Related Articles
-
সমীক্ষা বলছে শীতকালে বাড়ে মাইগ্রেনের প্রকোপ! তাই প্রশ্ন হল এই রোগের কষ্ট কমানোর উপায় কি?
-
চুল-পড়া আটকানো আর কোনও সমস্যাই নয়
-
উচ্চ রক্তচাপের মতো মারণ রোগে যদি আক্রান্ত হতে না চান তাহলে নিয়মিত শরীরচর্চা করতে ভুলবেন না যেন!
-
সাবধান: মানসিক অবসাদ এবং অ্যাংজাইটির কারণে কিন্তু অকেজ হয়ে যেতে পারে হার্ট!
-
বাইপোলার ডিজঅর্ডারের মতো রোগের প্রকোপ কমবে নিয়মিত এক বাটি দই খেলে: স্টাডি
-
সাবধান: এই বদ অভ্যাসগুলির কারণে কিন্তু আক্রান্ত হতে পারেন অ্যাস্থেমার মতো ক্রণিক রোগে!
জিরের যাদু!
কাশ ফুল আর ঢাকের বাদ্যি। মা আসছেন। রাত জেগে পায়ে হেঁটে প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ভিড় জমাবে অগুনতি মানুষ। এই সময়ে কে না চায় সুস্থ থেকে মজা করতে। তাই দিন শুরু করুন এক গ্লাস জিরে ভেজানো জল দিয়ে আর ফল পান হাতে নাতে। বানানোটাও এমন কিছু কঠিন নয়। কয়েকটা জিরে সামান্য জলে ফুটিয়ে নিন। ঠাণ্ডা হলে সকালে খালি পেটে এক গ্লাস পান করুন। হিন্দি বলয়ে জল জিরা নামে সুপরিচিত এই পানীয়টি নানাবিধ শারীরিক জটিলতায় দারুণ ভাল কাজ করে।
বোল্ডস্কাই এই প্রবন্ধে আপনাকে জানাবে জিরে ভেজানো জলের ১৫ টি অবিশ্বাস্য উপকারিতার সম্পর্কে...
১. পেটের ঠান্ডা করে:
জিরের জল অম্বল ও গ্যাসের সমস্যা দূর করে। কমায় বদহজমের মতো রোগও। তলপেট ও পেটের ব্যথা উপশমেও এই ঘরোয়া ওষুধটি দারুন কাজে আসে। এক কথায় পুজোর সময় এখানে-সেখানে খেয়ে পেট যাতে না খারাপ সে জন্য এখন থেকেই জিরাকে সঙ্গী বানানো মাস্ট!
২. গর্ভাবস্থায় হজমের জন্য উপকারি:
পেটে সন্তান থাকার সময়ে হজমের সমস্যা দেখা দেওয়াটা খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। এক্ষেত্রেও জিরা দারুন কাজে আসে। আসলে এই প্রকৃতিক উপাদানটি শর্করা ও ফ্যাটজাতীয় খাবারের পাচনে সহায়ক উৎসেচকে উৎপাদনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৩. গর্ভাবস্থায় মায়ের দুধের পরিমাণ বাড়ায়:
মাতৃত্বকালীন অবস্থায় জিরে ভেজানো জল পান করলে মায়ের স্তনগ্রন্থি থেকে স্তন্য নিঃসরণের সমস্যা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়। সেই সঙ্গে এই সম্পর্কিত আরও জটিলতা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার সুয়োগ পায় না।
৪. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়:
জিরেতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। সেই সঙ্গে রয়েছে ডায়েটারি ফাইবারও। সব মিলিয়ে পেটের রোগ থেকে শুরু করে রক্তাল্পতা এবং ওজন কমাতেও জিরের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে।
৫. ডায়াবেটিসে উপকারি:
মধু মেহ বা ডায়াবেটিস রোগের চিকিৎসায় সাহায্য করে জিরের জল। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক গ্লাস করে জিরের জল পান করলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। ফলে ডায়াবেটিস রোগের কারণে কোনও ঝরনের শারীরিক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা কমে।
৬. শ্বাসতন্ত্রের জন্য ভাল:
বুকে জমা কফ বের করে নিঃশ্বাস প্রশ্বাসের সুবিধা করে দিতে জিরে অসামান্য ভুমিকা নেয়। সেই সঙ্গে ফুসফুসের কর্মক্ষমতাও বাড়ে।
৭. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ থাকে:
উচ্চ রক্তচাপে ভোগেন না এমন মানুষ আজ বিরল। কিন্তু প্রশ্নটা হল এত সংখ্যক মানুষ এই রোগে ভোগেন কেন? আসলে অনিয়ন্ত্রীত জীবনযাত্রার কারণে রক্তে সোডিয়ামের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে এই রোগ ঘারে চেপে এসে বসে। তাই তো এক্ষেত্রে জিরা জল এতটা ভাল কাজে আসে। আসলে এই পানীয়তে থাকা পটাশিয়াম শরীরে সোডিয়ামের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
৮. শরীরের কর্মক্ষমতা বাড়ে:
যেমনটা আগেও আলোচনা করা হয়েছে, জিরের জলের মধ্য়ে থাকা একাধিক পুষ্টিকর উপাদান হজমের গোলমাল দূর করার পাশাপাশি আরও নানা সব রোগের প্রকোপ কমাতে দারুন কাজে আসে। আর একবার শরীর রোগমুক্ত হয়ে গেলে স্বাভাবিকভাবেই শারীরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
৯. যকৃতের জন্য উপকারি:
লিভারের মূল কাজ হোল শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করা এবং পিত্তরস তৈরি করা। এই দুটি কাজেই যকৃতকে সাহায্য করে জিরের জল।
১০. রক্তাল্পতা দূর হয়:
আগেই বলা হয়েছে যে জিরায় রয়েছে প্রচুর মাত্রায় লোহা বা আয়রন। এই উপাদানটি শরীরে লহিত রক্ত কমিকার উৎপাদন বাড়িয়ে দেয়। সেই কারণেই তো রক্তাল্পতায় ভোগা মানুষদের এই রোগ থেকে মুক্তি দিতে জিরের জলের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে।
১১. কমায় ঋতুস্রাবের যন্ত্রণা:
জিরের জলে রয়েছে নানা যন্ত্রণা উপশমকারী উপাদান, যা শরীরের বিভিন্ন জায়গায় হওয়া যন্ত্রণা এবং প্রদাহজনিত সমস্যা কমিয়ে আনে। কমায় ঋতুস্রাবকালীন যন্ত্রণা এবং খিচুনি ভাবও।
১২. ত্বকের যত্নে উপকারি:
অনেক কিছুই তো করলেন ত্বকের সমস্যা দূর করতে! এবার না হয় জিরের জলের কথাটা একবার ভেবে দেখুন। বিশেষজ্ঞদের মতে জিরের জলে থাকা নানাবিধ খনিজ, যেমন- পটাশিয়াম, সেলেনিয়াম, তামা এবং মাঙ্গানিজ ত্বকের পক্ষে খুবই উপকারী। প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে জিরের জলে সামান্য হুলুদগুঁড়ো মিশিয়ে ফেস মাস্ক হিসেবে মুখে লাগালে, হারিয়ে যাওয়া জেল্লা ফিরে আসে। সেই সঙ্গে ত্বক হয় নরম ও মসৃণ।
১৩. বয়সের ছাপ কমায়:
সময়ের সঙ্গে বয়স বেড়েই চলে। এর অন্যথা হয় না। কিন্তু শরীরে বয়সের ছাপ পরবে কী পরবে না, সেটা আপনার হাতে রয়েছে। জিরের জলে প্রচুর ভিটামিন ই থাকে, যা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ধর্ম সুবিদিত। এই ধর্মের জন্যই জিরের জল অকাল বার্ধক্য রোধ করতে এতটা কাজে লাগে।
১৪. ব্রণর সমস্যা দূর করে:
জীবাণুনাশক ক্ষমতার জন্য জিরের জল পান করলে ব্রণ এবং ফুসকুড়ির সমস্যা দূর হয়। শুধু তাই নয়, নিয়মিত জিরের জলকে কাজে লাগালে পাবেন পরিষ্কার, সুন্দর ত্বক।
১৫. সুন্দর চুলের যত্নে উপযোগী:
জিরের জলে উপস্থিত নানা পুষ্টিকর উপাদান চুলের গোঁড়া মজবুত করে ও চুল পড়া কমাতে দারুন কাজে আসে।