For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

নিয়মিত লেবু, আপেল, আম এবং গাজর একসঙ্গে খেলে কি হতে পারে জানেন?

একাধিক সমীক্ষা বলছে রোজের দৌড়ঝাঁপের মাঝে আমরা আমাদের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের খেয়াল রাখতে ভুলে যাই।

|

একাধিক সমীক্ষা বলছে রোজের দৌড়ঝাঁপের মাঝে আমরা আমাদের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের খেয়াল রাখতে ভুলে যাই। ফলে যা হওয়ার তাই হয়, একদিকে আয়ু কমতে থাকে, অন্যদিকে বাড়তে থাকে নানা রোগ ভোগের আশঙ্কা। সম্প্রতি একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে গত এক দশকে আমাদের দেশে মাত্রাতিরিক্ত হারে বৃদ্ধি পয়েছে লিভারের অসুখ। এমন পরিস্থিতির পিছনে দায়ি রয়েছে অনেক কারণ, তবে মূল কারণ ওবেসিটি। আসলে শরীরে মেদ জমতে থাকলে ধীরে ধীরে লিভারের কর্মক্ষমতাকে কমে যায়। ফলে শরীরে উপস্থিত বিষ বা টক্সিক উপাদান ঠিকমতো বেরতে পারে না, সেই সঙ্গে রক্তে শর্করার মাত্রাও বাড়তে শুরু করে। শুধু তাই নয়, হেমোস্টেসিসও ঠিক মতো না হওয়ার কারণে শরীর ধীরে ধীরে ভাঙতে শুরু করছে। সেই সঙ্গে সঙ্গী হয় একাধিক মারণ রোগ। তাই তো লিভারের কর্মক্ষমতা ঠিক আছে কিনা, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আর একাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারে লেবু, আপেল, আম এবং গাজর।

প্রসঙ্গত, ওজন কমানোর পাশাপাশি লিভারের কর্মক্ষমতা বাড়তে উপরে আলোচিত খাবারগুলির পাশাপাশি এই প্রবন্ধে আলোচিত প্রকৃতিক উপাদনগুলিও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই লিভারকে চাঙ্গা রাখার মধ্যে দিয়ে যদি দীর্ঘ দিন বাঁচতে চান, তাহলে এই প্রবন্ধে আলোচিত খাবারগুলিগুলি নিয়মিত খেতে ভুলবেন না যেন! বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে এই খাবারগুলি রোজের ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করলে লিভার খারাপ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রায় থাকে না বললেই চলে। সেই সঙ্গে সার্বিকভাবে শরীরের কর্মক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়।

কী কী খাবারকে লিভার বান্ধব বলা থেকে পারে?

১. ব্রকলি:

১. ব্রকলি:

এই সবজিটির অন্দরে উপস্থিত আইসোথিয়োসায়ানেট নামক উপাদান দেহের অন্দরে প্রদাহের মাত্রা কমানোর পাশাপাশি লিভারের কর্মক্ষমতা বাড়াতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রসঙ্গত, ইলিনোস ইউনিভার্সিটির গবেষকদের করা এক পরীক্ষায় দেখা গেছে "নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার"এর মতো রোগকে দূরে রাখতে ব্রকলির কেনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। তাই লিভারকে যদি সুস্থ রাখতে হয়, তাহলে সপ্তাহে ৩ দিন ব্রকলি খেতে ভুলবেন না যেন!

২. কাঁচা আম:

২. কাঁচা আম:

বেশ কিছু গবেষণায় দেখে গাছে শরীরকে ডিটক্সিফাই করতে কাঁচা আমের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। শুধু তাই নয়, লিভার এবং গল ব্লাডারের কর্মক্ষমতা বাড়াতেও এই ফলটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৩. মৌসম্বি লেবু:

৩. মৌসম্বি লেবু:

সাইট্রাস ফল হওয়ার কারণে প্রতিদিন যদি একটা করে মৌসম্বি লেবু খাওয়া যায়, তাহলে শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সহ একাধিক পুষ্টিকর উপাদানের মাত্রা বৃদ্ধি পায়, যা লিভারের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটানোর পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তশালী করতে, হজম ক্ষমতার উন্নতিতে, ব্লাড সুগারকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং ওজন হ্রাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রসঙ্গত, বেশ কিছু কেস স্টাডি করাকালীন চিকিৎসকেরা লক্ষ করেছিলেন প্রতিদিন ব্রেকফাস্টে যদি এক গ্লাস করে মৌসম্বির রস খাওয়া যায় তাহলে শরীরে টক্সিনের মাত্রা চোখে পরার মতো কমে যায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই রোগমুক্ত জীবনের পথ প্রশস্ত হয়।

৪. রসুন:

৪. রসুন:

বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত সকালবেলা, খালি পেটে এক কোয়া করে রসুন খাওয়া শুরু করলে লিভারের অন্দরে উপস্থিত টক্সিক উপাদানদের বেরিয়ে যেতে শুরু করে। ফলে লিভারের কর্মক্ষমতা বাড়তে সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, এই প্রকৃতিক উপাদানটির অন্দরে উপস্থিত অ্যালিসিন নামক এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৫. পাতি লেবু:

৫. পাতি লেবু:

মৌসম্বির মতো লেবুও একটি সাইট্রাস ফল, যাতে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং বায়োফ্লেবোনাইডস। এই উপাদানগুলি লিভারকে পরিষ্কার করার পাশাপাশি শরীরের অন্দরে যাতে অক্সিডাইজ ড্য়ামেজ বেশি মাত্রা না হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখে। ফলে লিভারের কর্মক্ষমতা বাড়তে শুরু করে।

৬. গাজর:

৬. গাজর:

ক্যারোটিনয়েড নামে একটি অতি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে গাজরের শরীরে, যা দেহের ইতিউতি ঘুরে বেরানো ফ্রি রেডিকাল বা টক্সিক উপাদনদের কোনও অঙ্গের ধারে কাছে যেতে দেয় না। ফলে স্বাভাবিকভাবেই শুধু লিভার নয়, কোনও অরগ্যানেরই ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে না।

৭. বিট:

৭. বিট:

শরীরে উপস্থিত ক্ষতিকারক কার্সিনোজেনের কারণে অনেক সময়ই লিভার মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। ফলে নানাবিধ লিভারের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা যায় বেড়ে। এমনটা আপনার সঙ্গেও ঘটুক, তা যদি না চান, তাহলে নিয়মিত বিটের রস খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন উপকার মিলবে। আসলে বিটের অন্দরে উপস্থিত বিটালেনস নামক একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, দেহের অন্দরে জমতে থাকা ক্ষতিকর উপাদানদের বের করে দেয়। ফলে লিভারের কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়।

৮. আপেল:

৮. আপেল:

কথাতেই আছে ,"প্রতিদিন যদি একটা করে আপেল খাওয়া যায়, তাহলে কোনও দিন চিকিৎসকের মুখ দেখতে হয় না।" কথাটা কোনও অংশে ভুল নয়। আসলে আপেলে উপস্থিত একাধিক পুষ্টিকর উপাদান লিভারের অন্দরে যাতে কোনও ক্ষত সৃষ্টি না হয়, সেদিকে নজর রাখার পাশাপাশি সার্বিকবাবে শরীরের প্রতিটি অঙ্গের কর্মক্ষমতা বাড়তেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। ফলে ছোট-বড় কোনও রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না।

Read more about: রোগ শরীর
English summary

একাধিক সমীক্ষা বলছে রোজের দৌড়ঝাঁপের মাঝে আমরা আমাদের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের খেয়াল রাখতে ভুলে যাই। ফলে যা হওয়ার তাই হয়, একদিকে আয়ু কমতে থাকে, অন্যদিকে বাড়তে থাকে নানা রোগ ভোগের আশঙ্কা।

Your liver is one of the most crucial glands and the second largest organ in your body. It functions non-stop – this 1.4 kg organ helps in detoxification, carb metabolism, protein synthesis, production of biochemicals required for digestion, glycogen storage, bile production, hormone secretion, and red blood cell decomposition.
Story first published: Thursday, March 15, 2018, 17:07 [IST]
X
Desktop Bottom Promotion