For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

এক গ্লাস জলে অল্প মধু মেশালেই সব শেষ!

প্রতিদিন সকালে উঠে হলকা গরম জলে মধু মিশিয়ে খেলে স্টমাকের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। ফলে বদ-হজম বা গ্যাস-অম্বলের সমস্যা মাথা তোলার সুযোগই পায় না।

By Nayan
|

প্রযুক্তির পিঠে চেপে সমাজ ব্যবস্থা দ্রুত বদলে যাচ্ছে। বদলাচ্ছে পড়াশোনা থেকে শিক্ষার ধরণও। এমন পরিস্থিতিতে নিজের শহর ছাড়ার প্রয়োজন যে লাফিয়ে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। ফলে বহু সংখ্যক ছেলে-মেয়েকে বাড়ি ছেড়ে পাড়ি জমাতে হচ্ছে দূর দেশে বা অন্য রাজ্যে। সেখানে গিয়ে থাকতে হচ্ছে হোস্টেলে বা পিজিতে। আর এসব জায়গার খাবারে যা মান, তাতে ভুখা পেটেই ঘুমতে হচ্ছে আর্ধেক দিন। এমন অবস্থায় শরীরের পুষ্টির ঘাটতি দেখা দেওয়াটা কোনও আশ্চর্য ঘঠনা নয়। এখন প্রশ্ন হল, এমন পরিস্থিতির পরিবর্তন কিভাবে সম্ভব?

পরিসংখ্যান বলছে বাড়ি ছেড়ে বাইরে থাকা ছাত্র-ছাত্রী থেকে চাকরিজীবী, সবাই প্রায় ঠিক মতো খেতে না পেরে ভুগছে নানা অসুখে। অনেকের তো শরীর ভাঙছে চোখ পারার মতো। এমন পরিস্থিতিতে দুটি জিনিসের যুগলবন্দী বেশ কাজে আসতে পারে কিন্তু! কিসের যুগোলবন্দী?

একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে প্রতিদিন যদি এক গ্লাস জলে এক বা দু চামচ মধু মিশিয়ে খাওয়া যায়, তাহলে শরীর বাবাজিকে নিয়ে আরও কোনও চিন্তাই থাকে না। সেই সঙ্গে নানাবিধ রোগ থেকেও বেঁচে থাকা সম্ভব হয়। কী কী কাজে আসে এই মিশ্রনটি?

১. বাইরের খাবার খাওয়ার কারণে আর ভুগতে হবে না বদ-হজমে:

১. বাইরের খাবার খাওয়ার কারণে আর ভুগতে হবে না বদ-হজমে:

প্রতিদিন সকালে উঠে হলকা গরম জলে মধু মিশিয়ে খেলে স্টমাকের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। ফলে বদ-হজম বা গ্যাস-অম্বলের সমস্যা মাথা তোলার সুযোগই পায় না। সেই সঙ্গে মধুতে উপস্থিত একাদিক পুষ্টিকর উপাদান অ্যাসিডিটির সমস্যা কমাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই হোস্টেলের খাবার মুখে তুলতে না পেরে যদি রাস্তার দোকানের খাবার খেয়ে আপনাকে ক্ষিদে মেটাতে হয়ে, তাহলে আজ থেকেই জল এবং মধুকে সঙ্গী বানান। দেখবেন কোনও ধরনের পেটের রোগ আপনাকে ছুঁতেও পারবে না।

২. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে:

২. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে:

বাড়ির বাইরে থাকলে মায়ের হাতের খাবার জোটে না। ফলে এদিক-সেদিক করে দিনযাপন করতে হয়। ফলে ঠিক মতো খাবার না পাওয়ার কারণে স্বাভাবিকভাবেই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হতে শুরু করে। আর একবার যদি শরীরের এই প্রতিরোধী দেওয়াল ভেঙে যায়, তাহলে আর রক্ষা নেই। তখন হাজারো রোগ শরীরে এসে বাসা বাঁধার সুযোগ পেয়ে যায়। তাই তো দেহের ইমিউন সিস্টেমকে চাঙ্গা রাখাটা একান্ত প্রয়োজন। আর এই কাজটি করবেন কিভাবে? খুব সহজ! প্রতিদিন মধু এবং গরম জল খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন রোগের ভোগান্তি আর পোয়াতে হবে না। আসলে মধুতে উপস্থিত অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এজেন্ট শরীরের অন্দরে খারাপ ব্যাকটেরিয়ার বাঁচতে দেয় না। সেই সঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে এতটাই চাঙ্গা করে তোলে যে অন্যান্য ক্ষতিকর জীবনুও শরীরের ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। প্রসঙ্গত, জেনারেল মাইক্রোবায়োলজিস স্পিং কনফারেন্সে মধুর কার্যকারিতা নিয়ে আলোচনা চালাকালীন চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন মধুতে উপস্থিত রয়েছে প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা শরীরে উপস্থিত ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানদের খতম করে ক্যান্সারের মতো মারণ রোগকে দূরে রাখতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৩. অ্যালার্জির প্রকোপ কমায়:

৩. অ্যালার্জির প্রকোপ কমায়:

একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত এক গ্লাস গরম জলে মধু মিশিয়ে পান করলে আমাদের আশেপাশে ঘুরে বেরানো পলেন বা অ্যালার্জি সৃষ্টিকারি উপাদানগুলি সেভাবে আমাদের উপর কোনও প্রভাব ফেলতে পারে না। ফলে স্বাভাবিকভাবেই অ্যালার্জির প্রভাব কমতে শুরু করে।

৪. এনার্জির ঘাটতি দূর হয়:

৪. এনার্জির ঘাটতি দূর হয়:

ঠিক মতো খাবার না খাওয়ার কারণে প্রথমেই যে ক্ষতিটা হয়, তা হল শরীরের এনার্জি কমতে শুরু করে। ফলে কাজে মন বসতে চায় না। সেই সঙ্গে সারাক্ষণই কেমন যেন ক্লান্তি বোধ ঘিরে থাকে। এমন পরিস্থিতে জল-মধুর যুগোলবন্দী দারুন কাজে আসতে পারে কিন্তু। কারণ একদিকে জল দেহের অন্দরে জলের ঘাটতি দূর করে শরীরকে চাঙ্গা করে তোলে। অন্যদিকে মধু দেহে কার্বোহাইড্রেটের যোগান ঠিক রাখার মধ্যে দিয়ে এনার্জির ঘাটতি দূর করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই এবার থেকে কলেজ বা অফিস যাওয়ার আগে ল্যাথারজিক লাগলে কী করতে হবে, তা নিশ্চয় জেনে গেলে বন্ধুরা!

৫. গলার ব্যথা এবং সর্দির প্রকোপ কমায়:

৫. গলার ব্যথা এবং সর্দির প্রকোপ কমায়:

হঠাৎ ঠান্ডা লেগে যাওয়ার কারণে গলায় ব্যথা। সেই সঙ্গে হাঁচি-কাশি? ফিকার নট! এক গ্লাস গরম জলে কয়েক চামচ মধু মিশিয়ে খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন উপকার মিলবে। প্রসঙ্গত, বুকে সর্দি জমে থাকার মতো সমস্যা কমাতেও মধু এবং জলের কোনও হিকল্প হয় না বললেই চলে।

৬. ওজন কমায়:

৬. ওজন কমায়:

আর মাত্র ১৯ দিন। তার পরেই মা দুগ্গার আগমণ ঘটবে। তার আগে বন্ধুরা একটু মধ্যপ্রদেশের মেদ না ঝরালে কিভাবে চলবে বলুন! কিন্তু এত কম সময়ে এমনটা হবে কিভাবে? কোনও চিন্তা নেই! কাল সকাল থেকেই খালি পেটে এক গ্লাস গরম জল, সঙ্গে মধু মুশিয়ে খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন অল্প দিনেই অতিরিক্ত মেদ কমে যাবে।

৭.শরীরে জমে থাকা বিষ বেরিয়ে যাবে:

৭.শরীরে জমে থাকা বিষ বেরিয়ে যাবে:

খাবারের সঙ্গে তো বটেই, আরও নানাভাবে একাধিক ক্ষতিকর উপাদান আমাদের শরীরে এবং রক্তে প্রতিনিয়ত মিশে চলেছে। এই সব টক্সিক উপাদানগুলিকে যদি শরীর থেকে বার না করা যায়, তাহলেই কিন্তু বিপদ! আর এক্ষেত্রে আপনাকে দারুনভাবে সাহায্য করতে পারে জল এবং মধু। কিভাব? এই পানীয়টি খাওয়ার পর পরই প্রস্রাবের হার বেড়ে যাবে। ফলে কিডনি, প্রস্রাবের মধ্যে দিয়ে শরীরে উপস্থিত এইসব টক্সিক উপাদানদের বের করে দিতে পারবে। ফলে কমবে নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা।

৮. শরীর রোগ মুক্ত হবে:

৮. শরীর রোগ মুক্ত হবে:

একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত মধু এবং জল মিশিয়ে খেলে শরীরে ভাল কোলেস্টরলের মাত্রা বাড়বে, যা হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটানোর পাশাপাশি শরীরকেও নানাবিধ রোগ থেকে দূরে রাখবে। ফলে আর মা-বাবাকে আপনার শরীর নিয়ে আর চিন্তায় থাকতে হবে। বোঝেনই তো বাড়ির বাইরে থাকলে বাবা-মাদের আমাদের শরীর নিয়ে কতটা চিন্তা বেড়ে যায়!

Read more about: রোগ শরীর
English summary

একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে প্রতিদিন যদি এক গ্লাস জলে এক বা দু চামচ মধু মিশিয়ে খাওয়া যায়, তাহলে শরীর বাবাজিকে নিয়ে আরও কোনও চিন্তাই থাকে না। সেই সঙ্গে নানাবিধ রোগ থেকেও বেঁচে থাকা সম্ভব হয়।

Maybe you only know the benefits of a warm glass of water in the morning or maybe you have only heard about how honey is great for your skin, but have you heard what wonders combining warm water and honey can do for you overall? Read on and let me tell you the wonders of honey and warm water. I promise you, this is no old wives’ tale.
X
Desktop Bottom Promotion