Just In
বেকিং সোডা এবং লেবু খেলে কি হতে পারে জানেন?
লেবুর রস শরীর থেকে বিষাক্ত উপাদান দূর করে দিতে সাহায্য করে। আসলে লেবুর রস পান করার সঙ্গে সঙ্গে প্রস্রাবের আকারে আমাদের শরীর থেকে বিষাক্ত উপাদান যেমন বেড়িয়ে যায়।
হোটেলে খেতে গেলে আমরা সোডা জল খাই। কখনও আবার লেবু মেশানো সোডা। তেমনই, আর এক রকম পানীয় আমরা বাড়িতে বসেই বানাতে পারি। তা হল বেকিং সোডার সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে। এই পানীয়টি শরীর থেকে বর্জ্য বের করে দিতে যেমন সাহায্য করে, তেমনি পিএইচ-এর ভারসাম্য বজায় রাখে, হজমশক্তি বাড়ায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়। এছাড়াও হার্টকে সুস্থ রাখতে, ত্বকের যত্নে এবং লিভার সহ নানা রোগ প্রতিরোধ করতে বেকিং সোডা এবং লেবু দারুণ উপকারি ভূমিকা নেয়।
বেকিং সোডা এবং লেবু একত্রে মেশালে বহু শারীরিক সমস্যার থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আসলে লেবুর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে সাইট্রিক অ্যাসিড থাকে। একইসঙ্গে থাকে ভিটামিন সি এবং নানা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে এবং শরীরের উন্নতি ঘটায়। এছাড়াও লেবুর মধ্যে নানা খনিজ এবং ভিটামিন থাকে। তাই তো এটি রান্নায় স্বাদ বৃদ্ধি করে এবং শরীর ঠিক রাখতে উপকারে লাগে। প্রসঙ্গত, বেকিং সোডা হল সোডিয়াম বায়োকার্বোনেড, যা ঔষধি গুণ সম্পন্ন। যদিও, এই মিশ্রণ খেতে হলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া খুবই জরুরি। কারণ, বেকিং সোডা অনেক সময় অন্যান্য ওষুধের গুণকে প্রভাবিত করে থাকে।
রেসিপি:
বেকিং
সোডা
এবং
লেবুর
রস
এক
গ্লাস
জলে
এক
চা
চামচ
বেকিং
সোডা,
অর্ধেক
লেবুর
রস
মেশাতে
হবে।
ভাল
ফল
পেতে
খালি
পেটে
সকাল
বেলায়
এই
মিশ্রণটি
খেতে
হবে।
কি
কি
লাভ
হতে
পারে
এই
মিশ্রণটি
পান
করলে?
বেকিং
সোডা
এবং
লেবুর
রস
মিশ্রিত
পানীয়
পান
করলে
বহু
রকম
উপকার
মেলে।
যেমন...
পিএইচ-এর ভারসাম্য বজায় থাকে
আমাদের শরীরের ভেতর প্রতিটি সময়ে নানা রকমের অ্যাসিড উৎপন্ন হতে থাকে। এর কমবেশি পরিমাণ নিয়ে আমরা খুব বেশি মাথা ঘামাই না। যদিও অ্যাসিডের ভারসাম্য বজায় রাখাও শরীরের জন্য খুবই প্রয়োজন। এই মাত্রাকে সঠিক রাখতেই সোডিয়াম বায়োকার্বোনেড গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। এর অ্যাল্কালাইজিং উপাদান অ্যাসিডের অতিরিক্ত মাত্রাকে কমাতে সাহায্য করে। ফলে বুকজ্বালা, অম্বল এগুলি দূর হয়। একই রকম কাজ লেবুর রসেও হয়। এর কারণ লেবুর মধ্যেও প্রচুর পরিমাণে সাইট্রিক অ্যাসিড থাকে।
ওজন কমাতে সাহায্য করে
বেকিং সোডা এবং লেবুর রসের সঙ্গে ওজন নিয়ন্ত্রণের সরাসরি কোনও সম্পর্ক নেই। যদিও ব্যায়াম বা জিমের সময় বেকিং সোডা পান করলে তা এনার্জি বাড়াতে সাহায্য করে। একইসঙ্গে বিপাক প্রক্রিয়ায় উন্নতি সাধন করে। তাই তো বেকিং সোডা এবং লেবু দিয়ে তৈরি পানীয় নিয়মিত পান করলে ওজন নিয়ন্ত্রণে চলে আসে এবং এনার্জি বৃদ্ধি পায়।
শরীর থেকে বর্জ্য দূর করে
লেবুর রস শরীর থেকে বিষাক্ত উপাদান দূর করে দিতে সাহায্য করে। আসলে লেবুর রস পান করার সঙ্গে সঙ্গে প্রস্রাবের আকারে আমাদের শরীর থেকে বিষাক্ত উপাদান যেমন বেড়িয়ে যায়। তেমনই অতিরিক্ত লবন, ফ্যাট এবং জল বেরিয়ে আসে, যা আমাদের কিডনি পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। এর ফলে, আমাদের প্রত্যঙ্গগুলির ওপর খুব বেশি চাপ পরতে পারে না।
দাঁতের যত্নে কাজে আসে
বহুকাল ধরেই মানুষ বেকিং সোডা এবং লেবুর রস দিয়ে দাঁত মেজে থাকেন। এতে দাঁত থেকে দাগ ছোপ দূর হয় এবং দাঁত উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। সেই সঙ্গে দাঁতের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে। শুধু তাই নয়, মুখের মধ্যে অ্যাসিড জাতীয় উপাদান তৈরি হতেও বাধা দেয় বেকিং সোডা এবং নুন। এই কারণেই তো দাঁতের যে কোনও সমস্যা সমাধানে বেকিং সোডা এবং নুন ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়।
হজম প্রক্রিয়ার উন্নতি ঘটায়
বেকিং সোডা এবং লেবুর রস একত্রে মিশিয়ে খেলে হজম প্রক্রিয়ার দ্রুত উন্নতি ঘটে। এই মিশ্রণ বদহজম, পেট ফাঁপা বা ফুলে যাওয়া, খিঁচুনি ধরে ব্যাথা এবং বুক জ্বালার মতো সমস্যা কমাতে দারুণ কাজ করে। মুলত, এই সমস্যাগুলি দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকলে তা আমাদের শরীরকে দুর্বল করে দেয় এবং ভবিষ্যতে আরও নানারকম সমস্যাকে ডেকে আনে। তাই এই এমন ধরনের সমস্যাগুলোকে কাবু করতে বেকিং সোডা এবং লেবুর মতো উপাদানের সাহায্য নেওয়া খুবই প্রয়োজন।
হৃদযন্ত্রের যত্ন রাখে
বেশ কিছু সমীক্ষাতে দেখা গেছে, পানীয় জলের সঙ্গে বেকিং সোডা মিশিয়ে পান করলে খুবই উপকার পাওয়া যায়। এতে যেমন বাজে কোলেস্টেরলের মাত্রা শরীরে কমতে থাকে, তেমনই উপকারি কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। ফলে হৃদরোগের সম্ভাবনা অনেকটাই কমিয়ে দেয়।
ত্বকের যত্ন রাখে
লেবুর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে সাইট্রিক অ্যাসিড থাকে। এছাড়াও থাকে অন্যান্য বহু রকমের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা শরীরের থেকে বিষাক্ত উপাদান দূর করে। এর ফলে সবথেকে বেশি উপকৃত হয় আমাদের ত্বক। এমনকি বেকিং সোডা এবং লেবু মিশ্রিত এই পানীয় পান করলে ত্বক থেকে বয়সের ছাপ দূর হয়। সেই সঙ্গে ব্রণ, ত্বকে ভাঁজ পড়ার মতো সমস্যাও দূর হয়।