For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

কাঁঠালের বিচি খেলেই কিন্তু...!

বর্ষাকালে নানাবিধ সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে কাঁঠালের বীজ আপনাকে দারুনভাবে সাহায্য করতে পারে।

By Nayan
|

কী হবে কাঁঠালের বিচি খেলে? হতে চাইলে তো অনেক কিছুই হতে পারে! কিন্তু কতটা কী হবে, তা নির্ভর করবে আপনার শরীরের উপর।

একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে বিশ্বের সবথেকে বড় এই ফলটির শরীরে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় প্রোটিন, ভিটামিন বি এবং পটাশিয়াম, যা শরীরকে চাঙ্গা রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। কিন্তু আজ এই প্রবন্ধে কাঁঠাল নয়, আলোচনা করা হবে কাঁঠালের বীজ নিয়ে।

আপনাদের কি জানা আছে কাঁঠালের বীজ খেলে কী হতে পারে? গবেষণা বলছে এমনটা করলে শরীরের কোনও ক্ষতি তো হয়ই না, উল্টে অনেক উপকার মেলে। আসলে কাঁঠালের বীজে রয়েছে থিয়ামিন, রাইবোফ্লেবিন নামে দুটি উপাদান, যা দেহে এনার্জির ঘাটতি দূর করার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এখানেই শেষ নয়, এই প্রকৃতিক উপাদানে উপস্থিত জিঙ্ক, আয়রন, ক্যালসিয়াম, কপার, পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম ত্বককে সুন্দর করে তোলার পাশাপাশি একাধিক রোগকে দূরে রেখে শরীরকে সার্বিকভাবে চাঙ্গা করে তুলতেও সাহায্য করে। সেই সঙ্গে আরও অনেক উপকার লাগে। যেমন...

১. সংক্রমণ প্রতিরোধ করে:

১. সংক্রমণ প্রতিরোধ করে:

বর্ষাকালে নানাবিধ সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে কাঁঠালের বীজ আপনাকে দারুনভাবে সাহায্য করতে পারে। আসলে এতে উপস্থিত একাধিক অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল এলিমেন্ট জীবাণুদের দূরে রাখার মধ্যে দিয়ে নানাবিধ ফুড-বন এবং ওয়াটার বন ডিজিজের প্রতিরোধ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। এখানেই শেষ নয়, একাদিক কেস স্টাডি একথা প্রমাণ করেছে যে হজমের সমস্যা কমাতেও কাঁটালের বীজ দারুন কাজে আসে।

২. বলি রেখা কমায়:

২. বলি রেখা কমায়:

খাতায় কলমে বয়স বাড়ালেও ত্বককে যদি আজীবন তরতাজা এবং সুন্দর রাখতে চান, তাহলে আজ থেকেই ব্যবহার শুরু করুন কাঁঠালের বীজের। এক্ষেত্রে পরিমাণ মতো বীজ নিয়ে প্রথমে গুঁড়ো করে নিন। তারপর সেটি অল্প পরিমাণ দুধের সঙ্গে মিশে একটা পেস্ট বানিয়ে ফেলুন। এই পেস্টটি প্রতিদিন মুখে লাগালে দারুন উপকার পাওয়া যায়। আর যদি হাতের কাছে মধু থেকে থাকে, তাহলে সেটিও এই পেস্টটি বানানোর সময় কাজে লাগাতে পারেন। দেখা গেছে পেস্টটির সঙ্গে মধু যোগ করলে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য আরও বৃদ্ধি পায়।

৩. স্ট্রেস কমায়:

৩. স্ট্রেস কমায়:

অফিসে কাজের চাপ এমন বেড়েছে যে মাথা থেকে ধোঁয়া বেরতে শুরু করেছে? ফিকার নট! হাতের কাছে কাঁঠালের বীজ আছে কি? যদি না থাকে, তাহলে এক্ষুনি কিনে এনে খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন নিমেষে মানসিক চাপ কমে যাবে। আসলে এই প্রকৃতিক উপাদানটিতে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় প্রোটিন এবং অন্যান্য উপকারি মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টস, যা মস্তিষ্কের অন্দরে কেমিকেল ব্যালেন্স ঠিক রাখার মধ্যে দিয়ে স্ট্রেস কমাতে বিশেষ ভূমিকা নেয়।

৪. অ্যানিমিয়ার প্রকোপ কমে:

৪. অ্যানিমিয়ার প্রকোপ কমে:

জিবিডি সার্ভে অনুসারে অ্যানিমিয়ায় রোগীর সংখ্যার দিক থেকে গত এক দশক ধরে সারা বিশ্বের মধ্যে ভারত এক নম্বরে। আর এত সংখ্যক রোগীর মধ্যে বেশিরভাগই মহিলা এবং বাচ্চা। এখন প্রশ্ন হল, এমন পরিস্থিতি হল কেন আমাদের দেশে? সমীক্ষা রিপোর্ট বলছে এই রোগের বিষয়ে সচেতনতার অভাব, ঠিক মতো খেতে না পাওয়া এবং আরও নানা সামাজিক এবং অর্থনৈতিক কারণ এক্ষেত্রে দায়ি। মজার বিষয় কি জানেন, এই অবস্থার পরিবর্তনে সক্ষম এমন উপায় হাতের কাছে থাকলেও বেশিরভাগ মানুষই সে সম্পর্কে জানেন না। কী সেই উপায়? গবেষণা বলছে কাঁঠালের বীজে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় আয়রন, যা খুব অল্প দিনেই রক্তাল্পতার মতো সমস্য়া দূর করতে দারুনভাবে সাহায্য করে থাকে। আর কাঁঠালের বীজের দামও এমন কিছু নয়। তাই সরকারের উচিত এই বিষয়ে শহরাঞ্চলের পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলের মানুষকেও সচতন করে তোলা। কারণ এই প্রাকৃতিক উপাদানটিই পারে আমাদের দেশে অ্যানিমিয়া রোগের প্রকোপ কমাতে।

৫. দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটে:

৫. দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটে:

কাঁঠালের বীজে উপস্থিত ভিটামিন এ, দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটানোর পাশাপাশি একাধিক চোখ সম্পর্কিত সমস্যাকে দূরে রাখতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই বুড়ো বয়সে যদি চশমা ব্য়বহার করতে না চান, তাহলে আজ থেকেই কাঁঠালের বীজকে সঙ্গে রাখতে শুরু করুন। দেখবেন উপকার মিলবে।

৬. হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়:

৬. হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়:

পরিমাণ মতো কাঁঠালের বীজ নিয়ে প্রথমে কিছুটা সময় রোদে শুকিয়ে নিন। তারপর সেগুলি বেটে নিয়ে চটজলটি গুঁড়ো করে ফেলুন। এই গুঁড়ো পাউডারটি খেলে নিমেষে বদ-হজম এবং গ্যাস-অম্বলের মতো সমস্যা কমে যায়। সেই সঙ্গে কনস্টিপেশনের মতো সমস্যা কমাতেও সাহায্য করে। আসলে এতে উপস্থিত ডায়াটারি ফাইবার এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

Read more about: রোগ শরীর
English summary

আপনাদের কি জানা আছে কাঁঠালের বীজ খেলে কী হতে পারে? গবেষণা বলছে এমনটা করলে শরীরের কোনও ক্ষতি তো হয়ই না, উল্টে অনেক উপকার মেলে। কেমন উপকার? এই উত্তর পেতে যে চোখ রাখতে হবে এই প্রবন্ধে।

Jackfruit is the largest tree fruit in the world, capable of growing big and heavy. It's packed with protein and loads of other nutrients like Vitamin B and Potassium. But, did you know that the seeds of this fruit are healthy too? These seeds are rich in thiamin and riboflavin which help in turning the food you eat into energy and keep your eyes, skin and hair healthy. The seeds also provide small amounts of minerals like zinc, iron, calcium, copper, potassium and magnesium.
Story first published: Friday, September 1, 2017, 13:01 [IST]
X
Desktop Bottom Promotion