Just In
কাঁচা কলা অতটাও কাঁচা নয়!
কাঁচা কলায় রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ফাইবার, যা শরীরে প্রবেশ করা মাত্র হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটানোর পাশাপাশি ডাইজেস্টিভ ট্র্যাকের কর্মক্ষমতা বাড়ায়।
সেই ছোট থেকে দেখে আসছি। পেট খারাপ মানেই কাঁচা কলা দিয়ে সিঙ্গি মাছ মাস্ট! তাতে নাকি পেট ঠান্ডা হয়। আচ্ছা তা নয় হল! কিন্তু তারপর। একবার পেট খারাপ সেরে গেল তো সবাই ভুলতে বসল কাঁচা কলাকে। আবার পরবে মনে, কখন বলুন তো! যখন আবার পরিবাবের কারও পেট যাবে বিগড়ে। কি তাই তো?
শুনলে হয়তো অবাক হয়ে যাবেন, শুধু পেট খারাপ সারাতেই নয়, আরও বেশ কিছু জটিল রোগ সারাতেও কাঁচা কলা দারুন কাজে আসে। কিন্তু সেদিকে আমাদের কারও খেয়ালই নেই। তাই তো আজ এই প্রবন্ধের মাধ্যমে এই প্রকৃতিক সুপার ফুডটির বিষয়ে এমন কিছু তথ্য পরিবেশন করা হল, যা পড়তে পড়তে আপনার চোখ কপালে উঠবেই উঠবে। তাহলে আর অপেক্ষা কিসের, চলুন ঝটপট জেনে ফেলা যাক কাঁচা কলার নানাবিধ উপকারিতা সম্পর্কে।
১. বাস্তবিকই পেটকে ঠান্ডা রাখে:
কাঁচা কলায় রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ফাইবার, যা শরীরে প্রবেশ করা মাত্র হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটানোর পাশাপাশি ডাইজেস্টিভ ট্র্যাকের কর্মক্ষমতা বাড়াতে এবং বাওয়েল মুভমেন্টের উন্নতি ঘটাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই শুধু পেট খারাপ নয়, যারা প্রায়শই গ্যাস-অম্বলে ভুগে থাকেন, তারা কাঁচা কলাকে কাজে লাগিয়ে আরোগ্য লাভ করতে পারেন।
২. পটাশিয়ামের ঘাটতি দূর করে:
এক কাপ কাঁচা কলায় প্রায় ৫৩১ এম জি পটাসিয়াম থাকে, যা পেশির গঠনে উন্নতি ঘটানোর পাশাপাশি নার্ভ এবং কিডনির কর্মক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে। প্রসঙ্গত, রক্তে যাতে কোনও ক্ষতিকারক উপাদান থাকতে না পারে, সেদিকেও খেয়াল রাখে কাঁচা কলায় উপস্থিত পটাশিয়াম।
৩. পুষ্টির ঘাটতি দূর করে:
খাবারে উপস্থিত পুষ্টিকর উপাদানগুলি যাতে ঠিক মতো শরীরের কাজে লাগতে পারে, সেদিকে খেয়াল রাখে কাঁচা কলা। ফলে নিয়মিত এই ফলটি খেলে অনায়াসেই শরীরে পুষ্টির ঘাটতি দূর হয়। সেই সঙ্গে নানাবিধ রোগও দূরে পালায়।
৪. শরীর উপকারি ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি পায়:
নিয়মিত কাঁচা কলা খেলে ইন্টেস্টাইনে ভাল ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে। সেই সঙ্গে শরীরের কর্মক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়।
৫. ভিটামিনের চাহিদা মেটে:
কাঁচা কলায় রয়েছে প্রচুর মাত্রায় বিটামিন বি৬ এবং ভিটামিন সি। এই দুটি ভিটামিন শরীরের গঠনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। ভিটামিন সি যেমন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটানোর মধ্যে দিয়ে সংক্রমক রোগকে দূরে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। তেমনি অন্যদিকে ভিটামিন বি৬ শরীরে এনার্জির ঘাটতি দূর করার পাশাপাশি ত্বক এবং চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে।
৬. ডায়াবেটিস রোগকে নিয়ন্ত্রণে রাখে:
কাঁচা কলা খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ার কোনও সম্ভাবনাই থাকে না। বরং সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে এই ফলটি। তাই তো ডায়াবেটিকরা নিশ্চিন্তে কাঁচা কলা খেতে পারেন। তবে ইচ্ছা হলে এ বিষয়ে একবার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিতেই পারেন।