For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

কাঁচা হলুদ খাওয়া কি উচিত?

অনেকেই নানাভাবে কাঁচা হলুদ খেয়ে থাকেন। কারণ তাদের ধারণা এমনটা করলে নাকি শরীরের উপকার হয়। এই যুক্তি কতটা বাস্তসম্মত, তাই নিয়ে সুলুক সন্ধান করতেই এই প্রবন্ধটি লেখার সিদ্ধান্ত নেওয়া।

By Nayan
|

ভারতীয় রান্না মানেই তাতে হলুদের অবাধ বিচরণ। আর কেন হবে নাই বা বলুন! খাবারের স্বাদ বাড়াতে এই মশলাটির যে কোনও বিকল্প নেই। কিন্তু প্রশ্নটা অন্য জায়গাতে। অনেকেই নানাভাবে কাঁচা হলুদ খেয়ে থাকেন। কারণ তাদের ধারণা এমনটা করলে নাকি শরীরের উপকার হয়। এই যুক্তি কতটা বাস্তসম্মত, তাই নিয়ে সুলুক সন্ধান করতেই এই প্রবন্ধটি লেখার সিদ্ধান্ত নেওয়া। কারণ বাস্তিবিকই যদি কাঁচা হলুদ খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক হয়, তাহলে সে বিষয়ে জানাটা জরুরি!

নানা রোগ সারাতে আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে কাঁচা হলুদের ব্যবহার কয়েক হাজার বছর ধরেই হয়ে আসছিল। কিন্তু আধুনিক বিজ্ঞানে এই বিষয়ে কোনও উল্লেখ ছিল না যে আদৌ আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে যা লেখা রয়েছে তা সত্যি কিনা। তাই তো এই বিষয়ে শুরু হয়েছিল নানা গবেষণা। আর তাতে যা জানতে পারা গিয়েছিল, তা বাস্তবিকই নজর কারা।

কাঁচা হলুদের বিষয়ে তদন্ত করতে গিয়ে গবেষকরা জানতে পারলেন এই প্রাকৃতিক উপাদানটির অন্দরে ঠাসা রয়েছে একাধিক উপকারি উপাদান। যেমন- অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি ভাইরাল, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল প্রপাটিজ, যা যে কোনও ধরনের সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। শুধু তাই নয়, হলুদে রয়েছে অ্যান্টি-কার্সিনোজেনিক এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি প্রপাটিজের মতো আরও বেশ কিছু উপকারি উপাদান। তাই কাঁচা অবস্থায় হলুদ খেলে যে শরীরের নানাবিধ উপকারে লাগে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। প্রসঙ্গত, নিয়মিত সকাল বেলা কাঁচা হলুদ খাওয়ার অভ্যাস করলে যে যে উপকারগুলি পাওয়া যায়, সেগুলি হল...

১. হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়:

১. হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়:

বাঙালি মানেই খাওয়া-দাওয়ায় কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। এমন অবস্থায় বদ-হজম হওয়াটা বেজায় স্বাভাবিক ঘটনা। তাই তো হে খাদ্যরসিক বাঙালি নিয়মিত কাঁচা হলুদ খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন বেজায় উপকার পাবেন। কারণ হলুদে উপস্থিত কার্কিউমিন নামক একটি উপাদান হজমে সহায়ক পাচর রসের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়। ফলে হজম প্রক্রিয়া এতটা সুন্দরভাবে হতে থাকে যে বদহজম ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না।

২. একাদিক পেটের রোগের চিকিৎসায় কাজে লাগে:

২. একাদিক পেটের রোগের চিকিৎসায় কাজে লাগে:

কার্কিউমিন যে শুধু হজম ক্ষমতার উন্নতিতেই কাজে লাগে, এমন নয়। সেই সঙ্গে গ্যাস-অম্বল সহ ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রমের মতো রোগের প্রকোপ কমাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই পেটের রোগের খপ্পর থেকে দূরে থাকতে হলে কাঁচা হলুদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে ভুলবেন না যেন! প্রসঙ্গত, স্টমাক আলসারের মতো রোগ সারাতেও এই প্রকৃতিক উপাদানটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৩. দেহের অন্দরে প্রদাহ কমায়:

৩. দেহের অন্দরে প্রদাহ কমায়:

নানা কারণে আমাদের শরীরে অন্দরে ইনফ্লেমেশন বা প্রদাহ সৃষ্টি হয়ে থাকে। আর ইনফ্লেমেশন যদি একবার মাত্রা ছাড়িয়ে যায়, তাহলেই কেলো। কারণ সেক্ষেত্রে নানাবিধ রোগের প্রকোপ মারাত্মক বৃদ্ধি পায়। আর সব থেকে ভয়ের বিষয় হল শরীরের প্রদাহের মাত্রা বাড়ছে কিনা সাধারণ মানুষের পক্ষে তা বোঝা সম্ভব নয়। এই কারণেই তো প্রতিদিন কাঁচা হলুদ খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। কারণ হলুদের অন্দরে ঠাসা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটারি উপাদান শরীরের প্রদাহ কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে আর্থ্রাইটিস এবং চোখের ইনফেকশনের মতো রোগের প্রকোপ কমাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৪. ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ায়:

৪. ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ায়:

খাতায় কলমে বয়স বাড়লেও ত্বকের উপর তার ছাপ যেন না পারে, এমনটাই কি চান? তাহলে তো বন্ধু নিয়মিত কাঁচা হলুদ খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন দারুন উপকার পাবেন। কারণ হলুদের মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ত্বকের অন্দরে থাকা ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানদের বের করে দেয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই স্কিন উজ্জ্বল এবং প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। প্রসঙ্গত, বায়ু দূষণের কারণে হওয়া ত্বকের ক্ষতি আটকাতেও হলুদের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে।

৫. অ্যান্টিসেপটিক হিসেবে কাজ করে:

৫. অ্যান্টিসেপটিক হিসেবে কাজ করে:

হাত-পা কেটে গেলে আমরা অয়েন্টমেন্ট খুঁজতে বেরিয়ে পরি। এবার থেকে এমনটা না করে অল্প করে হলুদ নিয়ে তা বেটে ক্ষতস্থানে লাগিয়ে দেবেন। তাহলেই দেখবেন কেল্লাফতে! আসলে হলুদের অন্দরে থাকা কার্কিউমিন হল এক ধরনের অ্যান্টিসেপটিক উপাদান, যা ক্ষত সারাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে ইনফেকশনের আশঙ্কাও কমায়।

৬.ব্যথা কমায়:

৬.ব্যথা কমায়:

হলদে উপস্থিত অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান যে কোনও ধরনের ব্যথা কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এক্ষেত্রে এক গ্লাস গরম দুধে পরিমাণ মতে হলুদ মিশিয়ে খেয়ে ফেললেই যন্ত্রণার খেল খতম। তাই এবার থেকে কোনও কারণে বডি পেন হলেই হালদি দুধ খেয়ে নেবেন। দেখবেন নিমেষে কষ্ট কমে যাবে। এক্ষেত্রে আরেকভাবেও হলুদকে কাজে লাগাতে পারেন। শরীরের যে অংশ ব্যথা হচ্ছে, সেখানে হলুদের পেস্ট অল্প করে লাগিয়ে দেবেন। তাহলেও দেখবেন কষ্ট কমে যাবে।

Read more about: রোগ শরীর
English summary

অনেকেই নানাভাবে কাঁচা হলুদ খেয়ে থাকেন। কারণ তাদের ধারণা এমনটা করলে নাকি শরীরের উপকার হয়। এই যুক্তি কতটা বাস্তসম্মত, তাই নিয়ে সুলুক সন্ধান করতেই এই প্রবন্ধটি লেখার সিদ্ধান্ত নেওয়া।

Indians and their love affair with Haldineeds no introduction. We see it in our curries and daals, infusing the vibrant yellow tinge to the dullest dish. Turmeric is every Indian household's go-to fix for a variety of health problems. Ayurveda's favourite, Haldi has earned itself a name for a long list of antioxidant, anti-viral, anti-bacterial, anti-fungal, anti-carcinogenic and anti-inflammatory properties. While most of us are well aware of its powdered form and use it extensively in daily cooking, not many know that the root itself, in its most crude form, is packed with several benefits too. Here are 9 hard-to-ignore benefits of raw turmeric or kacchi haldi that would convince you add this golden root to your daily diet.
Story first published: Tuesday, December 5, 2017, 10:55 [IST]
X
Desktop Bottom Promotion