For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

শত চেষ্টা করেও রোগা হচ্ছেন না? এই টিপসগুলো মেনে দেখুন তো কাজে লাগে কিনা!

গাজরের সঙ্গে অল্প পরিমাণে আপেল, কমলা লেবু এবং আদার কুচি দিয়ে রস বানিয়ে খেলে মেদ ঝরতে শুরু করে।

By Swaity Das
|

আয়নার সামনে দাঁড়ালে নিজেকে মোটা মনে হচ্ছে? ওজন যন্ত্রের কাঠি ছুঁয়ে ফেলেছে অতিরিক্ত মাপ? তাহলে তো মুশকিল। মা দুর্গাও এলেন বলে! এদিকে পছন্দের জামাটা কিছুতেই নিজের মাপে পাচ্ছেন না। এমনটা হলে দুঃখ হওয়াটা স্বাভাবিক। কিন্তু তাই বলে আশা ছেড়ে দিলে যে চলবে না! চেষ্টা করুন ওজন কমাতে। কিভাবে করবেন? ফলের রস খাওয়া শুরু করুন, দেখবেন ওজন কমে যাবে। সত্যি বলছেন, ফলের রস খেলে ওজন কমে যাবে? একেবারেই! কোন ফলের রস খেতে হবে? কিভাবেই বা খাবো? এইসব প্রশ্নের উত্তর পাবেন বোল্ডস্কাই বাংলায় প্রকাশিত এই প্রবন্ধে। তাহলে আর অপেক্ষা কেন, চলুন জেনে নিন কিভাবে কম সময়েই কমিয়ে ফেলতে পারবেন অতিরিক্তি ওজন!

ওজন কমাতে হবে বলে সব খাবার বন্ধ করে, শুধু ফলের রস খাওয়ার কোনও মানে নেই। কারণ আমাদের শরীরে সব রকম খাবারেরই প্রয়োজন আছে। তাই সকাল, দুপুর, রাতে পরিমিত খাবারের সঙ্গে ফলের রস খাওয়ার চেষ্টা করুন। দেখবেন উপকার মিলবে। এখন প্রশ্ন হল কী কী ফলের রস এক্ষেত্রে খাওয়ার প্রয়োজন পরবে?

১. গাজরের রস:

১. গাজরের রস:

গাজরে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। আর ক্যালরি রয়েছে একেবারে কম মাত্রায়। ফলে এক গ্লাস গাজরের রস আপনাকে দুপুর অবধি পেট ভরিয়ে রাখতে সাহায্য করবে। আর এই কারণে আপনাকে খিদে পেলে কোনও ভাজাভুজির শরণাপন্ন হতে হবে না। ফলে কমন খাওয়ার কারণে স্বাভাবিকভাবেই ওজন কমতে শুরু করে। প্রসঙ্গত, গাঁজর, কাঁচা অবস্থায় অথবা রস করে খাওয়া যেতে পারে। তবে গাজরের সঙ্গে অল্প পরিমাণে আপেল, কমলা লেবু এবং আদার কুচি দিয়ে রস বানিয়ে খেলে এক্ষেত্রে দারুন উপকার মেলে।

২. করলার রস:

২. করলার রস:

করলার রস? ইশ, কেউ খায় নাকি? হ্যাঁ খায়। যারা রোগা হতে চায়, তাদের কাছে এই জুস অমৃতের সমান। কেন জানেন? কারণ করলার রস লিভার থেকে বাইল রস নিঃসৃত হতে সাহায্য করে। ফলে অতিরিক্ত মেদ উৎপাদনকারী উপাদানগুলি আমাদের শরীর থেকে বেড়িয়ে যায়। ফলে ওজন কমতে সময় লাগে না একেবারেই।

৩. শশার রস:

৩. শশার রস:

যে সমস্ত ফলে প্রচুর জলীয় উপাদান আছে, সেগুলিতে ক্যালরির পরিমাণ অনেকটাই কম থাকে। যেমন শসায়। তবে এই ফলটিতে আরও বেশ কিছু কার্যকরী উপাদান রয়েছে, যেমন- ফাইবার এবং জল। এই দুটি উপাদান অনেকক্ষণ পেট যেমন ভরিয়ে রাখে, তেমনি চর্বি গলাতেও সাহায্য করে। প্রসঙ্গত, শসার সঙ্গে পুদিনা পাতা এবং লেবুর রস মিশিয়ে খেতে পারলে আরও দ্রুত ফল মেলে।

৪. আমলকীর রস:

৪. আমলকীর রস:

দিনের শুরুটা এক গ্লাস আমলকীর রস দিয়ে কিন্তু করতে পারেন। এমনটা করলে হজমশক্তি যেমন বাড়বে, তেমনি মেদও ঝরবে চোখে পরার মতো। আর যদি খালি পেটে আমলকির রস খেতে পারেন, তাহলে তো কথাই নেই! ইচ্ছা হলে এই জুসে কয়েক ফোঁটা মধুও মিশিয়ে নিতে পারেন।

৫. বেদানার রস:

৫. বেদানার রস:

বেদানার রস ত্বকের জন্য খুবই উপকারি। এটি ত্বকের জেল্লা বাড়াতে সাহায্য করে। চিকিৎসকদের মতে, বেদানার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, পলিফেনল, লিনোলেনিক অ্যাসিড থাকায় মেদ ঝরাতেও এর জুড়ি মেলা ভার।

৬. বাঁধাকপির রস:

৬. বাঁধাকপির রস:

বাধাকপির রস পেটের নানারকম সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। যেমন, অল্প খাবারেই পেট ভার হয়ে যাওয়া, হজমের সমস্যা ইত্যাদি। আর একবার হজম প্রক্রিয়া ঠিক মতো হতে শুরু করলে শরীরের অতিরিক্ত মেদ উৎপাদনকারী উপাদানগুলি দেহ থেকে বেরিয়ে যায়। ফলে ওজন বাড়ার আশঙ্কা কমে। প্রসঙ্গত, বাঁধাকপিতে উপস্থিত ফাইবার অনেকক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখতে সাহায্য করে। তাই ঘন ঘন খিদেও পায় না এবং বার বার খাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। বাধাকপির রসের সঙ্গে আপেল, লেবুর রস, গাঁজর বা বিট রস মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে বেশি উপকার পাওয়া যায়।

৭. তরমুজের রস

৭. তরমুজের রস

প্রতি ১০০ গ্রাম তরমুজে ৩০ গ্রাম ক্যালরি থাকে। কিন্তু জল থাকে প্রচুর মাত্রা। ফলে তরমুজের রস খেলে ওজন তো বাড়েই না। উল্টে জলের অভাব দূর হওয়ার কারণে শরীর সতেজ হয়ে ওঠে। এছাড়াও তরমুজের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে অ্যামাইনো অ্যাসিড রয়েছে, যা মেদ ঝরাতে সাহায্য় করে।

৮. কমলালেবুর রস:

৮. কমলালেবুর রস:

তাজা খোসা ছাড়ানো কমলালেবুর মধ্যে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা কম সময়ে ওজন কমাতে দারুনভাবে সাহায্য করে। তাই এবার থেকে গলা ভেজাতে কোল্ড ড্রিঙ্ক নয়, বরং কমলা লেবু খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন উপকার মিলবে।

৯. আনারসের রস:

৯. আনারসের রস:

আনারসের রস পেটের মেদ কমাতে খুবই উপকারি। ব্রোমেলেইন নামক একটি উৎসেচক আনারসের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে উপস্থিত রয়েছে, এটি মেদ ঝড়িয়ে সাহায্য করে।

১০. লাউয়ের রস:

১০. লাউয়ের রস:

আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় ওজন কমানোর উপয়ের মধ্যে লাউয়ের উপকারিতা প্রসঙ্গে উল্লেখ রয়েছে। আসলে লাউতে খুব কম পরিমাণে ক্যালরি থাকে। ফলে এর জুস খেলে ওজন বাড়ার আশঙ্কা থাকে না। উল্টে এই পানীয়টি মেদ ঝরানোর পাশাপাশি গরমের সময় শরীরকে ঠাণ্ডা রাখতে সাহায্য করে।

তো রোগা হওয়ার উপায় তো বলে দেওয়া হল। আর দেরি কেন? কোন জুসটা খেয়ে ফল পেলেন, তা আমাদের জানাতে ভুলবেন না কিন্তু!

Read more about: রোগ শরীর
English summary

আগামী ১৫ দিনে চোখে পরার মতো ওজন কমাতে চান? তাহলে এই প্রবন্ধটি একবার পড়ে নিন।

Juicing for weight loss is not a new concept. It’s been doing the rounds since a few years. But, what we’re telling you here is not to go on a liquid diet but to add certain fresh juices to your daily meals that can help speed up weight loss. Drinking fresh juices is also a great way to load up on a variety of minerals, vitamins, fibre and antioxidants – all of which aid in revving up your metabolism and thus, you are able to burn more calories. These juices not only help you lose weight but they also offer a host of other health benefits. Have a look.
Story first published: Tuesday, September 12, 2017, 17:08 [IST]
X
Desktop Bottom Promotion