Just In
- 12 hrs ago রোদে বের হলেই মাথা যন্ত্রণা কাবু করে? মাইগ্রেন নয় তো!
- 12 hrs ago শুধু ফ্যাশন নয়, প্রখর রোদ থেকে বাঁচতে পরুন সানগ্লাস!
- 15 hrs ago অসহ্য গরমে সর্দি-কাশিতে ভুগছেন? এই ঘরোয়া প্রতিকারগুলি ট্রাই করুন
- 18 hrs ago কর্মক্ষেত্রে সমস্যা মকরের, ব্যাবসায় আর্থিক লাভ মীনের, কেমন যাবে আজকের দিন? দেখুন রাশিফল
আমলকি খাওয়া কি সত্যিই শরীরের পক্ষে ভাল?
হার্টকে সুস্থ রাখতে চান? উত্তর যদি হ্যাঁ হয়, তাহলে রোজ একটা করে আমলকি খাওয়া মাস্ট!
এমন ধরণা অনেকের মধ্যেই আছে যে নিয়মিত আমলকি খেলে শরীরের উপকার হয় ঠিকই, কিন্তু সেই সঙ্গে কিছু ক্ষতিও হয়ে থাকে। বাস্তিবকই কি এমনটা হয়ে থাকে, নাকি পুরোটাই ভুল ধারণা?
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে রোজের ডায়েটে আমলকির অন্তর্ভুক্তি ঘঠালে শরীরে পুষ্টির ঘাটতি দূর হয়। সেই সঙ্গে একাধিক জটিল রোগও দূরে থাকে। শুধু তাই নয়, আমলকির শরীরে উপস্থিত ভিটামিন সি সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচায়ই, সেই সঙ্গে স্কিনের সৌন্দর্য বাড়ানোর পাশাপাশি ক্যান্সারের মতো মারণ রোগকে দূরে রাখতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তবে এখানেই শেষ নয়, আমলকির আরও অনেক উপকারিতা আছে। যেমন...
১. সংক্রমণের আশঙ্কা কমে:
ভিটামিন সি হল সেই ব্রহ্মাস্ত্র, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধক ব্যবস্থাকে এতটাই মজবুত করে দেয় যে কোনও জীবাণুই সেই দেওয়াল ভেদ করে শরীরের অন্দরে প্রবেশ করতে পারে না। ফলে সংক্রমণের আশঙ্কা যেমন কমে, তেমনি ওয়েদার চেঞ্জের সময় সর্দি-কাশির ভয়ও দূর হয়। আর একথা নিশ্চয় এতক্ষণে জেনে গেছেন যে আমলকি হল ভিটামিন সি সমৃদ্ধ। তাই এই ফলটি যদি নিয়মিত কাঁচা অবস্থায় অথবা শুকিয়ে খেতে পারেন, তাহলে শরীর বাবাজিকে নিয়ে যে আর চিন্তায় থাকতে হবে না, সে কথা হলফ করে বলতে পারি।
২. বাজে কোলেস্টরলের মাত্রা কমে:
হার্টকে সুস্থ রাখতে চান? উত্তর যদি হ্যাঁ হয়, তাহলে রোজ একটা করে আমলকি খাওয়া মাস্ট! কারণ এতে উপস্থিত একাধিক শক্তিশালী উপাদান, হার্টের আর্টারিকে আক্রমণ করা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই হার্টের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা কমে। সেই সঙ্গে হঠাৎ হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনাও আর থাকে না।
৩.ক্যান্সার রোগকে দূরে রাখে:
পরিসংখ্যান বলছে যত দিন যাচ্ছে, তত যেন ক্যান্সার আমাদের ছায়া হয়ে উঠছে। মানে মানুষ যেখানে, সেখানেই এই রোগ নিজের থাবা বসাচ্ছে। তাই তো আগামী ৩-৪ বছরে আমাদের দেশে প্রতি বছর নতুন করে এই মারণ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১৭ লক্ষে এসে পৌঁছাবে বলে মনে করছেন চিকিৎসকেরা। এমন অবস্থায় আপনার বিশ্বস্ত সেনাপতি হয়ে উঠতে পারে আমলকি। কারণ এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা শরীরে উপস্থিত ক্ষতিকর উপাদানদের বার করে দিয়ে ক্যান্সার সেলের জন্ম যাতে না হয় সেদিকে খেয়াল রাখে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই সুস্থ জীবনের পথ প্রশস্ত হয়।
৪.ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ায়:
আমলিতে এমন কিছু খনিজ এবং উপাকারি ভিটামিন আছে, যা শরীরে প্রবেশ করা মাত্র ত্বকের অন্দরে জলের ঘাটতি দূর করে, সেই সঙ্গে পুষ্টির চাহিদাও মেটাও। ফলে ধীরে ধীরে ত্বক উজ্জ্বল এবং প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। প্রসঙ্গত, আমলকি শুকিয়ে তা দিয়ে বনানো পাউডারের সঙ্গে পরিমাণ মতো দই এবং মধু মিশিয়ে একটা পেস্ট বানিয়ে যদি মুখে লাগাতে পারেন, তাহলে একথা হলফ করে বলতে পারি যে খাতায় কলমে আপনার বয়স বাড়লেও ত্বকের বয়স ভুলেও বাড়ার সাহস পাবে না।
৫. হজমে উন্নতি ঘটায়:
দেখুন বাঙালি হয়ে জন্মেছি যখন, তখন একটু পেটুক তো হবই। আর সে কারণে গ্যাস-অম্বল যে রোজের সঙ্গী হবে, তা আর নতুন কথা কী! তাই তো কব্জি ডুবিয়ে মুড়ি ঘন্ট, মাছের কালিয়া আর পাঁঠার কারি খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমলকিও যদি খেতে পারেন, তাহলে বদহজম নিয়ে আর চিন্তায় থাকতে হবে না। কারণ এই ফলটিতে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ফাইবার, যা হজম ক্ষমতার উন্নতিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই কোনও ধরনের পেটের রোগ ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না।
৬.শরীরের বয়স কমে:
আমলকিতে উপস্থিত একাধিক অ্যান্টি-এজিং প্রপাটিজ শরীরের উপর বয়সের চাপ পরতেই দেয় না। ফলে বয়সের কাঁটা পাঁচের ঘর পেরলেও তার আঁচে শরীরে ভেঙে যায় না। তাই শরীরকে বয়সের সঙ্গে সঙ্গে যদি চনমনে রাখতে চান, তাহলে একদিনও আমলকি খেতে ভুলবেন না যেন!
৭. ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণে রাখে:
আমলকিতে ক্রোমিয়াম নামে একটি উপাদান থাকে, যা ইনসুলিনের কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ার সুযোগই পায় না। তাই সবশেষে একথা বলতেই হয় যে আমলকি খেলে কোনও ক্ষতি হয় কিনা, সে বিষয়ে এখনও পর্যন্ত জানা না গলেও এই ফলটি যে শরীরকে সুস্থ রাখতে বিশেষ ভূমিকা নেয়, সে বিষয়ে যদিও কোনও সন্দেহ নেই।