For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

ওয়ার্ল্ড লিভার ডে: এই খাবার এবং পানীয়গুলি খেলে দেখবেন কোনও দিন লিভার খারাপ হবে না!

এই প্রবন্ধে এমন কিছু খাবার সম্পর্কে আলোচনা করা হল, যা লিভারকে চাঙ্গা রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

|

ওয়ার্ল্ড লিভার ডে উপলক্ষে সম্প্রতি একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে গত এক দশকে আমাদের দেশে মাত্রাতিরিক্ত হারে বৃদ্ধি পয়েছে লিভারের অসুখ। এমন পরিস্থিতির পিছনে দায়ি রয়েছে অনেক কারণ, তবে মূল কারণ হল ওবেসিটি। আসলে শরীরে মেদ জমতে থাকলে ধীরে ধীরে লিভারের কর্মক্ষমতাকে কমে যায়। ফলে শরীরে উপস্থিত বিষ বা টক্সিক উপাদান ঠিকমতো বেরতে পারে না, সেই সঙ্গে রক্তে শর্করার মাত্রাও বাড়তে শুরু করে। শুধু তাই নয়, হেমোস্টেসিসও ঠিক মতো না হওয়ার কারণে শরীর ধীরে ধীরে ভাঙতে শুরু করছে। সেই সঙ্গে সঙ্গী হয় একাধিক মারণ রোগও। তাই তো লিভারের কর্মক্ষমতা ঠিক আছে কিনা, সেদিকে খেয়াল রাখা একান্ত প্রয়োজন। আর একাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারে এই প্রবন্ধ।

আসলে এই প্রবন্ধে এমন কিছু খাবার সম্পর্কে আলোচনা করা হল, যা লিভারকে চাঙ্গা রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই তো দীর্ঘ দিন যদি বাঁচতে চান, তাহলে এই লেখায় যে যে খাবারগুলির বিষযে আলোচনা করা হয়েছে, সেগুলি নিয়মিত খেতে ভুলবেন না যেন! প্রসঙ্গত, যে যে খাবারগুলি খেলে লিভারের ক্ষমতা বাড়ে, সেগুলি হল...

১. রসুন:

১. রসুন:

বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত সকালবেলা, খালি পেটে এক কোয়া করে রসুন খাওয়া শুরু করলে লিভারের অন্দরে উপস্থিত টক্সিক উপাদানদের বেরিয়ে যেতে শুরু করে। ফলে লিভারের কর্মক্ষমতা বাড়তে সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, এই প্রকৃতিক উপাদানটির অন্দরে উপস্থিত অ্যালিসিন নামক এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

২. বিট:

২. বিট:

শরীরে উপস্থিত ক্ষতিকারক কার্সিনোজেনের কারণে অনেক সময়ই লিভার মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। ফলে নানাবিধ লিভারের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা যায় বেড়ে। এমনটা আপনার সঙ্গেও ঘটুক, তা যদি না চান, তাহলে নিয়মিত বিটের রস খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন উপকার মিলবে। আসলে বিটের অন্দরে উপস্থিত বিটালেনস নামক একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, দেহের অন্দরে জমতে থাকা ক্ষতিকর উপাদানদের বের করে দেয়। ফলে লিভারের কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়।

৩. ব্রকলি:

৩. ব্রকলি:

এই সবজিটির অন্দরে উপস্থিত আইসোথিয়োসায়ানেট নামক উপাদান দেহের অন্দরে প্রদাহের মাত্রা কমানোর পাশাপাশি লিভারের কর্মক্ষমতা বাড়াতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রসঙ্গত, ইলিনোস ইউনিভার্সিটির গবেষকদের করা এক পরীক্ষায় দেখা গেছে "নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার"এর মতো রোগকে দূরে রাখতে ব্রকলির কেনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। তাই লিভারকে যদি সুস্থ রাখতে হয়, তাহলে সপ্তাহে ৩ দিন ব্রকলি খেতে ভুলবেন না যেন!

৪. পাতি লেবু:

৪. পাতি লেবু:

মৌসম্বির মতো লেবুও একটি সাইট্রাস ফল, যাতে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং বায়োফ্লেবোনাইডস। এই উপাদানগুলি লিভারকে পরিষ্কার করার পাশাপাশি শরীরের অন্দরে যাতে অক্সিডাইজ ড্য়ামেজ বেশি মাত্রা না হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখে। ফলে লিভারের কর্মক্ষমতা বাড়তে শুরু করে।

৫. কাঁচা আম:

৫. কাঁচা আম:

বেশ কিছু গবেষণায় দেখে গাছে শরীরকে ডিটক্সিফাই করতে কাঁচা আমের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। শুধু তাই নয়, লিভার এবং গল ব্লাডারের কর্মক্ষমতা বাড়াতেও এই ফলটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৬. আপেল:

৬. আপেল:

কথাতেই আছে ,"প্রতিদিন যদি একটা করে আপেল খাওয়া যায়, তাহলে কোনও দিন চিকিৎসকের মুখ দেখতে হয় না।" কথাটা কোনও অংশে ভুল নয়। আসলে আপেলে উপস্থিত একাধিক পুষ্টিকর উপাদান লিভারের অন্দরে যাতে কোনও ক্ষত সৃষ্টি না হয়, সেদিকে নজর রাখার পাশাপাশি সার্বিকবাবে শরীরের প্রতিটি অঙ্গের কর্মক্ষমতা বাড়তেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। ফলে ছোট-বড় কোনও রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না।

৭. গাজর:

৭. গাজর:

ক্যারোটিনয়েড নামে একটি অতি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে গাজরের শরীরে, যা দেহের ইতিউতি ঘুরে বেরানো ফ্রি রেডিকাল বা টক্সিক উপাদনদের কোনও অঙ্গের ধারে কাছে যেতে দেয় না। ফলে স্বাভাবিকভাবেই শুধু লিভার নয়, কোনও অরগ্যানেরই ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে না।

প্রসঙ্গত, বেশ কিছু পানীয়ও আছে, যেগুলি নিয়মিত খেলে লিভারের রোগে ভোগার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। যেমন ধরুন...

১. পিপারমেন্ট টি:

১. পিপারমেন্ট টি:

রাতে একটু বেশি খাওয়া হয়ে গেছে? কেমন হাঁসফাঁস করছে শরীরটা। চিন্তা নেই। এক কাপ পিপারমেন্ট চা খেয়ে নিন না, দেখবেন সমস্য়া কমে যাবে। সেই সঙ্গে লিভারের কর্মক্ষমতাও বৃদ্ধি পেতে শুরু করবে।

২. লেবুর জল:

২. লেবুর জল:

লিভারকের ভালো রাখতে এটি আরেকটি কার্যকরি পানীয়। লেবুর জলে, লিভারের জন্য় উপকারি বেশ কেয়কটি নিউিট্রয়েন্টস থাকে। তাই এই পানীয় যদি রোজ রাতে শুতে যাওয়ার আগে খাওয়া যায় তাহলে লিভার পরিষ্কার থাকে। সেই সঙ্গে এই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গটির কর্মক্ষমতাও বাড়ে।

৩. ক্যামোমিল চা:

৩. ক্যামোমিল চা:

এই চায়ে প্রচুর পরিমাণে সেসকুইটারপেন ল্য়াকটোন নামে এর ধরনের উপাদান থাকে, যা লিভারের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার প্রক্রিয়াটিকে ঠিকভাবে চালাতে সাহায্য় করে।

৪. গোলাপ চা:

৪. গোলাপ চা:

এই চা রোজ খেলে লিভার তো ভালো থাকেই, সেই সঙ্গে স্ট্রেস এবং ডিপ্রেশন কমিয়ে রাতের ঘুম যাতে ভালো হয় সেদিকেও খেয়াল রাখে এই পানীয়।

Read more about: শরীর রোগ
English summary

World Liver Day 2018: Things To Know About Liver And How To Keep It Healthy Naturally

World Liver Day is commemorated on 19th April every year. This day is observed to build awareness and understanding how important the liver is for our body and how liver ailments can be treated and managed efficiently. As per the World Health Organisation (WHO), liver diseases are steadily increasing over the years. Liver disease is the tenth most common cause of fatality in India. Liver makes for an important organ in a human body and is the second largest organ that plays a crucial role in our body's digestive system. This World Liver Day 2018, we tell things you need to know about liver and how to keep it hale and hearty naturally.
Story first published: Thursday, April 19, 2018, 17:51 [IST]
X
Desktop Bottom Promotion