Just In
- 7 hrs ago রোদে বের হলেই মাথা যন্ত্রণা কাবু করে? মাইগ্রেন নয় তো!
- 8 hrs ago শুধু ফ্যাশন নয়, প্রখর রোদ থেকে বাঁচতে পরুন সানগ্লাস!
- 10 hrs ago অসহ্য গরমে সর্দি-কাশিতে ভুগছেন? এই ঘরোয়া প্রতিকারগুলি ট্রাই করুন
- 14 hrs ago কর্মক্ষেত্রে সমস্যা মকরের, ব্যাবসায় আর্থিক লাভ মীনের, কেমন যাবে আজকের দিন? দেখুন রাশিফল
প্রতিদিন বেগুন খেলে কি হতে পারে জানেন?
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরে উপস্থিত ক্ষতিকর উপাদান ঠিক মতো বেরিয়ে যেতে পারে না। ফলে এদের প্রভাবে ধীরে ধীরে ত্বক কুঁচকে যেতে শুরু করে। সেই সঙ্গে বলি রেখাও প্রকাশ পায়।
সারা দেশ জুড়ে দাপিয়ে বেরাচ্ছে সে। উত্তর প্রদেশের কোনও বাড়িতে ঝালের মেজাজে তৈরি হচ্ছে, তো অন্ধ্রে বিশেষ মশলা মেখে ফ্রাই হচ্ছে। বাংলায় আবার গরম ভাতে ঘি, সঙ্গে ভাজা হিসেবে সঙ্গী হচ্ছে। কখনও ভর্তা হিসেবেও খাওয়ার টেবিলে ঝড় তুলছে। কার কথা বলছি বলুন তো?
আরে মশাই আমাদের প্রিয় বেগুনের কথা বলছি। সবজি জগতের রাজা হিসেবে পরিচিত বেগুন রূপে সেভাবে কদর না পেলেও গুণে যে একে অবহেলা করা সম্ভব নয়, সে কথা হলফ করে বলতে পারি। আসলে এই সবজিটি দিয়ে বানানো যে কোনও পদ খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনি শরীরেরও দারুন উপকারে লাগে। বিজ্ঞানীদের মতে সপ্তাহে যদি মাত্র একদিন বেগুন খাওয়া যায়, তাহলে শরীর নিয়ে আর কোনও চিন্তাই থাকে না। কারণ...
১. ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ায়:
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরে উপস্থিত ক্ষতিকর উপাদান ঠিক মতো বেরিয়ে যেতে পারে না। ফলে এদের প্রভাবে ধীরে ধীরে ত্বক কুঁচকে যেতে শুরু করে। সেই সঙ্গে বলি রেখাও প্রকাশ পায়। ফলে স্বাভাবিকবাবেই ত্বকের সৌন্দর্য কমে যায়। এক্ষেত্রেও বেগুনের অবদানকে অস্বীকার করা সম্ভব নয়। যেমনটা আগেও আলোচনা করা হয়েছে যে শরীরে উপস্থিত ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানদের বের করে দিতে বেগুনের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। ফলে সপ্তাহে ১-২ দিন বেগুন খাওয়ার অভ্যাস করলে ত্বকের সৌন্দর্য তো কমেই না, উল্টো আরও বেড়ে যায়।
২. ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে থাকে:
গত এক দশকে সারা বিশ্বজুড়ে যে যে রোগের কারণে সবথেকে বেশি সংখ্যক মানুষের মৃত্যু ঘটেছে, তার মধ্যে অন্যতম হল ব্লাড প্রেসার। তাই সময় থাকতে প্রয়োজনীয় সাবধনতা অবলম্বন করা উচিত। আর এক্ষেত্রে বেগুন আপনাকে দারুন ভাবে সাহায্য করতে পারে। প্রসঙ্গত, বেগুনে রয়েছে পটাশিয়াম সহ একাধিক উপকারি খনিজ, যা শরীরে ইলেকট্রোলাইট ব্যালেন্স বজায় রাখে। সেই সঙ্গে শরীরে নুনের পরিমাণও স্বাভাবিক মাত্রার মধ্যে থাকে। ফলে কোনও ভাবেই ব্লাড প্রেসার বাড়ার সুযোগ পায় না।
৩. ওজন কমাতে সাহায্য করে:
নিজে মোটা। কিন্তু আমাদের ওজন কমাতে কিন্তু দারুন ভাবে সাহায্য করে বেগুন। আসলে এই সবজিটির শরীরে থাকা ফাইবার অনেকক্ষণ পর্যন্ত পেট ভরিয়ে রাখে। ফলে বারে বারে খাওয়ার অভ্যাস কমতে শুরু করে। আর কম খেলে যে ওজনও কমে, সে কথা আর নতুন কী! দাঁড়ান দাঁড়ান এখানেই শেষ নয়, আরও আছে। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে ১০০ গ্রাম বেগুনে মাত্র ২৫ ক্যালরি থাকে। এই পরিমাণ ক্যালরি শরীরে প্রবেশ করলে ওজন বাড়ার আশঙ্কা থাকে না। তাই পুজোর আগে যদি ওজন কমানোর বিষয়ে সিরিয়াস হন, তাহলে আদ থেকেই বেহুনের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতান।
৪. ব্রেন পাওয়ার বাড়ায়:
বেগুনে থাকা ফটোনিউট্রিয়েন্ট সেল মেমব্রেনকে নানাবিধ আঘাত থেকে রক্ষা করে। ফলে মস্তিষ্কের ক্ষয় রোধ হয়। সেই সঙ্গে স্মৃতিশক্তি এবং বুদ্ধিও বাড়ে।
৫. ডায়াবেটিসকে দূরে রাখে:
আপনার পরিবারে কি এই মারণ রোগটির ইতিহাস রয়েছে? তাহলে আজ থেকেই বেগুন খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন উপকার মিলবে। কারণ এই সবজিটিতে উপস্থিত ফাইবার শরীরে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। ফলে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার কোনও সম্ভাবনাই থাকে না।
৬.ক্যান্সার প্রতিরোধ করে:
ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ এই সবজিটি মাঝে মধ্যে খেলে শরীরে টক্সিক উপাদানের মাত্রা কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে ক্যান্সার সেলের জন্ম হওয়ার সম্ভাবনাও কমে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই এই মারণ রোগ ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না। প্রসঙ্গত, ফাইবার মূলত কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। যেখানে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোষেদের ক্ষত সারিয়ে সামগ্রিক ভাবে শরীরকে তরতাজা করে তোলে।
৭.হার্ট অ্যাটাককে প্রতিরোধ করে:
বেগুনে উপস্থিত ফাইবার, পটাশিয়াম, ভিটামিন বি৬ এবং ফ্লেবোনয়েড কোলেস্টরলের মাত্রা কমানোর পাশাপাশি হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। ফলে হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা একেবারে শূন্যে এসে দাঁড়ায়।