Just In
- 8 hrs ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
- 9 hrs ago আপনার কি ক্রমাগত কান চুলকাচ্ছেন? অজান্তেই ডেকে আনচ্ছেন বড় বিপদ
- 13 hrs ago মসুর ডাল খেতে ভালোবাসেন? কিন্তু অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
- 14 hrs ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
Don't Miss
শীতকালে গাজর খেলেই কেল্লাফতে! কেন জানেন?
শুধু বাজার থেকে ব্যাগ ভর্তি করে নিয়ে আসতে হবে অনেক অনেক গাজর আর প্রতিদিন পান করতে হবে এক গ্লাস করে গাজরের রস। এমনটা করলে শরীর ভিতর থেকে শক্তিশালী হয়ে উঠবে
আসবে আসবে বলে এসেই গেলে আমাদের পুরানো বন্ধু শীতকাল। আর ব্যাগ ভর্তি করে নিয়ে এল অনেক কুয়াশা আর ঠান্ডাকে। তাই এবার জ্বর-সর্দি কাশির মারে জর্জরিত হতে হবে অনেককে। শুধু কি তাই! এবার সারা রাজ্যে যা ঠান্ডা পরেছে, তাতে সিংহভাগ মানুষেরই যে শরীরের অবস্থা আরও নানা কারমে বেহাল হয়ে পরবে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহই নেই চিকিৎসকেদের। কিন্তু দ্রুত একটা কাজ যদি সেরে ফেলতে পারেন, তাহলে পারদ যতই নিচে নামুক না কেন শরীর থাকবে একেবারে চনমনে এবং রোগ মুক্ত!
কী করতে হবে মশাই? তেমন কিছু নয়, শুধু বাজার থেকে ব্যাগ ভর্তি করে নিয়ে আসতে হবে অনেক অনেক গাজর আর প্রতিদিন পান করতে হবে এক গ্লাস করে গাজরের রস। এমনটা করলে শরীর ভিতর থেকে এত শক্তিশালী হয়ে উঠবে যে ছোট-বড় কোনও রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারবে না। সেই সঙ্গে মিলবে আরও অনেক উপকারিতাও। যেমন...
১. হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়:
এই সবজিটিতে উপস্থিত ডায়াটারি ফাইবার শরীরে প্রবেশ করার পর হজমে সহায়ক পাচক রসের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়। ফলে বদহজম এবং গ্যাস-অম্বলের মতো সমস্যা কমতে একেবারে সময়ই লাগে না। সেই সঙ্গে হজম ক্ষমতাও বাড়তে শুরু করে।
২. লিভারের কর্মক্ষমতা বাড়ায়:
বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে লিভারের অন্দরে থাকা বর্জ্য পদার্থদের বের করে দিয়ে শরীরে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই অঙ্গটির কর্মক্ষমতা বাড়াতে গাজরের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে।
৩. ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণে রাখে:
এ কথা নিশ্চয় জানা আছে যে গত কয়েক বছরে আমাদের দেশে ডায়াবেটিস রোগের প্রকোপ এত মাত্রায় বৃদ্ধি পয়েছে যে সারা বিশ্বের মধ্যে এদেশ ডায়াবেটিস ক্যাপিটালে পরিণত হয়েছে। শুধু তাই নয়, চিকিৎসকেদের মতে এইভাবে যদি চলতে থাকে তাহলে আগামী দিনে ভারতবর্ষের প্রতিটি ঘরে একজন করে ডায়াবেটিক রোগী থাকবে। এমন পরিস্থিতিতে গজরের রস খাওয়ার পয়োজন যে আরও বেড়েছে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কারণ গাজরের থাকা ভিটামিন এবং মিনারেল ইনসুলিনের কর্মক্ষমতা এতটা বাড়িয়ে দেয় যে ডায়াবেটিস রোগ ধারে কাছে ঘেঁষার সুযোগটুকু পায় না।
৪. হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়:
১০০ গ্রাম গাজরের অন্দরে থাকে দিনের চাহিদার প্রায় ৩৩ শাতাংশ ভিটামিন এ, ৯ শতাংশ ভিটামিন সি এবং ৫ শতাংশ বি৬। সেই সঙ্গে থাকে প্রচুর মাত্রায় থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই সবকটি উপাদান হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই হার্টের কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা একেবারে শূন্য এসে দাঁড়ায়।
৫. ভিটামিনের মাত্রা বাড়বে:
দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটানোর পাশপাশি সার্বিকভাবে শরীরকে চাঙ্গা রাখতে গাজরের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। কারণ এই সবজিটির অন্দরে থাকা ভিটামিন এ এবং উপকারি বিটা বিটা ক্যারোটিন চোখের ক্ষমতা মারাত্মক বাড়িয়ে দেয়। সেই সঙ্গে ছানি পরার মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও কমায়।
৬. ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখে:
গাজরে উপস্থিত পটাশিয়াম শরীরে প্রবেশ করার পর সারা শরীরে রক্তের প্রবাহ বাড়িয়ে দেয়। সেই সঙ্গে সোডিয়াম-পটাশিয়াম লেভেলকে ঠিক মাত্রায় নিয়ে আসে। ফলে রক্তচাপ স্বাভাবিক হতে একেবারেই সময় লাগে না। তাই তো যাদের পরিবারে এমন মারণ রোগের ইতিহাস রয়েছে, তাদের সুস্থ থাকতে রোজের ডেয়েটে গাজর থাকা মাস্ট!
৭. হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে:
বুড়ো বয়সে আর্থ্রাইটিস মারে যদি শয্যাশায়ী হতে না চান, তাহলে এখন থেকেই গজরের রস খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন উপকার মলবে। কারণ এর মধ্যে থাকা ক্যালসিয়াম, হাড়ের শক্তি এতটা বাড়িয়ে দেয় যে বয়সের সঙ্গে সঙ্গে হাড় দুর্বল হয়ে পরার আশঙ্কা হ্রাস পায়। সেই সঙ্গে নানাবিধ হাড়ের রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও কমে।
৮. ত্বকের খেয়াল রাখে:
শীতকাল মানেই স্কিনের আদ্রতা হারিয়ে যাওয়া এবং সেই সঙ্গে নানাবিধ ত্বকের রোগের মাথা চাড়া দিয়ে ওঠা। এমন পরিস্থিতিতে ত্বককে বাঁচাতে পারে একমাত্র গাজর। কারণ এই সবজিটির মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের অন্দরে জমে থাকা টক্সিক উপাদানের শরীর থেকে বার করে দেয়। সেই সঙ্গে কোলাজেনের উৎপাদন বাড়িয়ে দেয়। ফলে ত্বক উজ্জ্বল এবং প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। তবে এখানেই শেষ নয়, গাজরের অন্দরে থাকা একাধিক ভিটামিন এবং মিনারেল ড্রাই স্কিনের সমস্যা দূর করতে, কালো কালো ছোপ দাগ কমাতে এবং বলিরেখা ভ্যানিশ করতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৯. অ্যান্টিঅক্সিডেন্টর ঘাটতি দূর করে:
শরীর থেকে সব ধরনের টক্সিক উপাদানদের বের করে দেওয়ার মধ্যে দিয়ে ক্যান্সার রোগকে দূরে রাখতে এই উপাদানটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে শরীরের রোগ প্রতিরোধী ব্যবস্থাকে এতটাই শক্তিশালী করে তোলে যে ছোট-বড় কোনও রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। সেই সঙ্গে সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়। প্রসঙ্গত, শীতকালে নানা কারণে আমাদের ইমিউন পাওয়ার খুব দুর্বল হয়ে যায়। এই কারণেই তো নানা রোগ ঘাড়ে চেপে বসে। এবার বুঝেছেন তো বছরের এই সময় বেশি করে গাজরের রস খাওয়ার পরামর্শ কেন দেওয়া হয়!