For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

তেজ পাতা দিয়ে বানানো চা না খেলে কী হতে পারে জানেন?

রক্তে উপস্থিত শর্করার মাত্রা কমাতে তেজ পাতার কোনও বিকল্প নেই বললেই চলে।

By Nayan
|

বাঙালি রান্নায় তেজ পাতার ব্যবহার বহু যুগ ধরে হয়ে আসছে। স্বাদে-গন্ধে মন মাতানো এই পাতাটি খাবারের স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি ঠিক ঠিক ভাবে কাজে লাগালে জীবন বাঁচাতে এবং আয়ু বৃদ্ধিতেও কাজে আসতে পারে। কীভাবে?

এই উত্তর পাবেন। তবে তার আগে বলুন তো আপনি কম করে ১০০ বছর বাঁচতে চান কিনা? হ্যাঁ অবশ্যই চাই। তাহলে আজ থেকেই সকাল-বিকাল তেজ পাতা দিয়ে বানানো চা খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন অল্প দিনেই জানতে পেরে যাবেন কীভাবে তেজ পাতা আয়ু বৃদ্ধি করে থাকে।

bay leaf tea benefits, benefits drinking bay leaf tea, how to make bay leaf tea

আরে মশাই অত ধৈর্য নেই। এখনই বলুন না সুস্থ শরীর পেতে কীভাবে কাজে আসে এই প্রকৃতিক উপাদানটি। একাধিক কেস স্টিড করে দেখা গেছে তেজ পাতায় উপস্থিত ভিটামিন সি এবং এ শরীরকে চাঙ্গা রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে তেজ পাতায় উপস্থিত ফলিক অ্যাসিড একাধিক রোগকে দূরে রাখতেও সাহায্য করে থাকে। এখানেই শেষ নয়। আরও বেশি কিছু উপকারি উপাদানের সন্ধান পাওয়া যায় তেজ পাতার শরীরে। যেমন, কপার, সেলেনিয়াম, আয়রন, জিঙ্ক,ম্যাগনেসিয়াম, মেঙ্গানিজ, পটাশিয়াম এবং ক্যালসিয়াম। প্রসঙ্গত, শরীরকে নানা জটিল রোগের হাত থেকে বাঁচাতে যে যে উপাদানের প্রয়োজন পরে, তা সবই উপস্থিত রয়েছে তেজ পাতায়। এবার নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন প্রতিদিন কেন তেজ পাতা খাওয়ার পরামর্শ দেন আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞরা।

একটা বাটিতে ৩ গ্লাস জল নিয়ে ফোটাতে শুরু করুন। যেখন দেখবেন জলটা ফুটতে শুরু করেছে, তখন তাতে ১০ টা তেজ পাতা ফেলে দিন। পাত্রের জলটা ফুটতে ফুটতে যখন এক গ্লাসের মত হয়ে যাবে, তখন আঁচটা বন্ধ করে জলটা ছেঁকে নিয়ে সেই জলটা চায়ের মতো করে পান করুন। এই পানীয়টি প্রতিদিন পান করলে কী হতে পারে জানেন?

১. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে:

১. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে:

রক্তে উপস্থিত শর্করার মাত্রা কমাতে তেজ পাতার কোনও বিকল্প নেই বললেই চলে। শুধু তাই নয়, একাদিক গবেষণায় দেখা গেছে শরীর খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা যাতে বেড়ে না যায় সেদিকেও খেয়াল রাখে এই প্রাকৃতিক উপাদানটি। আসলে তেজ পাতায় উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ইনসুলিনের ক্ষরণ যাতে ঠিক থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই সুগার লেভেল বাড়ার সুযোগ পায় না।

২. হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে:

২. হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে:

তেজ পাতায় উপস্থিত ফিটোনিউট্রিয়েন্ট, ক্যাফিক অ্যাসিড, সিলিসাইকেলেট এবং রুটিন হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের আশঙ্কা কমাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৩. যন্ত্রণা কমায়:

৩. যন্ত্রণা কমায়:

পা মচকে গেছে? আথ্রাইটিসের যন্ত্রণায় নরতে পারছেন না? কোনও চিন্তা নেই! আজ থেকেই তেজ পাতা দিয়ে তৈরি তেল দিয়ে মাসাজ শুরু করুন। দেখবেন কষ্ট কমতে সময় নেবে না। আসলে তেজ পাতায় উপস্থিত অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটারি উপাদান শরীরে অন্দরে প্রদাহ কমিয়ে ব্যথা উপশম ঘটাতে সাহায্য করে। প্রসঙ্গত, এই ধরনের শারীরিক সমস্যার প্রকোপ কমাতে তেজ পাতা দিয়ে বানানো চাও খেতে পারেন। সমান উপকার পাবেন।

৪. সর্দি-কাশির প্রকোপ কমায়:

৪. সর্দি-কাশির প্রকোপ কমায়:

আজ তাপমাত্রা ৪০-এর কাঁটা ছুঁয়েছে তো, কাল অঝোরে বৃষ্টিতে গায়ে চাদর দিতে হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে ঠান্ডা-গরমের কারণে সর্দি-কাশি-জ্বর হওয়া খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। তাই তো বাড়িতে তেজ পাতা মজুত করা শুরু করুন। দেখবেন উপকার পাবেন। কারণ নিয়মিত তেজ পাতা দিয়ে বানানো চা খেলে জ্বর তো কমেই। সেই সঙ্গে সর্দি-কাশি এবং বুকে কফ জমার মতো সমস্যাও কমতে শুরু করে।

৫. কিডনি স্টোনের চিকিৎসায় কাজে লাগে:

৫. কিডনি স্টোনের চিকিৎসায় কাজে লাগে:

তেজ পাতায় উপস্থিত বেশ কিছু কার্যকরী উপাদান কিডনির ভিতরে জমতে থাকা স্টোনগুলিকে শরীর থেকে বের করে দিতে সাহায্য করে। তাই তো এই ধরনের রোগে নিয়মিত তেজ পাতা দিয়ে বানানো চা খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে রোগীকে।

৬. ইউরিক অ্যাসিড:

৬. ইউরিক অ্যাসিড:

দিনে কম করে ২ কাপ তেজ পাতা দিয়ে তৈরি চা খেলে শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমতে শুরু করে। ফলে নিমেষেই কমে যায় সেই সম্পর্কিত শারীরিক কষ্টও।

৭. কনস্টিপেশন দূর করে:

৭. কনস্টিপেশন দূর করে:

প্রতিদিন সকালেই কী মারাত্মক কষ্টের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়? এদিকে নানা চিকিৎসা করেও ফল মিলছে না? তাহলে আজ থেকেই তেজ পাতা দিয়ে বানানো চা খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন কষ্ট কমে যাবে। এক্ষেত্রে এক কাপ করে দিনে দুবার এই বিশেষ চাটি পান করলে দারুন উপকার মিলবে।

৮. উচ্চ রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখে:

৮. উচ্চ রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখে:

সারা শরীরজুড়ে রক্তের সরবরাহে উন্নতি ঘটানোর পাশাপাশি রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখাতেও তেজ পাতার জুড়ি মেলা ভার। তাই তো যাদের পরিবারে উচ্চ রক্তচাপের ইতিহাস রয়েছে তারা নিয়মিত তেজ পাতা দিয়ে বানানে চা খেতে পারেন। দেখবেন উপকার মিলবে।

English summary

বাঙালি রান্নায় তেজ পাতার ব্যবহার বহু যুগ ধরে হয়ে আসছে। স্বাদে-গন্ধে মন মাতানো এই পাতাটি খাবারের স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি ঠিক ঠিক ভাবে কাজে লাগালে জীবন বাঁচাতে এবং আয়ু বৃদ্ধিতেও কাজে আসতে পারে।

Bay leaf tea can control blood sugar levels and cholesterol. The antioxidants in it can also help your body in the process of producing insulin.
Story first published: Monday, August 7, 2017, 14:59 [IST]
X
Desktop Bottom Promotion