Related Articles
রাতে শুতে যাওয়ার আগে মোবাইল ব্যবহার করেন নাকি? এমনটা করলে আপনি অন্ধ হয়ে যেতে পারেন
পরিসংখ্যান বলছে ২৫-৩৫ বছর বয়সিদের মধ্য়ে প্রায় ৮০ শতাংশই রাতে শুতে যাওয়ার সময় বালিশের পাশে মোবাইল ফোন রাখেন। আর ঘুম যতক্ষণ না আসছে, ততক্ষণ ইন্টারনেটে অথবা হোয়াটস অ্যাপের জগতে চলতে থাকে দাপাদাপি। আর এই করতে করতে কখন যে ঘরির কাঁটা পরের দিন ঢুকে যায়, সেদিকে খেয়ালই থাকে না বেশিরভাগের। আপনিও কি এমনটা করে থাকেন? তাহলে আজ থেকেই বন্ধ করুন এই অভ্যাস। না হলে শরীরের যে কী কী ক্ষতি হবে, তা আপনি আন্দাজও করতে পারছেন না।
এই প্রবন্ধে অন্ধকারে শুয়ে শুয়ে মোবাইল ফোন ব্যবহারের খারাপ দিকগুলি তুলে ধরা হল। আপনি যদি বুদ্ধিমান হন, তাহলে এই লেখাটি পড়ার পর আর কোনও দিন শুতে যাওয়ার আগে মোবাইল ফোনকে যে কাছে টানবেন না, সে কথা হলফ করে বলতে পারি।
আসলে অন্ধকারে মোবাইলের নীল আলো চোখের মারাত্মক ক্ষতি তো করেই। সেই সঙ্গে শরীরে মেলাটোনিন হরমোনের ক্ষরণ কমিয়ে দেয়। ফলে ঘুম আসতে চায় না। আর দিনের পর দিন রাতে ঠিক মতো ঘুম না হলে শরীরে একে একে বাসা বাঁধতে শুরু করে একাধিক জটিল রোগ। এছাড়াও হতে পারে আরও নানা রকমের সমস্যা। যেমন...
১. রেটিনা খারাপ হতে শুরু করে:
অন্ধকারে মোবাইল ফোন ব্য়বহার করলে তার নীল আলো রেটিনার কার্মক্ষমতা কমাতে শুরু করে। দীর্ঘ দিন ধরে যদি এমনটা চলতে থাকে তাহলে দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়ার আশঙ্কাও বেড়ে যায়। তাই যদি কম বয়েস অন্ধ হতে না চান, তাহলে আজ থেকেই ফোনটা নিজের থেকে দূরে রেখে শুতে যাওয়ার অভ্যাস করুন। নাহলে কিন্তু বিপদ!
২. ঘুম কমে যায়:
যেমনটা আগেও বলেছি মোবাইল ফোনের আলো নানা ভাবে শরীরে মেলাটনিন হরমোনের ক্ষরণ কমিয়ে দেয়। ফলে সহজে ঘুম আসতে চায়। কারণ আমাদের ঘুম কতটা ভাল হবে, তা অনেকাংশেই নির্ভর করে মেলাটোনিন হরমোনের ক্ষরণের উপর।
৩. ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়:
মোবাইলের নীল আলোর কারণে শুধু মেলাটোনিন হরমোন নয়, সেই সঙ্গে আরও সব হরমোনের ক্ষরণে বাঁধা আসতে শুরু করে, ফলে শরীরে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ উপাদানের ঘাটতি দেখা দিতে শুরু করে, যা ক্যান্সার রোগে, বিশেষত ব্রেস্ট এবং প্রস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ায়। তাহলে আপনিই সিদ্ধান্ত নিন, সুস্থ ভাবে বাঁচতে চান না মোবাইলকে জীবনের আগে রাখতে চান।
৪. মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতি হয়:
ঠিক মতো ঘুম না হলে ধীরে ধীরে মস্তিষ্কের কাজ করার ক্ষমতা কমতে শুরু করে। ফলে স্মৃতিশক্তি লোপ পায়। শুধু তাই নয় ব্রেণে রক্ত প্রবাহে নানা বাঁধা আসতে শুরু করে। ফলে মস্তিষ্ক সম্পর্কিত নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা মারাত্মকভাবে বেড়ে যায়।
৫. দৃষ্টিশক্তি কমে যায়:
অন্ধকারে অনক সময় ধরে মোবাইল ঘাটলে তার নীল আলো সরাসরি চোখের উপর পরতে থাকে। যে কারণে চোখে যন্ত্রণা হতে পারে। আর দীর্ঘদিন ধরে যদি এমনটা হতে থাকে, তাহলে এক সময়ে গিয়ে দৃষ্টিশক্তি মারাত্মকভাবে কমে যেতে পারে কিন্তু!