Just In
- 2 hrs ago প্রচণ্ড গরমে শরীর ঠাণ্ডা রাখতে খান সুপারফুড চিয়া সিড!
- 4 hrs ago কাঠফাটা গরমে শরীরে জলের ঘাটতি পূরণ করবে এই ফলগুলি!
- 6 hrs ago নতুন কাজে সাফল্য বৃষ ও কর্কটের, ৫ রাশির জন্য শুভ আজকের দিন, জানতে দেখুন রাশিফল
- 22 hrs ago অতিরিক্ত দই, বিস্কুট খাচ্ছেন? আপনার ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়াতে পারে, সতর্ক থাকুন
Don't Miss
রোজ একটা করে পেয়ারা খাওয়া মাস্ট! কেন জানেন?
পেয়ারার উপস্থিত ভিটামিন সি, লাইকোপেন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মাথার চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত শরীরের প্রতিটি অংশকে সুস্থ এবং সুন্দর রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
কয়েক টুকরো পেয়েরা, তার উপরে এক চমটে নুন অথবা চাট মশলার গুড়ো...উফফ! কি দারুন স্বাদ তাই না! কিন্তু হলে কী হবে, অনেকেই পেয়ারা দেখলেই দূরে পালায়। কারণ কী? সেটা যদিও অজানা। যেমন আমার কথাই ধরুন, কোনও এক অজানা কারণে আমি পেয়ারা খেতে পছন্দই করি না। কিন্তু আর নয়, কয়েক মিনিট আগে হাতে যে রিপোর্টটা এসেছে, তা দেখার পর তো আর পেয়ারা থেকে দূরে থাকা সম্ভব নয়।
সম্প্রতি একটি গবেষণায় পেয়ারার নানা অজানা দিক সম্পর্কে জানার চেষ্টা করছিলেন একদল বিজ্ঞানী। সেই রিসার্চটি চলাকালীন দেখা গেছে শীত হোক কী বর্ষা, শরীর সুস্থ রাখতে পেয়ারার কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। শুধু তাই নয়, শরীরের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ যাতে কম করে ৯০ বছর পর্যন্ত ঠিক মতো কাজ করতে পারে, সেদিকেও নজর রাখে এই প্রকৃতিক উপাদানটি। আর এত উপকার পেতে আপনাকে কত খরচ করতে হয়, এই ধরুন ৫ টাকা। এখন পেয়ারার দাম ৫ টাকাই তো?
প্রসঙ্গত, পেয়ারার উপস্থিত ভিটামিন সি, লাইকোপেন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মাথার চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত শরীরের প্রতিটি অংশকে সুস্থ এবং সুন্দর রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে এতে উপস্থিত ম্যাগনেসিয়াম, শরীর যাতে খাবারে উপস্থিত নানাবিধ পুষ্টিকর উপাদান ঠিক মতো গ্রহণ করতে পারে, সেদিকে খেয়াল রাখে। এখানেই শেষ নয়, শরীরকে চাঙ্গা রাখতে আরও নানাভাবে সাহায্য করে থাকে পেয়ারা। যেমন ধরুন...
১. ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে:
নিয়মিত একটা করে পেয়ারা খাওয়া শুরু করলে হজম ক্ষমতার এত মাত্রায় উন্নতি ঘটে যে শরীরে মেদ জমার আশঙ্কাই থাকে না। সেই সঙ্গে দেহের অন্দরে ফাইবারের মাত্রা বাড়ার কারণে ক্ষিদেও কমে। ফলে ক্যালরির প্রবেশ কম হওয়ার কারণে ওজন বৃদ্ধির সম্ভাবনা হ্রাস পায়।
২. ভাবী মায়েদের শরীরিক উন্নতি ঘটায়:
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে পেয়ারার অন্দরে থাকা ফলিক অ্যাসিড মায়ের শরীরে প্রবেশ করে বাচ্চার নার্ভাস সিস্টেমের উন্নতি ঘটায়। সেই সঙ্গে কগনিটিভ ফাংশানের উন্নতি ঘটাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই তো গর্ভাবস্থায় নিয়মিত একটা করে পেয়ারা খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় ভাবী মায়েদের।
৩. স্ট্রেস কমায়:
গত কয়েক দশকে আমাদের দেশের পাশাপাশি সমগ্র বিশ্বে যে রোগগুলির প্রকোপ চোখে পরার মতো বৃদ্ধি পেয়েছে, সেগুলির প্রায় সবকটির সঙ্গেই মানসিক চাপ বা স্ট্রেসের সরাসরি যোগ রয়েছে। তাই সময় থাকতে থাকতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়াটা জরুরি। না হলে কিন্তু...! এক্ষেত্রে পেয়ারা আপনাকে দারুনভাবে সাহায্য করতে পারে। আসলে এতে উপস্থিত ম্যাগনেসিয়াম নার্ভের চাপ কমানোর মধ্যে দিয়ে স্ট্রেস কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৪. কনস্টিপেশনের চিকিৎসায় কাজে লাগে:
শরীরে ফাইবারের মাত্রা বাড়তে থাকলে পেটের রোগ যেমন কমে, তেমনি কনস্টিপেশনের মতো সমস্যাও দূরে পালায়। আর ফলেদের দুনিয়ায় পেয়ারায় মধ্যেই রয়েছে সবথেকে বেশি মাত্রায় ফাইবার। তাই প্রতিদিন সকালে প্রকৃতির ডাকে সারা দেওয়ার সময় যদি বেজায় কষ্ট পোয়াতে হয়, তাহলে আজ থেকেই পেয়ারাকে রোজের সঙ্গী বানান। দেখবেন কষ্ট একেবারে কমে যাবে।
৫. দাঁতের ব্যথা কমায়:
এবার থেকে হাল্কা হোক কী বেশি, দাঁতের ব্যথা হলেই অল্প করে পেয়ারা পাতা নিয়ে চিবতো শুরু করে দিন। দেখবেন অল্প সময়ের মধ্যেই কষ্ট কমে যাবে। কারণ এই প্রকৃতিক উপাদানটির অন্দরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান, যা শরীরের অন্দরের যে কোনও ধরনের যন্ত্রণা কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রসঙ্গত, পেয়ারা পাতার অন্দরে থাকা বেশ কিছু উপাদান মুখ গহ্বরে বাসা বেঁধে থাকা একাধিক ক্ষতিকর জীবাণুদের মেরে ফলে। ফলে সংক্রমণের আশঙ্কা কমে যায়।
৬. ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণে রাখে:
পেয়ারায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, যা রক্তে শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আর এই ফলটি যেহেতু গ্লাইকেমিক ইনডেক্সে একেবারে নিচের দিকে আসে, তাই পেয়েরা খেলে ব্লাড সুগার বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কাও থাকে না। তাই ডায়াবেটিক রোগীরা নিশ্চিন্তে এই ফলটি খেতে পারেন।
৭. ব্রেন পাওয়ার বাড়ায়:
পেয়ারায় উপস্থিত ভিটামিন বি৩ এবং বি৬ মস্তিষ্কে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্তের সরবরাহ বাড়িয়ে দেয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ব্রেনের কগনেটিভ ফাংশন, অর্থাৎ স্মৃতিশক্তি, বুদ্ধি এবং মনোযোগের উন্নতি ঘটে।
৮. হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে:
শরীরে সোডিয়াম এবং পটাশিয়াম লেভেল টিক রাখার মধ্যে দিয়ে ব্লাড প্রেসারকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ ভূমিকা নেয় পেয়ারা। শুধু তাই নয়, ট্রাইগ্লিসারাইড এবং ক্ষতিকর কোলেস্টরলের মাত্রা কমিয়ে হার্টকে সুস্থ রাখতেও সাহায্য় করে এই ফলটি। তাই যাদের পরিবারে উচ্চ রক্তচাপ এবং হার্টের রোগের ইতিহাস রয়েছে, তারা নিয়মিত পেয়েরা খাওয়া শুরু করুন, দেখবেন উপকার মিলবে।
৯. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়:
আপনাদের কি জানা আছে পেয়ারায় রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন সি, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধী ব্যবস্থাকে এতটা মজবুত করে তোলে যে ছোট-বড় কোনও ধরনের রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। এখানেই শেষ নয়, নানা ধরনের সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচাতেও ভিটামিন সি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই কারণেই তো একেবারে ছোট বেলা থেকে বাচ্চাদের পেয়ারা খাওয়ানোর পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা।
১০.দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটে:
প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন এ থাকার কারণে নিয়মিত পেয়ারা খেলে দৃষ্টিশক্তির মারাত্মক উন্নতি ঘটে। সেই সঙ্গে ছানি, ম্যাকুলার ডিজেনারেশন এবং গ্লকোমার মতো রোগও দূরে থাকে।
১১. ক্যান্সারকে দূরে রাখে:
ক্রমবর্ধমান এই মারণ রোগকে থামাতে পারে একমাত্র প্রকৃতি। কারণ প্রকৃতির অন্দরেই রয়েছে সেই শক্তি, যা আমাদের ক্যান্সার রোগ থেকে দূরে রাখতে পারে। যেমন পোরার কথাই ধরুন না। এতে উপস্থিত লাইকোপেন, কুয়েরসেটিন, ভিটামিন সি এবং পলিফেনল শরীরের অন্দরে জমতে থাকা ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানদের বার করে দেয়। ফলে ক্যান্সার সেল জন্ম নেওয়ার আশঙ্কা অনেক কমে যায়। প্রসঙ্গত, একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে ব্রেস্ট এবং প্রস্টেট ক্যান্সার রোধে পেয়ারার কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে।