকৃতিক উপদানটির মধ্য়েও ঠেসে ঠেসে ভরা রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। আর যেমনটা আপনাদের নিশ্চয় জানা আছে যে এই উপাদানটি কগনিটিভ ফাংশনের উন্নতিতে কতটা ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই আপনার বাচ্চার বুদ্ধির বিকাশে আজ থেকেই বাদামকে কাজে লাগাতে শুরু করে দিন।
২. পেঁপে বীজ:
একেবারে ঠিক শুনেছেন! ব্রেন পাওয়ার বাড়াতে বাস্তবিকই পেঁপে পাতার বীজ বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আসলে এর মধ্যে থাকা জিঙ্ক এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৩. জাম:
সুস্বাদু এই ফলটি যদি নিয়মিত বাচ্চাদের খাওয়াতে পারেন, তাহলে তারা পরীক্ষায় যে আর কোনও দিন খারাপ ফল করবে না, সে কথা হলফ করে বলতে পারি। কারণ জামের অন্দের উপস্থিত একাদিক পুষ্টিকর উপাদান স্মৃতিশক্তি এবং আই কিউ বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে ফলটির অন্দরে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ব্রেন সেলেদের কর্মক্ষমতা এতটা বাড়িয়ে দেয় যে কোনও ধরনের ব্রেন ডিজিজে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়।
৪. সবুজ শাক-সবজি:
নিয়মিত যদি এমন ধরনের খাবার খাওয়া যায়, তাহলে শরীরে আয়রন, ভিটামিন ই, কে, বি৯ এবং ফলেটের মাত্রা বাড়তে শুরু করে। এই উপাদানগুলি শরীরকে যেমন রোগমুক্ত রাখে, তেমনি মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধিতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই আপনার বাচ্চাকে যদি পড়াশোনায় তুখর বানাতে চান, তাহলে তাকে সবুজ-শাক সবজি খাওয়াতে ভুলবেন না যেন!
৫. টমাটো:
এই সবজিটির মধ্যে রয়েছে লাইকোপেন নামক একটি উপাদান, যা ব্রেন সেলের উপর বয়সের ছাপ পরতে দেয় না। সেই সঙ্গে নার্ভাস সিস্টেমের কর্মক্ষমতা এত মাত্রায় বাড়িয়ে দেয় যে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা কমে যাওয়ার কোনও সম্ভাবনাই থাকে না। প্রসঙ্গত, রান্নায় দিয়ে টামটো খেলে যতটা না উপকার পাওয়া যায়, তার থেকে অনেক বেশি উপকার মেলে কাঁচা অবস্থায় খেলে।
৬. নারকেল তেল:
এই প্রাকৃতিক উপাদানটি দুভাবে মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে। একদিকে এই তেলটির অন্দরে থাকা একাধিক পুষ্টিকর উপাদান ব্রেন নিউরনদের কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। অন্যদিকে মস্তিষ্কের অন্দরে জমতে থাকা টক্সিক উপাদানদের শরীর থেকে বের করে দেয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ব্রেন পাওয়ার এতটা বেড়ে যায় য়ে স্মৃতিশক্তি এবং বৃদ্ধির ধারও বাড়তে শুরু করে।
৭. হলুদ:
আয়ুর্বেদ শাস্ত্রের উপর লেখা ৩০০০ বছর আগেকার বেশ কিছু বইয়ে এমনটা উল্লেখ পাওয়া যায় যে হলুদের অন্দরে উপস্থিত অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান মস্তিষ্কের অন্দরে প্রদাহ কমায়। ফলে ব্রেন সেল ড্যামেজের আশঙ্কা কমে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ব্রেন পাওয়ার কমে যাওয়ার সম্ভাবনাও হ্রাস পায়।