Just In
- 1 hr ago কাঠফাটা গরমে শরীরে জলের ঘাটতি পূরণ করবে এই ফলগুলি!
- 3 hrs ago নতুন কাজে সাফল্য বৃষ ও কর্কটের, ৫ রাশির জন্য শুভ আজকের দিন, জানতে দেখুন রাশিফল
- 19 hrs ago অতিরিক্ত দই, বিস্কুট খাচ্ছেন? আপনার ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়াতে পারে, সতর্ক থাকুন
- 20 hrs ago গরম থেকে বাঁচতে দেদার খাচ্ছেন ডাবের জল? ডেকে আনছেন না তো বড় বিপদ!
Don't Miss
বলা হয় গ্রিন টি খেলে শরীর সুস্থ থাকে! সত্যি কি?
একাধিক গবেষণায় পর চিকিৎসকদের মনে আর কোনও সন্দেহ নেই যে গ্রিন টি বাস্তবিকই শরীরের পক্ষে উপকারি।
একাধিক গবেষণায় পর চিকিৎসকদের মনে আর কোনও সন্দেহ নেই যে গ্রিন টি বাস্তবিকই শরীরের পক্ষে উপকারি। কিন্তু কোন সময় এই চা টি খাওয়া চলতে পারে এবং কোন সময় নয়, সে সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। তাই তো শরীরের ভাল হওয়ার থেকে ক্ষতি হচ্ছে বেশি। যেমন ধরুন, ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে গ্রিন টি খাওয়ার অভ্যেস অনেকেরই রয়েছে। কিন্তু এই সময় গ্রিন টা খাওয়া কি আদৌ উচিত?
বেশ কিছু স্টাডি অনুসারে গ্রিন টি খাওয়ার বিশেষ কিছু সময় রয়েছে। যখন-তখন এই চা টি পান করলে একাধিক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। তাই গ্রিন টি পান করার আগে কতগুলি বিষয় সম্পর্কে স্পষ্ট ধরণা করে নেওয়া একান্ত প্রয়োজন। সেই সঙ্গে এই বিষয়েও জেনে নেওয়া উচিত যে খালি পেটে গ্রিন টি পান করলে কোনও ক্ষতি হয় কিনা!
দিনে
ক'বার
খাওয়া
চলবে:
দিনে
১-২
কাপ
গ্রিন
টি
পান
চলতেই
পারে।
কিন্তু
তার
থেকে
বেশি
হলেই
কিন্তু
মুশকিল।
কারণ
দু
কাপের
বেশি
গ্রিন
টি
পান
করলে
শরীরে
টক্সিসিটি
লেভেল
বেড়ে
যায়।
যে
কারণে
লিভারের
মারাত্মক
ক্ষতি
হতে
পারে
কিন্তু!
খালি
পেটে
গ্রিন
টি?
নাব
নাব
চ!
ভুলেও
খালি
পেটে
গ্রিন
টি
খাওয়া
একবারেই
চলবে
না।
কারণ
এমনটা
করলে
পাকস্থলির
ক্ষতি
হতে
শুরু
করে।
সেই
কারণেই
তো
সব
সময়
ভরা
পেটে
গ্রিন
টি
খাওয়ার
পরামর্শ
দিয়ে
থাকেন
চিকিৎসকেরা।
দুপুরের
খাওয়ার
পর?
খাওয়ার
পর
পর
গ্রিন
টি
খেলে
খাবারে
উপস্থিত
পুষ্টিকর
উপাদান
ঠিক
মতো
শরীর
দ্বারা
শোষিত
হয়
না।
ফলে
দেহে
পুষ্টির
ঘাটতি
দেখা
দেয়।
সেই
সঙ্গে
একাধিক
রোগও
শরীরকে
ঘিরে
ধরে।
প্রসঙ্গত,
আরেকটি
কারণেও
চিকিৎসকেরা
খাওয়ার
পর
এই
ধরনের
পানীয়
খেতে
মানা
করেন।
একাধিক
গবেষণায়
দেখা
গেছে
ভারি
খাবার
খাওয়ার
১
ঘন্টার
মধ্য়ে
যদি
গ্রিন
টি
শরীরে
প্রবেশ
করে,
তাহলে
হজমে
সহায়ক
অ্যাসিডেরা
ঠিক
মতো
কাজ
করতে
পারে
না।
ফলে
স্বাভাবিকভাবেই
বদহজম
হওয়ার
আশঙ্কা
বৃদ্ধি
পায়।
গ্রিন
টি
খেলে
কি
প্রস্রাবের
মাত্রা
বেড়ে
যায়?
এই
ধরণা
ঠিক
যে
গ্রিন
টির
পানের
সঙ্গে
প্রস্রাবের
মাত্রার
যোগ
রয়েছে।
বেশ
কিছু
স্টাডিতে
দেখা
গেছে
গ্রিন
টি
খাওয়া
মাত্রা
প্রস্রাবের
হার
স্বাভাবিকের
থেকে
বাড়তে
শুরু
করে।
সেই
কারণেই
তো
এই
পানীয়টি
খাওয়ার
পর
পর
বেশি
করে
জল
খাওয়া
পরামর্শ
দেওয়া
হয়ে
থাকে।
কারণ
এমনটা
না
করলে
দেহে
জলের
ঘাটতি
দেখা
দেওয়ার
সম্ভাবনা
বেড়ে
যায়।
আর
এমনটা
হলে
অন্য
বিপদ!
গ্রিন
টি
কখন
পান
করতে
হবে?
গ্রিন
টি
কোন
সময়
পান
করলে
শরীরে
উপকারে
লাগে
সে
বিষয়ে
জানতে
একাধিক
গবেষণা
হয়েছে।
তাতে
দেখা
গেছে
দুপুর
৩
থেকে
বিকাল
৫
টার
মধ্যে
এই
চা
টি
পান
করলে
সবথেকে
বেশি
উপকার
পাওয়া
যায়।
যেমন
ধরুন...
১. ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে চলে আসে:
যারা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা ভুগছেন, তারা সুস্থ থাকতে নিয়মিত গ্রিন টি পান করতে পারেন কিন্তু! কারণ একাধিক স্টাডিতে দেখা গেছে নিয়মিত ১-২ পেয়ালা করে এই পানীয় পান করলে শরীরে এমন কিছু উপাদানের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে যে তার প্রভাবে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে চলে আসতে সময় লাগে না।
২. রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে:
গ্রিন টি পান করা মাত্র মেটাবলিক সিস্টেম ফাংশনের উন্নতি ঘটতে শুরু করে। সেই সঙ্গে এই পানীয়টিতে উফস্থিত পলিফেনল, ইনসুলিনের কর্মক্ষমতাকে বাড়িয়ে দেয়। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। তাই তো বলি বন্ধু যাদের পরিবারে এই মারণ রোগের ইতিহাস রয়েছে, তারা নিয়িমত সকাল-বিকাল ১ কাপ করে গ্রিন টি পান করুন। দেখবেন উপকার মিলবে একেবারে হাতে-নাতে!
৩. ক্যান্সারের মতো মারণ রোগ দূরে থাকে:
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে গ্রিন টি তে উপস্থিত ইজিসিজ নাম উপাদানটি ক্যান্সার সেলকে ধ্বংস করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই কারণেই তো বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন যে ক্যান্সারকে যদি দূরে রাখতে হয় তাহলে গ্রিন টির সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতাতেই হবে।
৪. ওজন নিয়ন্ত্রণে চলে আসে:
একাধিক গবেষণায় একথা প্রমাণিত হয়েছে যে এই চায়ে এমন কিছু উপাদান আছে যা হজম প্রক্রিয়াকে বাড়িয়ে শরীরের অতিরিক্ত মেদ কমিয়ে ফেলতে সাহায্য করে। প্রসঙ্গত, গ্রিন টিয়ে উপস্থিত কেটাচিন পেটের মেদ ঝড়াতে অগ্রগন্য় ভূমিকা পালন করে থাকে।
৫. হার্টের স্বাস্থ্য়ের উন্নতি ঘটে:
প্রতিদিন গ্রিন খেলে হার্ট কিন্তু খুব ভালো থাকে। একটি রিসার্চে দেখা গেছে যারা নিয়মিত গ্রিন টি খেয়ে থাকেন তাদের উচ্চ রক্ত চাপে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা ৪৬-৬৫ শতাংশ কমে যায়। আর একথা তো সকলেরই জানা যে উচ্চ রক্তাচাপের মতো রোগ না থাকলে কমে হার্ঠ অ্যাটাকের আশঙ্কাও। আসলে গ্রিন টির মধ্য়ে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এই কাজটি করে থাকে। এবার থেকে তাই আপনিও সকাল-বিকাল খাওয়া শুরু করুন গ্রিন টি। দেখবেন কেমন অল্প দিনেই চাঙ্গা হয়ে উঠছেন।
৬. দৈহিক ক্ষমতা বাড়তে শুরু করে:
প্রতিদিন সকালে গ্রিন টি খেলে দেখবেন স্টেমিনা কেমন তড়তড়িয়ে বেড়ে যাচ্ছে। তাই তো পুরো দিন ব্য়াপী চনমনে থাকতে, শুধু সকালে নয়, সারাদিনে বেশ কয়েকবার পান করুন এই হেল্থ ড্রিঙ্ক। ফল পাবেন হাতেনাতে।
৭. ব্রেন পাওয়ার বৃদ্ধি পায়:
শুনে আবাক লাগলেও গবেষণায় একথা প্রমাণিত হয়েছে যে স্মৃতিশক্তি বাড়াতে গ্রিন টি সাহায্য় করে। সেই সঙ্গে আমাদের অ্যালার্টনেসও বাড়ায়। তাই আজ থেকেই সকাল-বিকাল খাওয়া শুরু করুন এই চা।
৮. ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়:
বেশি কিছু স্টাডিতে দেখা গেছে নিয়মিত গ্রিন টি পান করলে দেহের অন্দরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদানের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে, যার প্রভাবে ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটতে সময় লাগে না। ফলে একদিকে যেমন ত্বকের বয়স কমে, তেমনি যে কোনও ধরনের স্কিন ডিজিজের প্রকোপ কমতেও সময় লাগে না।