Just In
- 2 hrs ago মসুর ডাল খেতে ভালোবাসেন? কিন্তু অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
- 4 hrs ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
- 4 hrs ago সূর্যগ্রহণের সময় ঘটবে মা দুর্গার আগমন, তবে কি গ্রহণকালে পড়বে মায়ের পূজায় বাধা?
- 19 hrs ago ত্বকের জেল্লা ফেরাতে ম্যাজিকের মত কাজ করবে চালের জল, কীভাবে দেখুন
খাবার খাওয়ার পরে ভুলেও এই কাজগুলি করবেন না যেন!
আজ এই প্রবন্ধে এমন কিছু বিষয় তুলে ধরা হল, যা খাবার পর করা একেবারেই উচিত নয়। আর যদি করেন তাহলে শরীরের ক্ষতি হওয়ার অশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। আর এমনটা হোক, আপনি নিশ্চয় চাইবেন না!
আমার অনেকেই অজান্তে এমন কিছু কাজ করে ফলে যা শরীরের পক্ষে সামলানো কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। যেমন ধরুন খাবার খাওয়ার পর অনেকেই সিগারেটে সুখ টান দিয়ে থাকেন। আবার কারও কারণ খাবার পর পরই শুয়ে পরার অভ্যাস রয়েছে। খাওয়ার পর অনেকে ফল বা কফিও খেয়ে থাকেন। এই সব অভ্যাস আদৌ শরীরের পক্ষে ভাল কিনা তা কি কারও জানা আছে! পরিসংখ্যান বলছে, প্রায় ৫০-৬০ শতাংশ ক্ষেত্রে না জেনেই অনেকে এমন অভ্যাসের দাস হয়ে যায়। কারণ তাদের মনে হয় খাবার পর এই কাজগুলি করলে শরীর ভাল থাকে, যা অনেকে ক্ষেত্রেই সত্যি নয়। তাই তো আজ এই প্রবন্ধে এমন কিছু বিষয় তুলে ধরা হল, যা খাবার পর করা একেবারেই উচিত নয়। আর যদি করেন তাহলে শরীরের ক্ষতি হওয়ার অশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। আর এমনটা হোক, আপনি নিশ্চয় চাইবেন না!
কী কী অভ্য়াসের দিকে নজর দিতে হবে? চলুন চোখ রাখা যাক সেদিকে। এক্ষেত্রে খাবার পর যে যে কাজগুলি ভুলেও করা চলবে না, সেগুলি হল...
১. খাবার সময় এবং পর পরই জল খাওয়া চলবে না:
খাবার পরে স্যালাইভা খাবার হজমের কাজে লাগে পরে। সেই সঙ্গে খাবারে উপস্থিত খারাপ ব্যাকটেরিয়াদের মেরে ফেলে পেট খারাপের হাত থেকেও আমাদের রক্ষা করে থাকে। এই সময় জল খেলে স্যালাইভা নিজের কাজ ঠিক মতো করতে পারে না। ফলে একদিকে খাবার যেমন ঠিক মতো হজম হতে পারে না। তেমনি অন্যদিকে খারাপ ব্যাকটেরিয়াদের কারণে নানাবিধ পেটের রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও বৃদ্ধি পায়। এখন প্রশ্ন হল, খাবার খাওয়ার কতক্ষণ পরে জল খাওয়া উচিত? একাধিক কেস স্টাডি করে দেখা গেছে স্যালাইভা কাজ শেষ করতে কম-বেশি ২০-৩০ মিনিট সময় লাগে। তাই এই সময়ের পরে জল খাওয়া যেতে পারে।
২. খেয়ে উঠেই বই পরবেন না:
শুনে এতটু অবাক হলেন, তাই তো! কিন্তু একথার মধ্যে কোনও ভুল নেই যে খাবার পর বই পরলে বদ-হজম হবেই হবে। কিন্তু বই পড়ার সঙ্গে বদ হজমের কী সম্পর্ক? খাবর খাওয়া পর তা যাতে ঠিক মতো হজম হয়, তার জন্য পেটের দিকে রক্তা প্রবাহ বেড়ে যায়। কিন্তু এই সময় যদি কেউ বই পড়া শুরু করেন। তাহলে যে পরিমাণ রক্ত প্রবাহ পেটের দিকে হওযা উচিত তা না হয়ে কিছুটা চোখ এবং মস্তিষ্কের দিকে হতে শুরু করে। ফলে খাবার ঠিক মতো হজম হতে পারে না। আর এমন দীর্ঘদিন ধরে হতে থাকলে ক্রনিক বদ-হজম এবং পেটের রোগে আক্রান্ত হওয়ার পথও প্রশস্ত হয়।
৩. শরীরচর্চা:
পেট ভরে খাবার খাওয়ার পর শরীরচর্চা করা একেবারেই চলবে না। এমনটা করলে পেটে যন্ত্রণা, পেটে ক্র্যাম্প লাগা, মাথা ঘোরা এবং ডায়ারিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায়। তাই এমন কাজ ভুলেও করবেন না।
৪. ধূমপান চলবে না:
খাবর পর সিগারেট না খেলে শান্তি পান না এমন মানুষের সংখ্যা নেহাতই কম নয়। কিন্তু এমন অভ্যাস শরীরের পক্ষে একেবারেই ভাল নয়। কারণ একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে খাবার আগে এবং পর পরই ধূমপান করলে সিগারেটে উপস্থিত কার্সিজেনিক উপাদান শরীরের বেশি করে ক্ষতি করার সুযোগ পয়ে যায়। ফলে ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কয়েকগুণ বেড়ে যায়।
৫. খাবার পর পর ঘুম নৈব নৈব চ!
অনেকেই দুপুরে খাবার পর ভাত ঘুম দিতে পছন্দ করেন। এমনটা করা একেবারেই উচিত নয়। কারণ খাওয়ার পর ঘুমিয়ে পরলে বদ-হজম, অ্যাসিড রিফ্লাক্স প্রভৃতি সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। তাই লাঞ্চ এবং ডিনার করার কম করে ১ ঘন্টা পর শুতে যাওয়া উচিত। তার আগে একেবারেই নয়।
৬.ভরা পেটে ফল নয়:
ফলকে হজম করতে বিশেষ কিছু এনজাইমের প্রয়োজন পরে। তাই ভরা পেটে ফল খেলে খাবারে পাশাপাশি ফলকে হজম করতে শরীরকে বেশ কসরত করতে হয়। ফলে অনেক সময়ই পেট খারাপ, বদহজম এমনকী গ্যাস-অম্বলের মতো সমস্যাও হতে পারে।
৭. টাইট জামা-কাপড় পরবেন না:
বেশ কিছু কেস স্টাডিতে দেখা গেছে পেট ভরে খাওয়ার পর টাইট জামা কাপড় পরলে পেটের উপর চাপ সৃষ্টি হয়। ফলে খাবার ঠিক মতো হজম হতে পারে না। ফলে বদ-হজম এবং গ্য়াস-অম্বলের মতো সমস্য়া মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে।
৮. স্নান করা চলবে না:
খাবার ঠিক মতো হজম করতে পেটের দিকে রক্ত প্রবাহ ঠিক মতো হওয়াটা একান্ত প্রয়োজন। কিন্তু খাবার খেয়েই যদি কেউ স্নান করেন তাহলে এই প্রক্রিয়া বিগ্নিত হয়। ফলে বদ-হজম হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে য়ায়। তাই তো খাবার খাওয়ার কম করে ৪৫ মিনিট পরে খাবার খাওয়া উচিত, তার আগে নয়!
৯. চা পান একেবারেই নয়:
চায়ে উপস্থিত ট্যানিক অ্যাসিড খাবারে উপস্থিত প্রোটিন এবং আয়রনের কর্যকারিতাকে কমিয়ে দেয়। ফলে শরীরে পুষ্টির অভাব দেখা দেয়। শরীরকে সুস্থ এবং সচল রাখতে প্রোটিনের কত ভূমিকা রয়েছে তা নিশ্চয় আর বলে দিতে হবে না। সেই কারণেই রাতে বা দিনে, কোনও সময়ই খেয়ে উঠে ভুলেও চা খাবেন না।
১০. ভুলেও বেল্ট লুজ করবেন না:
অনেক সময়ই পেট ভরে খাওয়া হয়ে গেলে তলপেটে এত চাপ সৃষ্টি হয় যে প্য়ান্টের বেল্টটা একটু আলগা করে গিতে মন চায়। এবার থেকে এমনটা মনে হলে একেবারেই করবেন না যেন! কারণ এমনটা করলে অ্যাবডোমিনাল মাসল আলগা হতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ভুঁড়ি বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা বাড়ে।