Just In
- 2 hrs ago প্রচণ্ড গরমে শরীর ঠাণ্ডা রাখতে খান সুপারফুড চিয়া সিড!
- 4 hrs ago কাঠফাটা গরমে শরীরে জলের ঘাটতি পূরণ করবে এই ফলগুলি!
- 6 hrs ago নতুন কাজে সাফল্য বৃষ ও কর্কটের, ৫ রাশির জন্য শুভ আজকের দিন, জানতে দেখুন রাশিফল
- 23 hrs ago অতিরিক্ত দই, বিস্কুট খাচ্ছেন? আপনার ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়াতে পারে, সতর্ক থাকুন
ওয়ার্ল্ড এগ ডে: দিনে কি দুটোর বেশি ডিম খাওয়া উচিত?
হ্যাপি বাথডে বন্ধু! কী মশাই কার জন্মদিন আজ? সেকি জানে না আপনি! আজ ডিমের জন্মদিন। সেই ১৯৯৬ সালে ভিয়েনায় হওয়া এক সম্মেলনে আজকের দিনটাকে ওয়ার্ল্ড হেলথ ডে হিসেবে গণ্য করেন বিশেষজ্ঞরা। সেই কারণেই তো এই দি
হ্যাপি বাথডে বন্ধু! কী মশাই কার জন্মদিন আজ? সেকি জানে না আপনি! আজ ডিমের জন্মদিন। সেই ১৯৯৬ সালে ভিয়েনায় হওয়া এক সম্মেলনে আজকের দিনটাকে ওয়ার্ল্ড হেলথ ডে হিসেবে গণ্য করেন বিশেষজ্ঞরা। সেই কারণেই তো এই দিনটিকে ডিমের জন্মদিন হিসেবেও পালন করা হয়ে থাকে। তাই তো আজ এই প্রবন্ধে আমাদের এই প্রিয় বন্ধুর সম্পর্কে ওঠা কিছু বদনাম মেটানোর চেষ্টা করবো। দেখা যাক কতটা করতে পারি।
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে ডিমে উপস্থিত খনিজ এবং ভিটামিন হার্টের পাশাপাশি ব্রেন এবং শরীরের বাকি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের খেয়াল রাখতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। কিন্তু এর পরেও একদল এমন বদনাম করে বেরান যে বেশি মাত্রায় ডিম খেলে নাকি শরীরের পক্ষে খারাপ। সত্যিই কি দিনে একটার বেশি ডিম খেলে শরীরের খারাপ হয়? চলুন এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজা যাক।
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে ডিমের অ্যালবুমিন, অর্থাৎ সাদা অংশ এবং কুসুমে প্রচুর মাত্রায় মজুত থাকে বিটামিন এ, বি কমপ্লেক্স, ভিটামিন ডি, ভিটামিন ই এবং ভিটামিন কে। সেই সঙ্গে থাকে সেলেনিয়াম, ক্যালসিয়াম এবং জিঙ্ক। এই সবকটি উপাদান শরীরে প্রবেশ করার পর যে যে কাজগুলি করে থাকে, সেগুলি হল...
১. হার্টকে চাঙ্গা করে:
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে ডিম খেলে শরীরে উপকারি কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়তে শুরু করে, যা নানাভাবে হার্টকে এতটাই সুস্থ করে তোলে যে কোনও ধরনের হার্ট ডিজিজে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়। সেই সঙ্গে স্ট্রোক এবং হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কাও কমে। এখানেই শেষ নয়, বিশেষজ্ঞদের মতে ডিমে উপস্থিত উপকারি উপাদানগুলি অ্যাথেরোস্কেলেরোসিস এবং ব্লাড ক্লটের আশঙ্কাও কমায়।
২. ওজন কমায়:
একেবারে ঠিক শুনেছেন। ডিম খেলে ওজন বাড়ে না, বরং কমতে শুরু করে। কারণ ডিমে উপস্থিত প্রোটিন শরীরে প্রবেশ করার পর এত মাত্রায় পেট ভরিয়ে দেয় যে বারে বারে খাবার খাওয়ার ইচ্ছাটাই চলে যায়। ফলে্ খাওয়ার পরিমাণ কমতে শুরু করে। আর কম খাবার খাওয়ার কারণে স্বাভাবিকভাবেই ওজন বাড়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়।
৩. ব্রেন পাওয়ার মারাত্মক বৃদ্ধি পায়:
ডিমে উপস্থিত কোলিন নামক উপাদানটি শরীরে প্রবেশ করার পর এমন কিছু খেল দেখায় যে মস্তিষ্কের ভিতরে থাকা নিউরনরা মারাত্মক অ্যাকটিভ হয়ে যায়। সেই সঙ্গে তথ্য আদান-প্রদানের স্পিড এতটাই বেড়ে যায় যে ব্রেন পাওয়ার বাড়তে শুরু করে। সেই শঙ্গে বুদ্ধি এবং স্মৃতিশক্তিরও বিকাশ ঘঠে। প্রসঙ্গত, বেশ কিছু সরকারি নথি ঘেঁটে জানা গেছে আমাদের দেশের মোট জনসংখ্যার বেশিরবাগেরই শরীরে কোলিনের ঘাটিত রয়েছে। তাই বন্ধুরা দিনে ২ টো কেন, ৩ টে ডিম খেলেও শরীরের কোনও ক্ষতি হবে না, বরং উপকার হবে।
৪. অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ঘাটতি মেটায়:
ক্যান্সারের মতো মারণ রোগকে দূরে রাখার পাশাপাশি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতিতে এবং সার্বিকভাবে শরীরকে সুস্থ রাখতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই তো এই উপাদানটির ঘাটতি হওয়া কোনও সময়ই উচিত নয়। আর ঠিক এই কারণেই প্রতিদিন অন্তত দুটো করে ডিম খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা। আসলে ডিমে একটা নয়, রয়েছে একাধিক ধরনের উপকারি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যার মধ্যে অন্যতম হল লুটেইন এবং জিয়েজেন্থিন।
৫. উপকারি খনিজের ঘাটতি মেটায়:
নিয়মিত ডিম খেলে শরীরে আয়োডিন এবং সেলেনিয়ামের মতো বিশেষ ধরনের কিছু খনিজের পরিমাণ বাড়তে শুরু করে। এই দুই খনিজ শরীরে হরমোনের ভারসাম্য ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
ডিম নিয়ে কিছু ভুল ধারণা:
কারণে অকারণে অনেক সময়ই ডিমের মতো স্বাস্থ্যকর খাবারকেও কলিমা লিপ্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে। চেষ্টা চলছে এখনও। তাই কতগুলি বিষয় সম্পর্কে আপনাদের স্পষ্ট ধারণা থাকা একান্ত প্রয়োজন। যেমন...
১. ডিম খেলে শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পায় না। বরং এক্ষেত্রে একেবারে উল্টো ঘটনা ঘঠে। ডিম খাওয়া মাত্র শরীরে উপকারি কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। ফলে হার্টের শক্তি বৃদ্ধি পায়। তবু একটা কথা জানিয়ে রাখা উচিত যে বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে ডিমের কুসুন খেলে লিপিডের পরিমাণ বাড়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই ইচ্ছা হলে শুধুমাত্র ডিমের সাদা অংশও খেতে পারেন। এমনটা করলে কোনও ক্ষতি হবে না।
২. অনেকেই মনে করেন দিনে ২ টোর বেশি ডিম খাওয়া উচিত নয়। কিন্তু আদতে এমন কিছুই হয় না। উল্টে শরীরের উপকার হয়। প্রসঙ্গত, একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে যে কোনও সুস্থ মানুষ দিনে ৩ টে করে ডিম খেতেই পারেন। এমনটা করলে কোনও ক্ষতিই হয় না।
৩. ডিম খাওয়ার পর দুধ খেলে কি ক্ষতি হয়? এই নিয়ে আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান এবং আয়ুর্বেদ শাস্ত্রের মধ্যে একটা বিবাদ রয়েছে। আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞরা যেখানে ডিম খাওয়ার পর দুধ খেতে মান করেন, সেখানে আধুনিক চিকিৎসকেদের মতে রান্না করা ডিমের সঙ্গে দুধ খেলে কোনও ক্ষতিই হয় না। অর্থাৎ ইচ্ছা হলে কেউ অমলেটের সঙ্গে এক গ্লাস দুধ খেতেই পারেন।