For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

নিম পাতা খেলে নাকি উপকারি ব্যাকটেরিয়ারা মারা পরে?

আরে এ কেমন কথা! কে বলে নিম পাতা মারে উপকারি ব্যাকটেরিয়াদের? না না কেউ বলে না, এই নিয়ে একটা গসিপ হচ্ছিল মশাই। তাই প্রশ্নটা করে ফললাম! তা সত্যিটা কী বলতে পারেন?

By Nayan
|

আরে এ কেমন কথা! কে বলে নিম পাতা মারে উপকারি ব্যাকটেরিয়াদের? না না কেউ বলে না, এই নিয়ে একটা গসিপ হচ্ছিল মশাই। তাই প্রশ্নটা করে ফললাম! তা সত্যিটা কী বলতে পারেন?

বুঝলেন মশাই সবাই মুখোশ পরে রয়েছে। কারও আসল মুখটা চেনা যায় না। যাকে দেখে মনে হয় মন্দ, সে আদতে হয় ভদ্র-সভ্য। ওদিকে সভ্যের বেশে আক্রমণ শানায় কোনও এক বদ লোক! আচ্ছা এই বদ লোকের একজন নিম পাতা নয় তো, এই প্রশ্নটাই নিশ্চয় জাগছে সবার মনে?

একদল গবেষকের মতে কয়েক হাজার বছর ধরে শরীর-স্বাস্থ্যকে চাঙ্গা রাখতে ব্যবহার হয়ে চলা নিমপাতার আসলে অত গুণই নেই। এই প্রকৃতিক উপাদানটিকে নিয়ে নাকি একটু বেশিই প্রচার চালানো হয়েছে। কিন্তু এই বক্তব্যে কতটা সত্য রয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে।

বছরের পর বছর ধরে নিম পাতার গুণগান গেয়ে আসা আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞদের মতে এই প্রাকৃতিক উপাদানটির শরীরে মজুত রয়েছে কম-বেশি ১৩০ টার মতো বায়োলজিকাল কম্পাউন্ড, যা নানাভাবে উপকারে লেগে থাকে। তাই নিম পাতাকে কালিমা লিপ্ত করা বোকামি ছাড়া আর কিছু নয়। বরং প্রতিদিন যদি এই পাতাটি নিয়ম করে খাওয়া যায়, তাহলে উপকারি ব্যাকটেরিয়া তো মরেই না। উল্টে দারুন ফল মেনে। আসলে এতে উপস্থিত অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিসেপটিক, অ্যান্টি-ম্যালেরিয়াল, অ্যান্টি-মাইক্রাবিয়াল এবং অ্যান্টি-ভাইরাল প্রপাটিজ নানাভাবে শরীরের উপকারে লেগে থাকে। যেমন ধরুন...

১. হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়:

১. হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়:

বাঙালি হয়ে জন্মেছো তো হজমের রোগ থেকে তোমায় বাঁচানো বেশ মুশকিল। আসলে আমরা খেতে এত ভালবাসি যে পেটের খেয়াল রাখাটা ঠিক আমাদের দ্বারা হয়ে ওঠে না। তাই তো প্রতিটি বাঙালিরই নিম পাতার সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধা একান্ত প্রয়োজন। কেন এমনটা করা উচিত, তাই ভাবচেন তো? আসলে নিম পাতায় থাকা একাধিক উপকারি উপাদান পাকস্থলিতে উপস্থিত নানাবিধ ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াদের মেরে ফেলে। সেই সঙ্গে লিভার এবং কোলনের কর্মক্ষমতা বাড়ায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে।

২. দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটে:

২. দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটে:

এক্ষেত্রে দুভাবে নিম পাতাকে কাজে লাগাতে পারেন। এক, প্রতিদিন নিম পাতা চিবিয়ে খেতে পারেন অথবা পাতাটা জলে ফুটিয়ে, সেই জলটা টান্ডা করে চোখে লাগাতে পারে। যে কোনও একটা পদ্ধতি অনুসরণ করলেই দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটতে শুরু করবে। শুধু তাই নয়, চোখের ইরিটেশন, ক্লান্তি এবং লাল ভাবও কমবে। আজকাল দীর্ঘক্ষণ কম্পিউটারে কাজ করলে অনেকেরই চোখ লাল হয়ে যায়, যন্ত্রণা করে। এমন ধরনের সমস্যা কমাতে নিম পাতা দারুন কাজে আসে।

৩. ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ায়:

৩. ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ায়:

নিয়মিত নিম পাতা খাওয়ার অভ্যাস করলে রক্তে উপস্থিত নানাসব টক্সিক উপাদান বেরিয়ে যায়। ফলে ত্বক ভিতর থেকে সুন্দর হয়ে ওঠে। শুধু তাই নয়, এই প্রকৃতিক উপাদানটির শরীরে উপস্থিত অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল প্রপাটিজ ত্বকের সংক্রমণ, পুড়ে যাওয়া সহ নানবিধ স্কিন প্রবলেম সারাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রসঙ্গত, অনেকেই নিম পাতা কাঁচা চিবিয়ে খেতে পারেন না। আসলে নিম পাতা এতটাই তেঁতো যে অনেকের পক্ষেই এমনটা করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। সেক্ষেত্রে অল্প পরিমাণে মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন। তাতে তেঁতো ভাবটা তো কমবেই। সেই সঙ্গে শরীরেরও উপকার হবে।

৪. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে:

৪. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে:

যেমনটা আগেও আলোচনা করা হয়েছে। নিম পাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ভাইরাল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রপাটিজ, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষণতাকে শক্তিশালী করে তোলার পাশাপাশি নানাবিধ সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রসঙ্গত, নিমে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রক্তে জমতে থাকা টক্সিক উপাদানদের শরীর থেকে বার করে দেয়। ফলে ক্যান্সার থেকে ছোট-বড় নানা রোগ, কোনটাই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না।

৫. চুলের যত্নে কাজে আসে:

৫. চুলের যত্নে কাজে আসে:

নিম পাতায় উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অক্সিডাইজ স্ট্রেসের হাত থেকে চুলকে রক্ষা করে। সেই সঙ্গে চুলের বৃদ্ধিতেও বিশেষ ভূমিকা নেয়। তাই চুল পরে যাওয়ার কারণে যারা চিন্তায় রয়েছেন, তারা আজ থেকেই নিম পাতা খাওয়া শুরু করতে পারেন। দেখবেন দারুন উপকার মিলবে। প্রসঙ্গত, নিমপাতা জলে ফুটিয়ে সেই জল দিয়ে স্নান করলে খুশকির সমস্যা একবারে নিমূল হয়ে যায়।

৬. দাঁত শক্তপোক্ত হয়:

৬. দাঁত শক্তপোক্ত হয়:

একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত নিম পাতা চিবেলে এই প্রকৃতিক উপাদানটির মধ্যে থাকা একাদিক স্বাস্থ্যকর উপাদান দাঁতের একেবারে উপরের স্থর, এনামেলকে এতটা শক্তিশালী করে তোলে যে দাঁতের ক্ষয় হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। আসলে নিমে থাকা অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল প্রপাটিজ মুখ গহ্বরে বাসা করে থাকা ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াদের মেরে ফেলে। সেই সঙ্গে স্যালাইভায় অ্যালকালাইন লেভেল যাতে ঠিক থাকে সেদিকেও খেয়াল রাখে। ফলে দাঁতের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কমে যায়।

৭. হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়:

৭. হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়:

নিয়মিত নিমপাতা ভেজানো জল খেলে রক্তে মিশে থাকা টক্সিক উপাদান শরীর থেকে বেরিয়ে যেতে শুরু করে। ফলে ব্লাড ভেসেলের কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা যেমন হ্রাস পায়, তেমনি সারা শরীরে রক্তের সরবরাহে উন্নতি ঘটার কারণে হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটতেও সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, রক্তচাপকে স্বাভাবিক রাখতেও এই প্রকৃতিক উপাদানটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

কারা নিম পাতা খেতে পারবেন না?

কারা নিম পাতা খেতে পারবেন না?

ভাবী মায়েদের ভুলেও নিম পাতা খাওয়া চলবে না। আসলে এই পাতাটি খাওয়ার পর শরীরের অন্দরে তাপমাত্রা খুব বৃদ্ধি পায়, যা ফিটাসের পক্ষে একেবারেই ভাল নয়। একইভাবে যারা মা হওয়ার পরিকল্পনা করছেন, তাদেরও নিম পাতা থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকা উচিত।

Read more about: রোগ শরীর
English summary

আরে এ কেমন কথা! কে বলে নিম পাতা মারে উপকারি ব্যাকটেরিয়াদের? না না কেউ বলে না, এই নিয়ে একটা গসিপ হচ্ছিল মশাই। তাই প্রশ্নটা করে ফললাম! তা সত্যিটা কী বলতে পারেন?

Neem leaves are known to be an effective blood cleanser and drinking neem infused boiled water controls high blood sugar. Neem leaves extract is effective in purifying blood, removing toxins defending against inflictions and damages from free radicals in the body. Neem leaves helps to dilate blood vessels improving blood circulation and decreases elevated heart rates. It relaxes erratic heart beats and controls high blood pressure.
X
Desktop Bottom Promotion