Just In
- 2 hrs ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
- 3 hrs ago আপনার কি ক্রমাগত কান চুলকাচ্ছেন? অজান্তেই ডেকে আনচ্ছেন বড় বিপদ
- 7 hrs ago মসুর ডাল খেতে ভালোবাসেন? কিন্তু অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
- 8 hrs ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
ওজন কমাতে কাজে লাগাতে পারেন অ্যাকুপ্রেশার পদ্ধতিকে!
নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে শরীরের বিশেষ অংশে চাপ দিলে তা প্রভাবিত করবে শরীরের অতিরিক্ত ওজনকে। ফলে ঝরতে শুরু করবে দেহে জমে থাকা অতিরিক্ত মেদ।
ব্যাথা নিবারণে নতুন এক চিকিৎসার দিশা দেখিয়েছে অ্যাকুপ্রেশার। যে কোনও ধরনের যন্ত্রণাকে সারাতে শরীরের বিশেষ কিছু স্থানে বাইরে থেকে ছাপ দিয়ে এই চিকিৎসা করা হয়। মূলত স্নায়ুর উপরে এই চিকিৎসা প্রয়োগ করা হয়। কপাল, হাত, পা সহ শরীরের বিভিন্ন অংশে প্রেশার প্রয়োগ করা হয়। এর ফলে বমি বমিভাব, বমি বন্ধ করা, মাথা যন্ত্রণা, কোমর ব্যাথা, পেট ব্যাথা সহ আরও বহু রকমের সমস্যা ঠিক হয়ে যায়। সবথেকে বড় কথা, এই চিকিৎসা পদ্ধতি পুরোপুরি বিজ্ঞান দ্বারা স্বীকৃত। তবে লিস্ট এখানেই শেষ নয়। সবথেকে বড় কথা এই চিকিৎসা পদ্ধতির মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে আনা যায় অতিরিক্ত ওজনকেও। বর্তমানে ঘরে ঘরে অতিরিক্ত ওজনের সমস্যা মহামারীর রূপ ধারণ করেছে। তাই ব্যায়াম বা জিমের মতো দরকারি হয়ে উঠেছে অ্যাকুপ্রেশার চিকিৎসা পদ্ধতি। অ্যাকুপ্রেশার চিকিৎসার মাধ্যমে ওজন কমাতে হলে বেশ কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করতে হয়। যেমন-
ওজন
কমাতে
হলে
কিভাবে
অ্যাকুপ্রেশার
করবেন?
নির্দিষ্ট
পদ্ধতিতে
শরীরের
বিশেষ
অংশে
চাপ
দিলে
তা
প্রভাবিত
করবে
শরীরের
অতিরিক্ত
ওজনকে।
ফলে
ঝরতে
শুরু
করবে
দেহে
জমে
থাকা
অতিরিক্ত
মেদ।
তা
শরীরের
কোথায়
কোথায়
জমে
থাকলে
এমন
ফল
মিলবে?
চলুন
উত্তর
খোঁজার
চেষ্টা
চালানো
যাক।
কান
গাল এবং কানের সংযোগস্থলে কানের যে উঁচু অংশটি আছে, সেখানে বুড়ো আঙ্গুল দিয়ে চাপ দিন। এবার উপর নীচ করুন। এটি করার সময় আপনি বুঝতে পারবেন কোথায় সবথেকে বেশি নড়াচড়া হচ্ছে। যে জায়গাটিতে সবথেকে বেশি নড়াচড়া হচ্ছে, সেখানে এবার চাপ দিতে থাকুন। এতে আপনার খিদে নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং এতে ওজনও অনেকটা নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।
পেট
পেটের এই অংশটি নাভির ঠিক তিন সেন্টিমিটার নিচে অবস্থিত। পেটের এই অংশটি অ্যাবডমিনাল পয়েন্ট নামে পরিচিত। এই পয়েন্টটির ওপর দুটি আঙ্গুল দিয়ে উপর নীচ করে এক মিনিট ধরে মালিশ করতে হবে। আবার এই পয়েন্টে আঙ্গুল দিয়ে চাপ দিতে হবে। এতে হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হবে। দিনে দুবার এই পদ্ধতি অনুসরণ করলেই দেখবেন ওজন কমতে শুরু করবে।
অ্যাবডমিনাল সরো পয়েন্ট
বুকের খাঁচার একদম শেষের হাড়ের নিচে এই পয়েন্টটি থাকে। এই জায়গায় প্রেশার দিলে ঘা, হজমের সমস্যা এবং বুকের খাঁচায় কোনও যন্ত্রণা থাকলে তা দূর হবে। সেই সঙ্গে খিদে নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই মুখ চালাতে ভাজাভুজি জাতীয় খাবার খাওয়ার প্রয়োজন পরবে না। ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে। প্রসঙ্গত, অ্যাকুপ্রেশার করতে হলে এই পয়েন্টে ৫ মিনিট চাপ দিতে হবে। তাহলেই ধীরে ধীরে ওজন কমতে থাকবে।
কনুই
কনুইয়ের ভিতর দিকে একটি অংশ থাকে, যা অ্যাকুপ্রেশারের ভাষায় ইন্টেস্টাইন পয়েন্ট নামে পরিচিত। এই পয়েন্টটি পেটের কাজ সঠিকভাবে বজায় রাখতে সাহায্য করে। এই পয়েন্টটি মূলত বৃহদন্ত্রের সঙ্গে সম্পর্কিত। এই অংশে বুড়ো আঙ্গুল দিয়ে চাপ দিতে হবে। প্রতিদিন এক মিনিট করে এটি করলে ওজন ব্যাপকহারে কমতে থাকবে। এছাড়াও এটি নিয়মিত করলে দেহের অতিরিক্ত ওজন কমবে।
হাঁটু
হাঁটুর থেকে ঠিক দুই ইঞ্চি নিচে বিশেষ একটা পয়েন্টটি রয়েছে। সেখানে অ্যাকুপ্রেশার চিকিৎসা করলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়। শুধু তাই নয়, এই পয়েন্টে তর্জনী দ্বারা এক মিনিট ধরে চাপ দিলে এটি পেটের কাজকে সঠিক রাখতে সাহায্য করে এবং হজম প্রক্রিয়ার উন্নতি ঘটায়। এক মিনিট এটি করার পর পা ওপর নিচ করুন। এমনটা করলে দেখবেন মাংসপেশি নড়াচড়া করছে। যে অংশটি নড়াচড়া করছে, সেটিই হল আসল পয়েন্ট। এবার এই অংশটিতে ২ মিনিট ধরে চাপ দিন।
পায়ের গোছ
এই পয়েন্টটি হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। পায়ের গোছের ঠিক ২ ইঞ্চি ওপরে মূল পয়েন্টটি অবস্থিত। এখানে পায়ের ভেতরের দিকের অংশটিই হল আসল পয়েন্ট। নির্দিষ্ট স্থানে আঙ্গুল দিয়ে নিয়মিত চাপ দিলে হজম শক্তি বাড়বে। ফলে কমতে থাকবে ওজনও। প্রসঙ্গত, এই পয়েন্টটিতে কম করে ১ মিনিট ধরে চাপ দিতে হবে। এমনটা নিয়মিত করলে ওজন কমতে দেখবেন একেবারে সময় লাগবে না।