Just In
- 34 min ago প্রচণ্ড গরমে শরীর ঠাণ্ডা রাখতে খান সুপারফুড চিয়া সিড!
- 2 hrs ago কাঠফাটা গরমে শরীরে জলের ঘাটতি পূরণ করবে এই ফলগুলি!
- 4 hrs ago নতুন কাজে সাফল্য বৃষ ও কর্কটের, ৫ রাশির জন্য শুভ আজকের দিন, জানতে দেখুন রাশিফল
- 20 hrs ago অতিরিক্ত দই, বিস্কুট খাচ্ছেন? আপনার ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়াতে পারে, সতর্ক থাকুন
Don't Miss
বাদামের দামি দিকগুলো জানেন তো?
চিনাবাদামের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেল এবং অন্যান্য পৌষ্টিক উপাদান রয়েছে, যা এনার্জির ঘাটতি পূরণ করে।
অফিস থেকে বাড়ি ফেরার পথে হোক, কী গঙ্গার ধারে প্রিয়জনের কাঁধে মাথা রেখে, কোনও কেনও সময় হালকা থেকে কঠিন পানীয়ের সঙ্গেও যার শরণাপন্ন না হলে চলে না, তার নাম হল বাদাম। কেন আজকে বাদাম নিয়ে এত কথা বলছি বলুন তো? বলছি কারণ এই সুস্বাদু কুড়মুড়ে খাবারটি আমাদের জীবনে কতটা প্রয়োজনীয় তারই হদিশ দেব আজ বোল্ডস্কাই।
তবে তার আগে বলে রাখি, চিনাবাদাম ভারতের প্রায় সর্বত্রই চাষ করা হয়ে থাকে। কিন্তু সব জায়গায় এক নামে পরিচিত নয় এটি। ভারতবর্ষের নানা প্রান্তে নানা নামে পরিচিত এই বাদামটি। যেমন- হিন্দিতে মুংগফলি, তেলুগুতে পাল্লেলু, তামিলে কাড়ালাই, মালায়ালামে নিলাক্কাদালা, কানাড়াতে কাড়ালে কায়ি, গুজরাতিতে সিংদানা এবং মহারাষ্ট্রে শেংদানে নামে পরিচিত। তবে নাম যাই হোক না কেন, এই বাদামটি আমাদের শরীরকে চাঙ্গা রাখতে নানাভাবে সাহায্য করে থাকে। যেমন ধরুন...
১. এনার্জিতে ভরপুর:
চিনাবাদামের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেল এবং অন্যান্য পৌষ্টিক উপাদান রয়েছে, যা এনার্জির ঘাটতি পূরণ করার পাশাপাশি শরীরকে রোগমুক্ত রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
২. কোলেস্টেরল:
চিনাবাদাম খেলে শরীর থেকে খারাপ কোলেস্টেরল বেরিয়ে যায় এবং ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়তে থাকে। ফলে হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়।
৩. উচ্চতা বৃদ্ধিতে সহায়ক:
চিনাবাদামে মজুত অ্যামাইনো অ্যাসিড বয়ঃসন্ধিকাল উপস্থিতি উচ্চতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে থাকে। সেই সঙ্গে দেহে প্রোটিনের ঘাটতি মেটাতেও বিশেষ ভূমিকা নেয়।
ক্যান্সার প্রতিরোধ করে:
চিনা বাদামের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে পলি-ফেনলিক অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপস্থিত পয়েছে, যা পেটের ক্যান্সার প্রতিরোধ করার ক্ষমতা রয়েছে। আসলে এই অ্যাসিডটি কারসিনোজেনিক নিউট্রোয়াস তৈরি করতে বাধা দেয়, যা ক্যান্সার হওয়ার একটি অন্যতম কারণ।
৫. স্নায়ুরোগ এবং অ্যালজাইমার রোগকে দূরে রাখে:
রেসভেরাট্রোল নামক এক ধরণের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে বাদামের মধ্যে, যা মস্তিষ্কের অন্দরে থাকে নিউরনসদের ক্ষমতা বৃদ্ধির মধ্য়ে দিয়ে নানাবিধ স্নায়ুরোগ এবং অ্যালজাইমারের মতো ব্রেন ডিজিজের প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রসঙ্গত, জীবাণু এবং ছত্রাক ঘটিত সংক্রমণ আটকাতে এই প্রকৃতিক উপাদানটির কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে।
৬. স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা কমায়:
রেসভেরাট্রোল নামক এক ধরণের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে বাদামের মধ্যে। এই অক্সিডেন্টটি মস্তিষ্কে রক্তের সরবারহ বাড়িয়ে দিয়ে স্ট্রোকের আশঙ্কা কমায়।
৭. অ্যান্টি অক্সিডেন্টের চাহিদা মেটে:
আমাদের শরীরকে রোগমুক্ত রাখতে যে যে উপাদানগুলি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট তার মধ্যে অন্যতম। প্রসঙ্গত, চিনা বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, যা মারাত্মক শক্তিসালী হয়ে ওঠে যখ চিনাবাদামগুলিকে জলে সেদ্ধ করা হয়। এই সময় বাদামে বায়োক্যানিন- এ নামক একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মাত্রা প্রায় ২ গুণ হয়ে যায়, সেই সঙ্গে গেনিস্টাইন কন্টেন্ট প্রায় ৪ গুণ বৃদ্ধি পায়। এই উপাদানগুলি শরীরকে নানা রকম রোগের হাত থেকে বাঁচায়।
৮. ত্বকের যত্নে কাজে আসে:
চিনাবাদামে উপস্থিত ভিটামিন ই, মিউকাস মেমব্রেনের অখণ্ডতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। একইসঙ্গে ত্বকের সৈন্দর্যতা বাড়াতেও কাজে আসে। আসলে চিনাবাদামে উপস্থিত একাধিক পুষ্টিকর উপাদান ত্বকের অন্দরে জমে থাকা ক্ষতিকারক ফ্রি র্যাডিকালদের নষ্ট করে দেয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ত্বকের সৌন্দর্য বাড়তে শুরু করে।
৯. ভিটামিনের ঘাটতি দূর করে:
চিনাবাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স। সেই সঙ্গে রয়েছে নিয়াসিন, থায়ামিন, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন বি৯ এবং প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড, যা শরীররের সচলতা বজায় রাখতে নানাভাবে কাজে আসে।
১০. মিনারেলের চাহিদা মেটায়:
শরীরে পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, কপার, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, আইরন, সেলেনিয়াম এবং জিঙ্কের চাহিদা মেটাতে বাদামের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। প্রসঙ্গত, এই সবকটি খনিজ শরীরকে সুস্থ রাখতে কাজে আসে। তাই দেহে যাতে এদের ঘাটতি না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখা একান্ত প্রয়োজন।
১১. গল স্টোনে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমায়:
৩০ গ্রাম চিনাবাদাম অথবা দুই টেবিল চামচ পিনাট বাটার প্রতি সপ্তাহে একবার করে খেলে গলব্লাডারে স্টোন হওয়ার সম্ভাবনা তো কমেই, সেই সঙ্গে গল ব্ল্যাডার সম্পর্কিত নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়।
১২. ওজন বৃদ্ধির সম্ভাবনা কমায়:
যে ব্যক্তি প্রতি সপ্তাহে দুইবার চিনাবাদাম অথবা পিনাট বাটার খেয়ে থাকেন, তাঁদের ওজন বৃদ্ধির কোনও সম্ভাবনাই থাকে না। এক্ষেত্রে রুটি বা পাউরুটির সঙ্গে যেমন পিনাট বাটার মাখিয়ে খেতে পারেন, তেমনি এমনি এমনি চিনাবাদাম খেলেও সমান উপকার পাওয়া যায়।
১৩. ভাবী মা এবং বাচ্চার শারীরিক উন্নতি হয়:
গর্ভাবস্থার প্রথম পর্যায়ে অথবা তার আগে থেকেই যদি মাকে চিনাবাদাম খাওয়ানো যায়, তাহলে দারুন উপকার মেলে। এমনটা করলে একদিকে যেমন মায়ের নানাবিধ শারীরিক জটিলতা দূর হয়, তেমনি বাদামটিতে উপস্থিত ফলিক অ্যাসিড গর্ভস্থ শিশুর দৈহিক এবং মানসিক সমস্যা নিবারণও সাহায্য করে।
১৪. রক্তে শর্করার মাত্রা কমায়:
বাদামের থাকা ম্যাঙ্গানিজ, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ফলে টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। তাই তো যাদের পরিবারে এমন মারণ রোগের ইতিহাস আছে, তারা সময় থাকতে থাকতে চিনাবাদাম খাওয়া শুরু করতে পারেন। এমনটা করতে বাস্তবিকই দারুন উপকার মেলে।
১৫. মানসিক চাপ কমে:
মস্তিষ্কে সেরোটোনিন লেভেল কমে গেলে দুশ্চিন্তার প্রকোপ বাড়ে। চিনাবাদামে থাকা ট্রাইটোফ্যান সেরোটোনিন লেভেল বাড়াতে সাহায্য করে। ফলে চিনাবাদাম খেলে স্ট্রেস এবং মানসিক চাপ কমতে শুরু করে।