Just In
- 16 hrs ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
- 17 hrs ago আপনার কি ক্রমাগত কান চুলকাচ্ছেন? অজান্তেই ডেকে আনচ্ছেন বড় বিপদ
- 20 hrs ago মসুর ডাল খেতে ভালোবাসেন? কিন্তু অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
- 22 hrs ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
আলাদিনের জিনি লুকিয়ে আছে স্পাউটে!
অঙ্কুরিত বীজের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে উৎসেচক উপস্থিত থাকে, যা বিপাক প্রক্রিয়ার উন্নতি ঘটায়।
ছোটবেলায় প্রায় আমরা সকলেই বইয়ে পড়েছি যে, শরীরের জন্য অংকুর বেরনো খাদ্য খুবই ভাল। সে সময় আমাদের বোঝানো হতো, যারা অঙ্কুরিত খাদ্য খায়, তাঁরা সবাই নাকি খুব শক্তিধর হয়। তবে যত আমরা বড় হতে থাকি, এইসব কথা বিলীন হতে থাকে আমাদের মনের থেকে। তখন দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গী হয়ে ওঠে পুষ্টিহীন চা বিস্কুটে। নয়তো খিদে ঘুরঘুর করি ফাস্ট ফুড জায়েন্টের আশেপাশে। আর সেখানেই আমরা নিজেদের সর্বনাশ ডেকে আনছি। তবে, আর নয়। এবার একটু শরীরের দিকে নজর দেওয়ার সময় এসে গেছে মনে হয়। তাই তো আজআপনাদের অঙ্কুরিত খাদ্য-এর গুণাগুণ বোঝাতে হাজির বোল্ডস্কাই।
অঙ্কুরিত খাদ্যের সবথেকে বড় গুণ হল, এই ধরণের খাবার আমাদের হজম শক্তি বাড়ায়, বিপাক প্রক্রিয়ার উন্নতি ঘটায়, উৎসেচকের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এছাড়াও রক্তাল্পতা দূর করে, ওজন কমাতে সাহায্য করে, কোলেস্টেরল কমায়, রক্তচাপের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে, শিশুদের ক্ষেত্রে স্নায়ুর সমস্যা রোধ করে, ক্যান্সার প্রতিরোধ কাজে আসে, ত্বকের যত্ন নিতে সাহায্য করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে এবং চোখের দৃষ্টি ভাল করে।
স্পাউট বলতে আমরা আমরা মূলত ভেজানো ছোলা, মুগ, সয়া বীজ ইত্যাদি বুঝে থাকি। এছাড়াও আরও অনেক রকমের অঙ্কুরিত বীজও আছে। বীজকে অঙ্কুরিত করে তার পর খেলে এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং পুষ্টিকর উপাদান পাওয়া যায়, যা শুধুমাত্র বীজের থেকে পাওয়া সম্ভব নয়।
অঙ্কুরিত হওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে এই বীজগুলি সবথেকে বেশী পুষ্টিগুনে সমৃদ্ধ হয়ে ওঠে। বীজগুলিতে যাতে সবসময় অল্প হাওয়া চলাচল করতে পারে, এমন পাত্রে রাখতে হবে। এমনটা করলে বীজগুলিতে অঙ্কুরোদগম হতে শুরু করবে। এই সময় খেলেই দারুন উপকার মিলবে। প্রসঙ্গত, অঙ্কুর বেরনোর পর বীজগুলি ভিটামিন, মিনারেল এবং অন্যান্য পুষ্টিকর উপাদানে সমৃদ্ধ হয়ে ওঠে।
বিশ্বের
বহু
অঞ্চলেই
অঙ্কুরিত
বীজ
রান্না
করার
প্রচলন
আছে।
এশিয়া
মহাদেশের
বহু
রান্নাতেই
অঙ্কুরিত
বীজকে
ব্যবহার
করা
হয়ে
থাকে।
এমনকি
বহু
দেশে
স্যালাডেও
প্রচুর
পরিমাণে
অঙ্কুরিত
বীজ
যোগ
করা
হয়ে
থাকে।
তবে
এক্ষেত্রে
একটি
বিষয়
মাথায়
রাখতে
হবে
যে
অঙ্কুরিত
বীজ
রান্না
করলে
বা
ভেজে
খেলে
তার
শরীরে
আর
কোনও
গুণ
অবশিষ্ট
থাকে
না।
কারণ
অঙ্কুরিত
বীজের
মধ্যে
যে
পুষ্টিগুণ
থাকে,
তা
আগুন
বা
তাপের
সংস্পর্শে
এলে
নষ্ট
হয়ে
যায়।
অঙ্কুরিত
বীজের
পুষ্টিগুণ:
এতে
ভিটামিন,
মিনারেল
তো
থাকেই।
সেই
সঙ্গে
প্রচুর
পরিমাণে
অর্গ্যানিক
কম্পাউন্ডও
থাকে।
এছাড়াও
প্রোটিন,
ফাইবার,
ভিটামিন
কে,
ফোলেট,
প্যান্টোথেনিক
অ্যাসিড,
নিয়াসিন,
থিয়ামিন,
ভিটামিন
সি,
ভিটামিন
এ,
রাইবোফ্ল্যাবিন
ইত্যাদিও
রয়েছে।
দাঁড়ান
দাঁড়ান
এখানেই
শেষ
নয়!
এই
প্রকৃতিক
উপাদানটির
মধ্যে
রয়েছে
ম্যাঙ্গানিজ,
কপার,
ম্যাগনেসিয়াম,
আইরন
এবং
ক্যালসিয়ামের
মতো
খনিজও।
এখন প্রশ্ন হল, নিয়মিত যদি স্প্রাউট খাওায়ার অভ্য়াস করা যায়, তাহলে কী কী উপকার মেলে? এক্ষেত্রে একাধিক ফল মেলে। যেমন...
১. হজমশক্তি বাড়ায়:
সবথেকে বড় কথা, অঙ্কুরিত বীজের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে উৎসেচক উপস্থিত থাকে, যা বিপাক প্রক্রিয়ার উন্নতি ঘটায়। সেই সঙ্গে গৃহীত খাদ্যগুলি যাতে ঠিক মতো টুকরো টুকরো হয়ে যায়, সে বিষয়েও সাহায্য করে। ফলে বদ-হজম হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়। প্রসঙ্গত, অঙ্কুরিত বীজে উপস্থিত ফাইবারও নানাবিধ পেটের রোগের চিকিৎসায় বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে ডাইরিয়ার সমস্যারও সমাধান করে।
২.রক্তাল্পতা দূর করে:
শরীরে আইরনের অভাব হলে তাঁকে চিকিৎসার ভাষায় বলা হয় রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়া। রক্তাল্পতা হল রক্তে লোহিত কণিকার পরিমাণ কমে যাওয়া। এর মূল কারণ হল, যে খাদ্য গ্রহণ করা হচ্ছে, তার মধ্যে প্রয়োজনীয় পরিমাণ আইরন না থাকা। রক্তাল্পতার ফলে শরীর খুবই দুর্বল হয়ে পড়ে। শুধু তাই নয়। আরও নানা লক্ষণ দেখা দেয়। য়েমন- মনোযোগের অভাব দেখা দেয়, বমি হতে পারে। সেই সঙ্গে পেটের সমস্যাও দেখা যেতে পারে। এক্ষেত্রে আইরনযুক্ত খাবার খেলে এই সব সমস্যা দূর হয়ে যায়। আর এই আইরন পাওয়া যায় অঙ্কুরিত বীজের মধ্যে থেকে।
৩.ওজন কমাতে সাহায্য করে:
অঙ্কুরিত বীজ হল এমনই এক ধরণের খাদ্য যার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিকর উপাদান আছে আছে, নেই একটুও ক্যালোরি। তাই ওজন কমাতে চাইলে এমন ধরনের খাবার খেতে পারেন। এমনটা করলে একিদকে যেমন পেট ভরবে, তেমনি ওজন বাড়ার আশঙ্কাও হ্রাস পাবে। প্রসঙ্গত, একবাটি অঙ্কুরিত বীজ খেলে খিদে কমে যায়। ফলে অতিরিক্ত খাওয়ার কারণে ওজন বাড়ার ভয়ও থাকে না।
৪.হৃদযন্ত্র ভালো রাখতে সাহায্য করে:
অঙ্কুরিত বীজে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি অ্যাসিড থাকে। ফলে আমাদের শরীরে ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পায় এবং রক্ত থেকে খারাপ কোলেস্টেরল কমতে থাকে। ওমেগা থ্রি অ্যাসিড প্রদাহ জনিত সমস্যা দূর করতেও সাহায্য করে। ফলে হৃদযন্ত্রের ওপর কোনও রকম চাপ পড়ে না। শুধু তাই নয়, অঙ্কুরিত বীজের মধ্যে পটাশিয়াম থাকায় রক্তচাপ দূর করতেও এই প্রকৃতিক উপাদানটি দারুনভাবে সাহায্য করে। ফলে হৃদ রোগের সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়।
৫.স্নায়ুর কর্মক্ষমতা বাড়ে:
শরীরে ফোলেটের ঘাটতি দেখা দিলে নানাবিধ স্নায়ুর অসুবিধা দেখা যায়। অঙ্কুরিত বীজে প্রচুর পরিমাণে ফোলেট থাকায়, এটি এই ধরণের সমস্যা দূর করতে বিশেষ ভূমিকা নেয়।
৬.রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়:
এমন ধরনের বীজে বিশেষ কিছু প্রাকৃতিক উপাদান থাকে, যা রোগ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা গ্রহণ করে থাকে। আসলে এতে উপস্থিত ভিটামিন সি, শ্বেত কণিকার শক্তি বৃদ্ধি করে সংক্রমণ এবং রোগ দূর করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৭.ক্যান্সার দূরে থাকে:
ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, প্রোটিন এবং অন্যান্য কার্যকরী উপাদান ক্যান্সার রোগকে রোধ করে। এই উপাদানগুলি প্রতুর মাত্রায় রয়েছে স্প্রাউটে, যা শরীরের ভেতরে প্রবেশ করে ক্যান্সারের সম্ভাবনা অনেকটাই কমিয়ে আনে।
৮.চোখের যত্নে সাহায্য করে:
অঙ্কুরিত বীজে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ থাকায় এটি আমাদের দৃষ্টি শক্তির উন্নতিতে সাহায্য করে। এমনকি গ্লকোমার মতো ভয়ঙ্কর রোগকেও দূর রাখে।
৯.মুখের ঘা দূর করতে সাহায্য করে:
মুখের ঘা অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক এবং অসুবিধাজনক একটি সমস্যা। ঠিক মতো চিকিৎসা না করলে এই রোগ আরও ভয়াবহ সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। এক্ষেত্রেও এই প্রকৃতিক উপাদানটিকে কাজে লাগানো যেতে পারে। আসলে অঙ্কুরিত বীজে প্রচুর পরিমাণে উৎসেচক থাকায় এই ধরণের সমস্যা দূর হতে সময় লাগে না।
১০.অ্যালার্জি কমাতে সাহায্য করে
নিয়মিত স্প্রাউট খেলে অ্যালার্জির সমস্যা ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না। একই সঙ্গে শ্বাসকষ্ট রোধও বিশেষ ভূমিকা নেয়।