Just In
- 5 hrs ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
- 6 hrs ago আপনার কি ক্রমাগত কান চুলকাচ্ছেন? অজান্তেই ডেকে আনচ্ছেন বড় বিপদ
- 10 hrs ago মসুর ডাল খেতে ভালোবাসেন? কিন্তু অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
- 11 hrs ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
Don't Miss
প্রতিদিন নিয়ম করে রসুন খাওয়া উচিত কেন জানেন?
একটি বিখ্যাত উপমা আছে না, "পেহেলা দর্শনধারি ফির গুণ বিচারি...।" এই কথাটিকে সত্য মেনে অনেকেই রসুনের গুণাগুণ বিচার করে থাকেন। আর ঠিক এখানেই ভুলটা করে ফেলেন।
একটি বিখ্যাত উপমা আছে না, "পেহেলা দর্শনধারি ফির গুণ বিচারি...।" এই কথাটিকে সত্য মেনে অনেকেই রসুনের গুণাগুণ বিচার করে থাকেন। আর ঠিক এখানেই ভুলটা করে ফেলেন। কারণ দর্শনের দিক থেকে রসুন সুদর্শন না হলেও গুণের দিক থেকে এই সবজিটিকে টক্কর দিতে পারে এমন কেউ নেই কিন্তু! তাই তো আজ এই প্রবন্ধে কাঁচা রসুন খাওয়ার এমন কিছু উপকারিতা সম্পর্কে আপনাদের জানাতে চলেছি, যা জানার পর এই সবজিটি সম্পর্কে আপনাদের ধারণাই বদলে যাবে।
প্রসঙ্গত, রসুনে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় আয়রন, ক্যালসিয়াম,কপার,ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম এবং ভিটামন-এ,বি এবং সি। এই প্রত্যেকটি উপাদানই নানা ভাবে শরীরের উপকারে লেগে থাকে। তাই তো কাঁচা অবস্থায় হোক, কী জলে ফেলে, যে কোনও ভাবেই প্রতিদিন যদি রসুন খাওয়া যায়, তাহলে মেলে নানা উপাকার। যেমন ধরুন...
১. ফাঙ্গাল ইনফেকশন:
শরীরের কোথাও সংক্রমণ হলেই পরিমাণ মতো রসুনের কোয়া নিয়ে সেখানে ভাল করে ঘষে দিন। দেখবেন নিমেষে ইনফেকশন কমে যাবে। আসলে এই প্রকৃতিক উপাদানটিতে উপস্থিত অ্যান্টি-ফাঙ্গাল প্রপাটিজ এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
২. স্টমাককে ঠান্ডা রাখে:
হে খাদ্যরসিক বাঙালি জিভের কথা শুনতে গিয়ে কি মাঝে মধ্যেই পেটে রোগে ভুগে থাকেন? তাহলে আজ থেকেই এক কোয়া করে রসুন খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন উপকার মিলবে। আসলে গ্যাস-অম্বলের প্রকোপ কমানোর পাশাপাশি হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটাতে রসুনের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। তবে তাই বলে মাত্রাতিরিক্ত হারে রসুন খাওয়া শুরু করবেন না যেন! অল্প করে খাবেন। তাতেই দেখবেন উপকার মিলবে।
২. ঠান্ডা লাগার প্রকোপ থেকে বাঁচায়:
ওয়েদার চেঞ্জ হলেই ঠান্ডা লাগে? সেই সঙ্গে জ্বর তো আছেই! এমন অবস্থার শিকার যদি আপনিও হয়ে থাকেন, তাহলে রসুনকে বেস্ট ফ্রেন্ড বানাতে ভুলবেন না যেন! কেন এমন কথা বলছি, তাই ভাবছেন নিশ্চয়? আসলে রসুনে উপস্থিত একাধিক উপকারি উপাদান শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে এতটা শক্তিশালী করে তোলে যে এমন ধরনের সমস্যা ধারে কাছে ঘেঁষার সুযোগই পায় না।
৪. ক্যান্সার প্রতিরোধী:
রসুনে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টি-ক্যান্সার এজেন্ট। তাই তো নিয়মিত এটি থেলে স্টমাক এবং কোলোন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বহু গুণে কমে যায়। এই কারণেই তো প্রতিটি ভারতীয়কে আজকাল রসুন খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু কেন এমন পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে? আসলে গত কয়েক বছরে যেহারে এদেশে ক্যান্সার রোগের প্রকোপ বাড়ছে তাতে রসুন খাওয়ার প্রয়োজনও যে বৃদ্ধি পয়েছে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই!
১. রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না:
শরীরের প্রতিটি অংশে রক্ত সরবরাহ যাতে সুন্দরভাবে হয়, সেদিকে খেয়াল রাখে রসুন। সেই সঙ্গে ব্লাড কল্ট হওয়ার আশঙ্কাও কমায়।
৬. কোলেস্টেরল:
শরীরে বাজে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি আর্টারিতে ময়লা জমে যাতে রক্ত সরবরাহ ব্যাহত না হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখে রসুন। তাই তো যারা হার্টের সমস্যায় বা অনিয়ন্ত্রিত কোলেস্টেরলের সমস্যায় ভুগছেন, তারা প্রতিদিন এক কোয়া করে রসুন খেলে দাকরুন উপকার মেলে।
৭. রক্তকে পরিশুদ্ধ করে:
প্রতিদিন সকালে গরম জলের সঙ্গে যদি দু কোয়া রসুন খেতে পারেন, তাহলে রক্তে উপস্থিত ক্ষতিকর উপাদান শরীর থেকে বেরিয়ে যেতে শুরু করে। ফলে রক্ত এত মাত্রায় পরিশুদ্ধ হয়ে ওঠে যে নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। সেই সঙ্গে ব্রণর মতো স্কিন প্রবলেম হাওয়ার সম্ভাবনাও কমে।
কাদের রসুন খাওয়ার আগে চিকিৎসকেরা পরামর্শ নিতে হবে?
অ্যাস্থেমায় ভুগছেন এমন রোগীরা ভুলেও রসুন খাবেন না যেন! কারণ রসুনে এমন কিছু উপাদান থাকে যা অ্যাস্থেমার মতো রোগকে আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। এক্ষেত্রে আরেকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে, তা হল ছোট-বড় কোন ধরনের আপারেশনের আগে রসুন খাওয়া একেবারে বন্ধ করে দিতে হবে। আর ভুলেও দিনে ২-৩ টে কোয়ার বেশি রসুন খাওয়া চলবে না কিন্তু!