For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

শীতকালে প্রতিদিন ১ টা করে পেয়ারা খাওয়া উচিত কেন জানেন কি?

পেয়ারার উপস্থিত ভিটামিন সি, লাইকোপেন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মাথার চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত শরীরের প্রতিটি অংশকে সুস্থ এবং সুন্দর রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

|

পেয়ারার উপস্থিত ভিটামিন সি, লাইকোপেন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মাথার চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত শরীরের প্রতিটি অংশকে সুস্থ এবং সুন্দর রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে এতে উপস্থিত ম্যাগনেসিয়াম, শরীর যাতে খাবারে উপস্থিত নানাবিধ পুষ্টিকর উপাদান ঠিক মতো গ্রহণ করতে পারে, সেদিকেও খেয়াল রাখে। এখানেই শেষ নয়, শরীরকে চাঙ্গা রাখতে আরও নানাভাবে সাহায্য করে থাকে এই ফলটি। যেমন ধরুন...

১. ভাবী মায়েদের জন্য দারুন উপকারি:

১. ভাবী মায়েদের জন্য দারুন উপকারি:

গর্ভাবস্থায় মা এবং বাচ্চাকে সুস্থ রাখতে ফলিক অ্যাসিডের ঘাটতি যাতে মায়ের শরীরে কখনও না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখটা একান্ত প্রয়োজন। আর এই কাজে পেয়ারার কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে! কারণ এই ফলটির অন্দরে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ফলিক অ্যাসিড। তাই তো নিয়মিত পেয়ারা খাওয়া শুরু করলে ভাবী মায়ের শরীরে এই বিশেষ উপাদানটির ঘাটতি দেখা দেওয়ার আশঙ্কা আর থাকে না বললেই চলে। ফলে প্রসবের সময় এবং তার আগে কোনও ধরনের জটিলতা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা যায় কমে।

২. ব্ল্যাকহেডস দূর হয়:

২. ব্ল্যাকহেডস দূর হয়:

এক্ষেত্রে পরিমাণ মতো পেয়ারা পাতা নিয়ে সেগুলিকে ছোট ছোট টুকরো করে নিতে হবে। তারপর তাতে জল মিশিয়ে বানিয়ে ফেলতে হবে একটি পেস্ট। এবার সেই পেস্টটি মুখে লাগিয়ে ভাল করে মাসাজ করলেই দেখবেন ব্ল্যাকহেডসের প্রকোপ কমবে চোখে পরার মতো। সেই সঙ্গে ত্বকের উপরিংশে জমতে থাকা মৃত কোষের স্তর সরে যাওয়ার কারণে ত্বকের উজ্জ্বলতাও বাড়বে চোখে পরার মতো।

৩. ব্রেন পাওয়ার বৃদ্ধি পায়:

৩. ব্রেন পাওয়ার বৃদ্ধি পায়:

পেয়ারায় উপস্থিত ভিটামিন বি৩ এবং বি৬ মস্তিষ্কে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্তের সরবরাহ বাড়িয়ে দেয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ব্রেনের কগনেটিভ ফাংশন, অর্থাৎ স্মৃতিশক্তি, বুদ্ধি এবং মনোযোগের উন্নতি ঘটে।

৪. দাঁতের যন্ত্রণা কমে নিমেষে:

৪. দাঁতের যন্ত্রণা কমে নিমেষে:

বেশ কিছু স্টাডিতে দেখা গেছে পেয়ারা পাতার অন্দরে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান, যা নিমেষে দাঁতের ব্যথা তো কমায়ই, সেই সঙ্গে মুখ গহ্বরে উপস্থিত ক্ষতিকর জীবাণুদেরও মেরে ফেলে। ফলে মুখের বদগন্ধ দূর হতে সময় লাগে না।

৫. সংক্রমণের আশঙ্কা কমে:

৫. সংক্রমণের আশঙ্কা কমে:

একেবারেই ঠিক শুনেছেন বন্ধু! আসলে এই ফলটিতে উপস্থিত অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এজেন্ট, শরীরে প্রবেশ করা মাত্র ক্ষতিকর জীবাণুদের মারতে শুরু করে। ফলে কোনও ধরনের সংক্রমণের আশঙ্কা কমে যায়। সেই সঙ্গে শরীরে উপস্থিত সমস্ত ধরনের বিষাক্ত উপাদানও বেরিয়ে যায়। ফলে নিমেষে শরীর চাঙ্গা হয়ে ওঠে। সেই সঙ্গে আয়ুও বাড়ে চোখে পরার মতো।

৬. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠে:

৬. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠে:

আপনাদের কি জানা আছে পেয়ারায় রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন সি, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধী ব্যবস্থাকে এতটা মজবুত করে তোলে যে ছোট-বড় কোনও ধরনের রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। এখানেই শেষ নয়, নানা ধরনের সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচাতেও ভিটামিন সি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই কারণেই তো একেবারে ছোট বেলা থেকে বাচ্চাদের পেয়ারা খাওয়ানোর পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা।

৭. স্কিন টোনার হিসেবে দারুন কাজে আসে:

৭. স্কিন টোনার হিসেবে দারুন কাজে আসে:

প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন, মিনারেল এবং নানাবিধ উপকারি উপাদান থাকার কারণে শুধু পেয়ারা নয়, পেয়ারা পাতাকেও স্কিন টোনার হিসেবে কাজে লাগানো যেতে পারে। এক্ষেত্রে এক বাটি জলে পেয়ারা অথবা পেয়ারা পাতা সেদ্ধ করে সেই জল দিয়ে মুখ ধুতে হবে। এমনটা করলে ত্বকের অন্দরে পুষ্টির ঘাটতি দূর হয়। ফলে ত্বকের সৌন্দর্য বাড়তে সময় লাগবে না। প্রসঙ্গত, এই ঘরোয়া টোটকাটিকে কাজে লাগালে ত্বক বেজায় টানটান হয়ে ওঠে। যে কারণে বলিরেখার হাত থেকেও নিস্তার মেলে। প্রসঙ্গত, ব্রণর প্রকোপ কমাতেও একইভাবে যদি পেয়ারাকে কাজে লাগাতে পারেন, তাহলে কিন্তু দারুন উপকার পাওয়া যায়।

৮. ত্বককে ফর্সা করে তোলে:

৮. ত্বককে ফর্সা করে তোলে:

অল্প পরিমানে পেয়ারার খোসা নিয়ে তার সঙ্গে ডিমের কুসুম মিশিয়ে একটা মিশ্রন বানিয়ে ফেলুন। তারপর সেটি ভাল করে মুখে লাগিয়ে কম করে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। সময় হয়ে গেলে হালকা গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন মুখটা। এইভাবে সপ্তাহে ২-৩ ত্বকের পরিচর্যা করলে দেখবেন ত্বক ফর্সা এবং উজ্জ্বল হয়ে উঠতে সময় লাগবে না।

৯.দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটে:

৯.দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটে:

প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন এ থাকার কারণে নিয়মিত পেয়ারা খেলে দৃষ্টিশক্তির মারাত্মক উন্নতি ঘটে। সেই সঙ্গে ছানি, ম্যাকুলার ডিজেনারেশন এবং গ্লকোমার মতো রোগও দূরে থাকে।

১০. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে চলে আসে:

১০. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে চলে আসে:

একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে প্রতিদিন একটা করে পেয়ারা খাওয়া শুরু করলে দেহের অন্দরে পটাশিয়ামের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে, যার প্রভাবে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে চলে আসতে সময় লাগে না।

১১. হার্টের ক্ষমতা বাড়ে:

১১. হার্টের ক্ষমতা বাড়ে:

শরীরে সোডিয়াম এবং পটাশিয়াম লেভেল ঠিক রাখার মধ্যে দিয়ে ব্লাড প্রেসারকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ ভূমিকা নেয় পেয়ারা। শুধু তাই নয়, ট্রাইগ্লিসারাইড এবং ক্ষতিকর কোলেস্টরলের মাত্রা কমিয়ে হার্টকে সুস্থ রাখতেও সাহায্য় করে এই ফলটি। তাই যাদের পরিবারে উচ্চ রক্তচাপ এবং হার্টের রোগের ইতিহাস রয়েছে, তারা নিয়মিত পেয়েরা খাওয়া শুরু করুন, দেখবেন উপকার মিলবে।

১২. অতি বেগুনি রশ্মির প্রভাবে ক্ষতি হয় কম:

১২. অতি বেগুনি রশ্মির প্রভাবে ক্ষতি হয় কম:

পেয়ারায় রয়েছে লাইকোপেন নামক একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা অতি বেগুনি রশ্মির ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে ত্বককে বাঁচাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে সূর্যালোকের কারণে ত্বকের সৌন্দর্য যাতে না কমে, সেদিকেও খেয়াল রাখে। এক্ষেত্রে পরিমাণ মতো পেয়ারা নিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিতে হবে। তারপর তা মুখে লাগিয়ে কিছু সময় অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলতে হবে মুখটা। সপ্তাহে ৩-৪ দিন এমনভাবে ত্বকের পরিচর্যা করলেদেখবেন দারুন উপকার পাবেন।

১৩. হেয়ার ফলের মাত্রা কমে:

১৩. হেয়ার ফলের মাত্রা কমে:

অতিরিক্তি চুল পড়ে যাওয়ার কারণে যদি চিন্তায় থাকেন, তাহলে পেয়ারাকে কাজে লাগাতে ভুলবেন না যেন! আসলে ভিটামিন সি-তে পরিপূর্ণ থাকার কারণে এই ফলটি নিয়মিত খেলে স্কাল্পের অন্দরে পুষ্টির ঘাটতি দূর হয়। সেই সঙ্গে চুলের গোড়া শক্তপোক্ত হয়ে ওঠে। ফলে মাত্রাতিরিক্তি চুল পড়ে যাওয়ার সমস্যা কমতে সময় লাগে না।

১৪. ক্যান্সারের মতো মারণ রোগ দূরে থাকে:

১৪. ক্যান্সারের মতো মারণ রোগ দূরে থাকে:

ক্রমবর্ধমান এই মারণ রোগকে থামাতে পারে একমাত্র প্রকৃতি। কারণ প্রকৃতির অন্দরেই রয়েছে সেই শক্তি, যা আমাদের ক্যান্সার রোগ থেকে দূরে রাখতে পারে। যেমন পোরার কথাই ধরুন না। এতে উপস্থিত লাইকোপেন, কুয়েরসেটিন, ভিটামিন সি এবং পলিফেনল শরীরের অন্দরে জমতে থাকা ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানদের বার করে দেয়। ফলে ক্যান্সার সেল জন্ম নেওয়ার আশঙ্কা অনেক কমে যায়। প্রসঙ্গত, একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে ব্রেস্ট এবং প্রস্টেট ক্যান্সার রোধে পেয়ারার কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে।

১৫. ত্বকের আদ্রতা বজায় থাকে:

১৫. ত্বকের আদ্রতা বজায় থাকে:

ডামার্টোলজিস্টদের মতে ত্বক যত আদ্র থাকবে, তত তার সৌন্দর্য বাড়বে। তাই কখনও যাতে ত্বকের আদ্রতা না কমে, সেদিকে খেয়াল রাখাটা জরুরি। আর এই কাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারে পেয়ারা। আসলে এই ফলটির শরীরের ৮১ শতাংশই জলে পরিপূর্ণ। তাই তো নিয়মিত একটা করে পেয়ারা খেলে ত্বকের অন্দরে জলের ঘাটতি দূর হয়। ফলে আদ্রতা কমে যাওয়ার আশঙ্কা কমে।

১৬. কোষ্ঠকাঠিন্যের প্রকোপ কমে:

১৬. কোষ্ঠকাঠিন্যের প্রকোপ কমে:

শরীরে ফাইবারের মাত্রা বাড়তে থাকলে পেটের রোগ যেমন কমে, তেমনি কনস্টিপেশনের মতো সমস্যাও দূরে পালায়। আর ফলেদের দুনিয়ায় পেয়ারায় মধ্যেই রয়েছে সবথেকে বেশি মাত্রায় ফাইবার। তাই প্রতিদিন সকালে প্রকৃতির ডাকে সারা দেওয়ার সময় যদি বেজায় কষ্ট পোয়াতে হয়, তাহলে আজ থেকেই পেয়ারাকে রোজের সঙ্গী বানান। দেখবেন কষ্ট একেবারে কমে যাবে।

১৭. স্ট্রেসের প্রকোপ কমে:

১৭. স্ট্রেসের প্রকোপ কমে:

গত কয়েক দশকে আমাদের দেশের পাশাপাশি সমগ্র বিশ্বে যে রোগগুলির প্রকোপ চোখে পরার মতো বৃদ্ধি পেয়েছে, সেগুলির প্রায় সবকটির সঙ্গেই মানসিক চাপ বা স্ট্রেসের সরাসরি যোগ রয়েছে। তাই সময় থাকতে থাকতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়াটা জরুরি। এক্ষেত্রে পেয়ারা আপনাকে দারুনভাবে সাহায্য করতে পারে। আসলে এতে উপস্থিত ম্যাগনেসিয়াম নার্ভের চাপ কমানোর মধ্যে দিয়ে স্ট্রেস কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

১৮. রক্তে সুগারের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে চলে আসে:

১৮. রক্তে সুগারের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে চলে আসে:

পেয়ারায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, যা রক্তে শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আর এই ফলটি যেহেতু গ্লাইকেমিক ইনডেক্সে একেবারে নিচের দিকে আসে, তাই পেয়েরা খেলে ব্লাড সুগার বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কাও থাকে না। তাই ডায়াবেটিক রোগীরা নিশ্চিন্তে এই ফলটি খেতে পারেন।

১৯. ত্বকের বয়স কমে যায়:

১৯. ত্বকের বয়স কমে যায়:

নানা করণে অসময়েই কি বুড়িয়ে যাচ্ছে ত্বক, সেই সঙ্গে প্রকাশ পাচ্ছে বলিরেখা? তাহলে বন্ধু আজ থেকেই ত্বকের পরিচর্যায় পেয়ারাকে কাজে লাগাতে শুরু করুন। দেখবেন উপকার পাবেন। আসলে এই ফলটিতে উপস্থিত ভিটামিন এ, বি, সি এবং পটাশিয়াম, ত্বকের অন্দরে জমতে থাকা ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানদের বের করে দেয়। সেই সঙ্গে স্কিন সেলেদের যাতে কোনওভাবে ক্ষতি না হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ত্বকের বয়স তো কমেই, সেই সঙ্গে বলিরেখাও মিলিয়ে যেতে শুরু করে। এই কারণেই তো ত্বকের পরিচর্যায় নিয়মিত পেয়ারাকে কাজে লাগানোর পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা।

Read more about: শরীর রোগ
English summary

19 Health Benefits of Guava You May Not Know About

Guavas are one of the richest sources of vitamin C? It’s true. Guava fruit contains 4 times the vitamin C content present in oranges. Vitamin C helps improve immunity and protects you against common infections and pathogens. Moreover, it keeps your eyes healthy.
Story first published: Monday, November 12, 2018, 17:33 [IST]
X
Desktop Bottom Promotion