Just In
ওয়ার্ল্ড সাইট ডে: কম বয়সে অন্ধ হতে চান নাকি?
আজ ওয়ার্ল্ড সাইট ডে। সেই উপলক্ষে প্রকাশিত এক ডেটা অনুসারে শুধু ভারতে নয়, সারা বিশ্বেই চোখের রোগ ভিষণ আকার ধারণ করেছে। বর্তমানে সারা বিশ্বে প্রায় ২৮৫ মিলিয়ান মানুষ নানা ধরনের চোখের রোগের শিকার, যেখ
টানা কম্পিউটারে কাজ করা। সেই সঙ্গে মোবাইল ফোনে ঘন্টার পর ঘন্টা আটকে থাকার কারণে চোখের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে জেন ওয়াইদের। শুধু তাই নয়, এই কারণে বাড়ছে অন্ধত্ব এবং ড্রাই আইয়ের মতো সমস্যাও। তাই চোখের খেয়াল রাখার সময় মনে হয় এসে গেছে বন্ধুরা।
আজ ওয়ার্ল্ড সাইট ডে। সেই উপলক্ষে প্রকাশিত এক ডেটা অনুসারে শুধু ভারতে নয়, সারা বিশ্বেই চোখের রোগ ভিষণ আকার ধারণ করেছে। বর্তমানে সারা বিশ্বে প্রায় ২৮৫ মিলিয়ান মানুষ নানা ধরনের চোখের রোগের শিকার, যেখানে অন্ধত্বের সংখ্যাটা প্রায় ৪০ মিলিয়ান। অন্যদিকে এদেশে দৃষ্টিশক্তি চলে যাওয়ার পিছনে বিশেষ ভূমিকা নিচ্ছে ছানি এবং গ্লকোমার মতো সমস্যা। এমন পরিস্থিতিতে বিশেষ কিছু খাবার খাওয়া জরুরি। কারণ এই খাবারগুলি দৃষ্টিশক্তি ধরে রাখতে দারুনভাবে সাহায্য করে থাকে। প্রসঙ্গত, যে যে খাবারগুলি এক্ষেত্রে প্রতিদিনের ডায়েটে রাখা জরুরি, সেগুলি হল...
১. গাজর:
এতে টাসা রয়েছে প্রচুর মাত্রায় বিটা-ক্যারোটিন। এই উপাদানটি রেটিনাকে সুস্থ এবং কর্মক্ষম রাখতে বিশেষ ভূমিকা নেয়। আর রেটিনা যখন সুরক্ষিত থাকে, তখন দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়ার আশঙ্কা আর থাকে না। তাই তো চোখকে বাঁচাতে নিয়মিত একটা করে গাজর খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন চোখ নিয়ে আর কোনও চিন্তা থাকবে না।
২. ঢেঁড়স:
শরীরে বিটা-ক্যারোটিনের ঘাটতি দূর করার পাশাপাশি ভিটামিন সি,জিয়াজেন্থিন এবং লিটেইন নামক আরও দুটি উপকারি উপাদানের যোগান দিতে এই সবজিটির কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। প্রসঙ্গত, এই উপকারি উপাদানগুলি দৃষ্টিশক্তি ঠিক রাখতে বিশেষভাবে সাহায্য করে থাকে। তাই নিয়মিত যদি বহুক্ষণ কম্পিউটারের সামনে বসে থাকতে হয়, তাহলে নিয়ম করে ঢেঁড়স খেতে ভুলবেন না যেন!
৩.এপ্রিকট:
বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের বাকি অঙ্গের মতো চোখের ক্ষমতাও কমতে শুরু করে। কিন্তু এমনটা আপনার সঙ্গে ঘটতে নাও পারে, যদি নিয়মিত এই ফলটি খাওয়া শুরু করেন তো! কারণ এপ্রিকটের মধ্যে থাকা বিটা-ক্যারোটিন, ভিটামিন সি, ই, জিঙ্ক এবং কপার ম্যাকুলার ডিজেনারেশনের আশঙ্কা কমায়, সেই সঙ্গে অন্যান্য চোখের রোগকেও দূরে রাখে।
৪. ব্রকলি:
ক্রসিফেরাস পরিবারের সদস্য এই সবজিটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে লুটেইন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি এবং ফাইবার। এই সব কটি উপাদানই চোখের যত্নে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রসঙ্গত, ব্রকলির মতো তার পরিবারের বাকি দুই সদস্য, ফুলকোপি এবং বাঁধাকোপিও একই গুণে সমৃদ্ধ। তাই ব্রকলি খাওয়ার সুযোগ না হলে এই দুই সবজির কোনওটা খেলেও চলবে।
৫. বাদাম:
ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ এই প্রকৃতিক উপাদানটি রোজ দিন এক মুঠো করে খেলে রেটিনার কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই দৃষ্টিশক্তির অবনতি ঘটার কোনও আশঙ্কা থাকে না। প্রসঙ্গত, মাছ খেলেও দৃষ্টিশক্তির দারুন উন্নতি ঘটে। কারণ বাদামের মতো মাছও ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ।
৬. ডিম:
চোখের যত্নে ডিমের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। কারণ এতে উপস্থিত ভিটামিন এ, লুটেইন এবং জিঙ্ক দৃষ্টিশক্তির উন্নতিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে শরীরের উন্নতিতেও সাহায্য় করে।
৭. দুধ:
এতক্ষণে নিশ্চয় জেনে ফেলেছেন যে চোখের ক্ষমতা বাড়াতে ভিটামিন এ এবং জিঙ্ক বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আর এই দুটি উপাদানই প্রচুর মাত্রায় রয়েছে দুধে। তাই তো চোখকে ভাল রাখতে প্রতিদিন এক গ্লাস করে দুধ খাওয়া জরুরি। আর যদি দুধ খেতে ইচ্ছা না করে, তাহলে দইও খেতে পারেন। এমনটা করলেও সমান উপকার মেলে।