Just In
- 1 hr ago কাঠফাটা গরমে শরীরে জলের ঘাটতি পূরণ করবে এই ফলগুলি!
- 2 hrs ago নতুন কাজে সাফল্য বৃষ ও কর্কটের, ৫ রাশির জন্য শুভ আজকের দিন, জানতে দেখুন রাশিফল
- 19 hrs ago অতিরিক্ত দই, বিস্কুট খাচ্ছেন? আপনার ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়াতে পারে, সতর্ক থাকুন
- 20 hrs ago গরম থেকে বাঁচতে দেদার খাচ্ছেন ডাবের জল? ডেকে আনছেন না তো বড় বিপদ!
নিয়মিত পেঁপের বীজ খেলে কী কী উপকার হয় জানেন?
বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে পেঁপের বীজে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় নেফরোপ্রটেকটিভ এজেন্ট, যা অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমানোর মধ্যে দিয়ে কিডনির কর্মক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
এখন যা পরিস্থিতি তাতে কোনও মতে ৬০ বছর পেরতে পারলে নিজেদের ভাগ্যবান মনে করা যেতে পারে। কারণ তো সবার জানা। চারিদিকে আজ শুধু বিষ আর বিষ। খাবারে ভেজাল, বায়ুতে দূষণ, জলে জীবাণু। এর পরেও কী করে বাঁচার আশা রাখা যায় বলুন!
যদি বলি আলবাত রাখা যায়! তাহলে কী বলবেন? কীভাবে? এই উত্তর পেতেই যে চোখ রাখতে হবে এই প্রবন্ধে। প্রসঙ্গত, আমাদের আশপাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা নানাবিধ প্রাকৃতিক উপদানের মধ্যে এমন সব শক্তি রয়েছে, যা এত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও আমাদের শরীরকে সব দিক থেকে সুস্থ রাখতে পারে। তাই তো এই প্রবন্ধে এমন একটি ঘরোয়া ওষুদের সম্পর্কে আলোচনা করবো, যা প্রতিদিন খেলে আমাদের শরীরের পুষ্টির ঘাটতি তো দূর হবেই, সেই সঙ্গে ছোট-বড় কোনও রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারবে না।
কী সেই মহৌষধি? বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত পেঁপের বীজ এবং তার সঙ্গে অল্প করে মধু মিশিয়ে খেতে পারলে শরীর একেবারে চাঙ্গা হয়ে ওঠে। সেই সঙ্গে মেলে আরও অনেক উপকার। যেমন ধরুন...
১. লিভারের কর্মক্ষমতা বাড়ে:
বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে পেঁপের বীজে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় নেফরোপ্রটেকটিভ এজেন্ট, যা অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমানোর মধ্যে দিয়ে কিডনির কর্মক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে অন্য কোনও রোগের কারণে যাতে কিডনির কোনও ক্ষতি না হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখে।
২. পুরুষদের ফার্টিলিটির উন্নত ঘটে:
পেঁপের বীজে উপস্থিত বেশ কিছু এনজাইম স্পার্ম কাউন্টের উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৩. ক্লান্তি দূর হয়:
কোনও কোনও সময় ক্লান্তি আমাদের এতটাই দুর্বল করে দেয় যে এই জেট যুগে প্রতিযগিতায় টিকে থাকা প্রায় সম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। আপনিও যদি একই সমস্যা শিকার হয়ে থাকেন তাহলে পেঁপে এবং মধু মিশ্রিত এই ওষুধটি খাওয়া শুরু করুন। কারণ এতে রয়েছে গ্লকোসিনোলেট নামে একটি উপাদান, যা সেলেদের কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। ফলে ক্লান্তি ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না।
৪. ওজন কমে:
যারা ওজন কমাতে চাইছেন, তাদের তো এই ওষুধটি খাওয়া মাস্ট! কারণ পেঁপে এবং মধুতে রয়েছে বেশ কিছু লিপিডস এবং পটাশিয়াম, যা মেটাবলিজম বাড়িয়ে চর্বি হ্রাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। যেমনটা আমাদের সকলেই জানা আছে যে হজম ক্ষমতা যত ভাল হবে, তত শরীরে চর্বি জমবে কম। ফলে ওজন কমবে চোখে পরার মতো।
৫. সিরোসিস অব লিভারের মতো রোগের চিকিৎসায় কাজে আসে:
অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবনের কারণে লিভার সিরোসিসের মতো রোগে ভুগছেন নাকি? তাহলে তো বন্ধু আর সময় নষ্ট না করে আজ থেকেই নিয়মিত পেঁপের বীজ খাওয়া শুরু করতে হবে। কারণ বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত এই প্রকৃতিক উপাদনটি খাওয়া শুরু করলে এমন রোগের প্রকোপ তো কমেই, সেই সঙ্গে শরীরে জমতে থাকা টক্সিক উপাদানেরাও বেরিয়ে যেতে শুরু করে। ফলে লিভার তো চাঙ্গা হয়ে ওঠেই, সেই সঙ্গে আরও নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়। এক্ষেত্রে প্রথমে অল্প করে ড্রাই পেঁপে বীজ নিয়ে গুঁড়ো করে নিতে হবে। তারপর সেই পাউডার থেকে এক চামচ নিয়ে লেবুর রসের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে হবে। এমনটা নিয়মিত করতে পারলেই কেল্লাফতে!
৬. ভাইরাসের সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়:
এই ওষুধটিতে রয়েছে প্রচিুর মাত্রায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে এতটাই শক্তিশালী করে দেয় যে কোনও ভাইরাসই তেমন একটা ক্ষতি করতে পারে না। তাই আপনিও যদি ভাইরাসের আক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে চান, তাহেল শীঘ্র খাওয়া শুরু করুন এই ওষুধটি।
৭. পেশির গঠন সাহায্য করে:
এই ওষুধটিতে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় প্রোটিন, যা পেশির গঠনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই তো যদি পেশিবহুল শরীর পেতে চান, তাহলে আজ থেকেই খাওয়া শুরু করুন এই ঘরোয়া ওষুধটি।
৮. শরীর থেকে বিষ বার করে দেয়:
এই ওষুধে এমন রয়েছে প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং এমন কিছু শক্তিশালী উপাদান, যা শরীর থেকে সব রকমের ক্ষতিকর টক্সিন বা বিষ বার করে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। ফলে কোনও রোগক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বহুগুণে হ্রাস পায়।
৯. স্টমাকে উপস্থিত ক্ষতিকর পোকাদের মেরে ফেলে:
স্টমাকে এইসব ক্ষতিকার উপাদানের মাত্রা যত বৃদ্ধি পাবে, তত হজমর সমস্যা বাড়বে। আর এই ধরনের রোগের হাত থাকে বাঁচাতে এই ঘরোয়া ওষুধটির কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। কারণ এতে উপস্থিত নানা উপকারি উপাদান এইসব পোকাদের মেরে ফেলে। ফলে হজমের সমস্যা হয়ার সম্ভবনা অনেকাংশে হ্রাস পায়।