Just In
- 3 hrs ago ত্বকের জেল্লা ফেরাতে ম্যাজিকের মত কাজ করবে চালের জল, কীভাবে দেখুন
- 8 hrs ago কোন ডাবে বেশি জল, বাইরে থেকে দেখে বুঝবেন কী ভাবে?
- 10 hrs ago গাধার দুধের আশ্চর্যজনক স্বাস্থ্য উপকারিতা, জানলে চমকে উঠবেন আপনিও
- 12 hrs ago রুক্ষ-শুষ্ক চুল নিয়ে চিন্তা? জেনে নিন চুলের যত্নে গ্লিসারিনের অবিশ্বাস্য় ভূমিকা
Don't Miss
পিরিয়ড চলাকালীন সংক্রমণ থেকে দূরে থাকুন, এই পদ্ধতিতে ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখুন
আজ 'ঋতুস্রাব স্বাস্থ্য দিবস', প্রতিবছর ২৮ মে পালিত হয় এই দিনটি। এই দিনটি পালনের মুখ্য উদ্দেশ্য হল মেয়েদের এবং মহিলাদের ঋতুস্রাবের সময় সঠিক স্বাস্থ্যবিধি বা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়া। এককথায়, এটি হল মাসিক রজঃস্রাব বা ঋতুচক্র কালীন স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে সচেতনতা তৈরির জন্য পালিত একটি দিবস। প্রতিবছর নানান থিমের মাধ্যমে দিনটি পালিত হয়, এইবছর অর্থাৎ ২০২০ সালে 'ঋতুস্রাব স্বাস্থ্য দিবস' (Menstrual Hygiene Day) - এর থিম হল 'Periods in Pandemics'.
এই আধুনিক যুগে দাঁড়িয়েও দেখা যায়, মেয়েরা ঋতুস্রাব নিয়ে খোলামেলা কথা বলতে পছন্দ করে না। পিরিয়ড চলাকালীন মেয়েরা শারীরিক ও মানসিক নানান সমস্যার মধ্য দিয়ে যায়। এইসময় শরীরে অনেক হরমোনাল পরিবর্তনও ঘটে, যার কারণে প্রতিটি মেয়েকে নিজস্ব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে খেয়াল রাখা উচিত।
নানান প্রচার, অভিযান ও প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, ঋতুস্রাব নিয়ে সচেতনতা এখনও অনেকের মধ্যেই তৈরি হয়নি। ঋতুস্রাব একটি স্বাস্থ্যকর বায়োলজিকাল প্রক্রিয়া, কিন্তু ভারতের বহু সংস্কৃতিতেই এখনও এটিকে অপরিচ্ছন্ন এবং অপবিত্র বলে মনে করা হয়। বেশিরভাগ মহিলারাই পিরিয়ডের সময় অস্বাস্থ্যকর থাকেন, যেমন - তারা গোটা দিন একটা স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করেন বা যৌনাঙ্গ সঠিকভাবে পরিষ্কার করেন না।
আরও পড়ুন : পিরিয়ডের সময়কার রক্তের রং দেখে বোঝা সম্ভব আপনার শরীরের অবস্থা
যদি এই দিনগুলিতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে নজর না দেওয়া হয় তাহলে ভেজাইনাল ইনফেকশনের পাশাপাশি বন্ধ্যাত্ব সম্পর্কিত সমস্যাও হতে পারে। তাই আজকের এই বিশেষ দিনে আসুন জেনে নেওয়া যাক, পিরিয়ড চলাকালীন সঠিক স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখার জন্য প্রত্যেক নারীর কী কী করা উচিত।
মাসিকের ক্ষেত্রে প্রাথমিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত টিপস্
১) ঘনঘন প্যাড পরিবর্তন করুন
ঋতুস্রাবের কারণে খুব তাড়াতাড়ি প্যাড স্যাঁতসেঁতে এবং ভেজা হতে পারে। এইসময় একই স্যানিটারি ন্যাপকিন অনেকক্ষণ ধরে পরে থাকলে যোনিতে সংক্রমণ, মূত্রনালীর সংক্রমণ এবং ত্বকে র্যাশ জাতীয় সমস্যা হতে পারে। তাই, আপনার প্রতি পাঁচ ঘন্টা অন্তর প্যাড পরিবর্তন করা উচিত। যদি আপনি ট্যাম্পন ব্যবহার করেন তাহলে প্রতি দুই ঘণ্টা অন্তর তা বদলান।
২) নিয়মিত ভেজাইনা পরিষ্কার করুন
পিরিয়ড চলাকালীন নিয়মিত ভেজাইনা পরিষ্কার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ যধন ঋতুস্রাব হয় তখন যোনির চারপাশের ত্বকে ব্লাড লেগে থাকে, তাই অবশ্যই এটি ধুয়ে নেওয়া উচিত এবং ভেজাইনা পরিষ্কার রাখা প্রয়োজন। এতে যোনির দুর্গন্ধ দূর হয়।
৩) সাবান ব্যবহার করা এড়িয়ে চলুন
সাবান দিয়ে ভেজাইনা পরিষ্কার করলে ভাল ব্যাকটেরিয়া (good bacteria) মারা যেতে পারে, ফলে সংক্রমণের পথ সহজ হয়। পরিবর্তে, হালকা গরম জল দিয়ে জায়গাটি ধুয়ে নিন এবং আপনি বাহ্যিক অংশগুলিতে হালকা সাবান ব্যবহার করতে পারেন তবে ভুলেও আপনার যোনির ভিতরে ব্যবহার করবেন না।
৪) পরিষ্কারের ক্ষেত্রে সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করুন
সর্বদা যোনি থেকে মলদ্বার পর্যন্ত পরিষ্কার করার চেষ্টা করুন, কখনোই বিপরীত অভিমুখে পরিষ্কার করবেন না। আপনি যদি বিপরীত দিক থেকে পরিষ্কার করেন তবে মলদ্বার থেকে ব্যাকটেরিয়া যোনি এবং মূত্রনালীর সংস্পর্শে আসতে পারে এবং সংক্রমণের দিকে পরিচালিত করে। এছাড়াও, আপনার অন্তর্বাসগুলি নিয়মিত পরিবর্তন করা উচিত এবং ভালভাবে সেগুলি পরিষ্কার করুন, যাতে আপনি সংক্রমণ এবং চুলকানি এড়াতে পারেন।
৫) স্যানিটারি প্যাড সঠিকভাবে ফেলুন
আপনার ব্যবহৃত ন্যাপকিন এবং ট্যাম্পন সঠিকভাবে ত্যাগ করুন, নাহলে এগুলো থেকে সংক্রমণ ছড়াতে পারে। প্যাড বা ট্যাম্পন টয়লেটের মধ্যে না ফেলার পরামর্শ দেওয়া হয়, পরিবর্তে এগুলি সঠিকভাবে পেপারে মুড়িয়ে ফেলা উচিত।
৬) প্রতিদিন হালকা গরম জলে স্নান করুন
পিরিয়ডের সময় স্নান করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি কেবলমাত্র আপনার শরীরকেই পরিষ্কার করে না, পাশাপাশি আপনার যোনি পরিষ্কার করারও সুযোগ করে দেয়। এছাড়াও, হালকা গরম জলে স্নান করলে মাসিকের ব্যাথা থেকে মুক্তি দিতে সহায়তা করে এবং শরীরের ক্লান্তি দূর হয় ও সতেজতা আসে।
৭) আরামদায়ক পোশাক পরুন
পিরিয়ডের সময় আরামদায়ক এবং ঢিলেঢালা পোশাক পরুন, এতে আপনি শারীরিক ও মানসিকভাবে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবেন। এর ফলে, যথাযথ বায়ুপ্রবাহের পাশাপাশি সংবেদনশীল জায়গার চারপাশে ঘাম বেরোনোও রোধ হবে।