Just In
- 10 hrs ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
- 11 hrs ago আপনার কি ক্রমাগত কান চুলকাচ্ছেন? অজান্তেই ডেকে আনচ্ছেন বড় বিপদ
- 15 hrs ago মসুর ডাল খেতে ভালোবাসেন? কিন্তু অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
- 16 hrs ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
Don't Miss
প্রতিদিন ব্রেকফাস্টে ওটস খাওয়া উচিত কেন জানেন?
গরম গরম দুধে ওটস ভিজিয়ে সকাল সকাল ক্ষিদে মেটাতে পারলে ডাক্তারকে আর একটা টাকাও যে দিতে হবে না সে কথা হলফ করে বলতে পারি।
গরম গরম দুধে ওটস ভিজিয়ে সকাল সকাল ক্ষিদে মেটাতে পারলে ডাক্তারকে আর একটা টাকাও যে দিতে হবে না সে কথা হলফ করে বলতে পারি। কারণ এটা সময় আপেল কে নিয়ে একটা ধারণা বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল যে প্রতিদিন একটা করে আপেল খেলে নাকি ডাক্তারের চেম্বারের দর্শন আর কোনও দিন করার প্রয়োজন পরে না। আর আজ সেই একই কথা বলা হচ্ছে ওটসের ক্ষেত্রেও। কেন জানেন?
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে স্বাদের দিক থেকে ওটসকে একেবারেই বেশি নাম্বার দেওয়া যায় না ঠিকই, কিন্তু পুষ্টিগুণের দিক থেকে এই খাবারটির যে কোনও বিকল্প হয় না, সে কথা হলফ করে বলা যেতে পারে। কারণ ওটসের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে সলেবল ফাইবার, যা রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর পাশাপাশি দেহের অন্দরে শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তবে এখানেই শেষ নয়, ওটসের শরীরে মজুত রয়েছে আরও অনেক উপকারি উপাদান, যেমন- প্রোটিন, ভিটামিন ই, উপকারি ফ্যাটি অ্যাসিড প্রভৃতি, যা নানাভাবে শরীরের উপকারে লেগে থাকে। যেমন ধরুন...
১. হর্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়:
পরিবারে যদি হার্টের রোগের ইতিহাস থাকে, তাহলে নিয়মিত ওটস খেতে ভুলবেন না যেন! কারণ এতে উপস্থিত ডায়াটারি ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটানোর মধ্যে দিয়ে নানাবিধ কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজকে দূরে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রসঙ্গত, ফাইবার রক্তে উপস্থিত এল ডি এল বা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রাও কমিয়ে ফেলে। ফলে এই দিক থেকেও হার্টের কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়।
২. কনস্টিপেশনের মতো রোগের প্রকোপ কমায়:
ওটসের অন্দরে থাকা ফাইবার এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এই উপাদানটি শরীরে প্রবেশ করার পর বর্জ্যের পরিমাণ এতটা বাড়িয়ে দেয় যে কোষ্ঠকাটিন্যের মতো রোগের উপশম ঘটতে একেবারেই সময় লাগে না। তাই প্রতিদিন সকালটা যদি আপনার কাছে খুব কষ্টদায়ক হয়, তাহলে ব্রেকফাস্টে ওটসের অন্তর্ভুক্তি ঘটাতে ভুলবেন না যেন!
৩. ডায়াবেটিস রোগকে দূরে রাখে:
গত কয়েক দশকে এত মাত্রায় ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা বেড়েছে যে আমাদের দেশ সারা বিশ্বের মধ্যে ডায়াবেটিস ক্যাপিটালে পরিণত হয়েছে। তাই তো এমন পরিস্থিতিতে ওটস খাওয়ার প্রয়োজন বেড়েছে লাফিয়ে লাফিয়ে। আসলে ওটসের অন্দরে উপস্থিত ফাইবার এবং কমপ্লেক্স কার্বোহাড্রেট, রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। ফলে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার সুযোগই পায় না। আর এমনটা হলে স্বাভাবিকভাবেই টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়। প্রসঙ্গত, ডায়াবেটিস রোগীরাও যদি নিয়মিত এই খাবরটি খেতে পারেন, তাহলে দারুন উপকার পেতে পারেন।
৪. ক্যান্সার রোগকে দূরে রাখে:
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে ওটসের মধ্যে লিগন্যান নামক একটি উপাদান রয়েছে, যা একদিকে যেমন কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজকে দূরে রাখে, তেমনি হরমোন সম্পর্কিত ক্যান্সার, যেমন ব্রেস্ট, প্রস্টেট এবং ওভারিয়ান ক্যান্সারও ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। প্রসঙ্গত, আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটির প্রকাশ করা একটা রিপোর্টেও একথা মেনে নেওয়া হয়েছে যে ক্যান্সার রোগের প্রতিরোধে ওটসের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে।
৫. রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখে:
মাঝে মধ্যেই রক্তচাপ কি বেশ ওঠানামা করে? তাহলে বন্ধু রোজের ডায়েটে ওটসের সংযোজন মাস্ট! কারণ এই খাবারটির মধ্যে থাকা একাধিক উপকারি উপাদান শরীরে প্রবেশ করার পর রক্তের প্রবাহ বাড়িয়ে দেয়। সেই সঙ্গে ধমনীদের প্রসারিত করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই রক্তচাপ কমতে শুরু করে। এই কারণেই তো ব্লাড প্রেসারে ভুগতে থাকা রোগীদের প্রতিদিন ওটস খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা।
৬. ম্যাগনেসিয়ামের ঘাটতি দূর করে:
দেহের অন্দরে উপকারি এনজাইমের ক্ষরণ ঠিক রাখার পাশাপাশি এনার্জির ঘাটতি দূর করতে, হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের আশঙ্কা কমাতে ম্যাগনেসিয়াম বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এখানেই শেষ নয়, ব্লাড ভেসেলর কর্মক্ষমতা বাড়াতে, হার্টের পেশীর সচলতা বৃদ্ধিতে এবং ব্লাড প্রেসারকে নিয়ন্ত্রণে রাখতেও এই খনিজটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই তো দেহের অন্দরে যাতে কোনও সময় ম্যাগনেসিয়ামের ঘাটতি না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখা একান্ত প্রয়োজন। তাই তো নিয়মিত ওটস খাওয়া জরুরি। কারণ এই খাবারটির মধ্যে যে পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে, তা শরীরের দিনের চাহিদা মেটানোর জন্য যথেষ্ট।
৭. ওজন কমাতে সাহায্য করে:
অতিরিক্ত ওজনের কারণে কি চিন্তায় রয়েছেন? তাহলে বন্ধু নিয়মিত ওটস খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন ওজন কমতে সময়ই লাগবে না। আসলে এই এই খাবারটির অন্দরে থাকা ফাইবার অনেকক্ষণ পর্যন্ত পেট ভরিয়ে রাখে। ফলে খাবার খাওয়ার পরিমাণ কমতে থাকে। সেই সঙ্গে মেটাবলিজম রেট বেড়ে যাওয়ার কারণেও ওজন বাড়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়।