Just In
- 9 min ago হিন্দু নববর্ষের ৩ দিন আগেই গ্রহ পরিবর্তন, শনির প্রভাবে অর্থ-বৃষ্টির সম্ভাবনা এই রাশিগুলিতে
- 17 hrs ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
- 18 hrs ago আপনার কি ক্রমাগত কান চুলকাচ্ছেন? অজান্তেই ডেকে আনচ্ছেন বড় বিপদ
- 22 hrs ago মসুর ডাল খেতে ভালোবাসেন? কিন্তু অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
ভুলেও কখনও রাস্তার দোকান থেকে মোমো কিনে খাবেন না! কেন জানেন?
ময়দা দিয়ে বানানো হয় এই পদটি। আর আজকাল বেশিরভাগ জায়গাতেই ময়দার সঙ্গে নানা ক্ষতিকর কেমিক্যাল মেশানো হচ্ছে।
"কিং অব স্ট্রিট ফুডে" এর তকমা পাওয়া মোমো খেতে এখন ভয় করে। কারণগুলি জানলে হয়তো আপনিও আর কোনও দিন এই খাবারটি মুখে তুলবেন না।
এটি বানানো যেমন সোজা, খরচ কম। তাই তো গত কয়েক দশকে স্ট্রিট ফুডের দুনিয়ায় রমরমিয়ে রাজত্ব করে চলেছে এই খাবারটি। আপনিও নিশ্চয় কলকাতার এক্সাইড মোরে অথবা দিল্লির লাজপত নগরের দোলমা আন্টির মোমো স্টলে চুটিয়ে খেয়েছেনন এই সুস্বাদু পদটি। কিন্তু আর খাবেন না। কারণ আপনারা জানেন কি, এই খাবারটির সঙ্গে একাধিক রোগ আমাদের শরীরে প্রবেশ করে, যা সুস্থ জীবনের পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু মোমোর সঙ্গে শরীর খারাপ হওয়ার কী সম্পর্ক? সেই নিয়েই তো বাকি প্রবন্ধে আলোচনা করা হল।
বেশিরভাগ জায়গায় মোমো বানানো হচ্ছে ভেজাল ময়দা দিয়ে:
ময়দা দিয়ে বানানো হয় এই পদটি। আর আজকাল বেশিরভাগ জায়গাতেই ময়দার সঙ্গে নানা ক্ষতিকর কেমিক্যাল মেশানো হচ্ছে। কেন জানেন? কারণ ময়দার সঙ্গে অ্যাজোডিকার্বোনাইড, কলোরিঙ্গাস, বেনজল পারঅক্সাইড মেশালে ময়দা আরও উজ্জ্বল সাদা হয়ে ওঠে, নরম হয় এবং স্বাদও বৃদ্ধি পায়। শুধু তাই নয়, ভেজাল ময়দার দামও খুব কম। তাই জেনে বা না জেনে রাস্তার দোকানে বিক্রি হওয়া বেশিরভাগ মোমোই এই ভেজাল ময়দা দিয়ে তৈরি করা হয়। ফলে খরচ যায় কমে, লাভ হয় বেশি। কিন্তু এমন কেমিক্যাল শরীরে প্রবেশ করতে থাকলে প্যানক্রিয়াস মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। সেই সঙ্গে ইনসুলিন ঠিক মতো কাজ করার ক্ষমকা হারিয়ে ফেলে। ফলে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়।
মোমোর পুড়টা বেশিরভাগ সময়ই খারাপ উপাদান দিয়ে তৈরি করা হয়:
সে চিকেন মোমো হোক কী ভেজ মোমো, বেশিরভাগ জায়গাতেই খুব খারাপ সবজি বা মাংস দিয়ে এই পুড়টা তৈরি করা হয়। ফলে এমন ধরনের খাবারে ই-কোলাই ব্যাকটেরিয়া থাকার আশঙ্কা বেড়ে যায়। এই ব্যাকটেরিয়াটি শরীরে প্রবেশ করলে ডায়ারিয়া, অ্যানিমিয়া, কিডনি ফেলিওর, ইউরিনারি ট্রাক্ট ইনফেকশন সহ নানাবিধ জটিল রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।
মোমোর চাটনি চেখে দেখার আগে জেনে নিন:
কাঁচা লঙ্কা শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক নয়। কিন্তু মাত্রাতিরিক্ত গুঁড়ো লঙ্কা খাওয়া একেবারেই ভাল নয়। সেই কারণেই তো মোমোর চাটনিখেতে মানা করেন চিকিৎসকেরা। কারণ বেশিরভাগ রাস্তার দোকানেই এদিকে যেমন কম দামি লঙ্কা গুঁড়ো ব্যবহার করা হয়, তেমনি মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণ লঙ্কা গুঁড়ো দিয়ে চাটনি বানায় এমন দোকানিরা। ফলে নানাবিধ শারীরিক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়।
রাস্তার মোমোতে থাকে আরও নানা সব ক্ষতিকর উপাদান:
দিল্লির ইনস্টিটিউট অব হোটেল ম্যানেজমেন্ট-এর করা এক স্টাডিতে দেখা গেছে রাস্তার মোমোতে বেশ কিছু ক্ষতিকর উপাদান বেশ মাত্রাতিরিক্ত হারে থাকে। যেমন- ব্যাসিলাস সেরেয়াস, ক্লোস্ট্রিডাম পাফ্রিংদেনাস, স্টেপাইলোকক্কাস অ্যারিয়াস এবং সানমোনেলা স্পিসিস। প্রসঙ্গত, এই সব উপাদানগুলির মাত্রা কোনও খাবারে যেখানে ৫০ এম পি এন-এর বেশি থাকা উচিত নয়, সেখানে রাস্তার মোমোতে বেশিরভাগ সময়ই থাকে ২৪০০ এম পি এন। ফলে এমন খাবার খেলে ডায়ারিয়া, পেটে যন্ত্রণা, টাইফয়েড এবং ফুড পয়েজেনিং এর মতো রোগ হতে পারে।
তাই সব শেষে বলতেই হয়:
এইসব বিষ্কাক্ত খাবারকে তখনই আপনার শরীর গ্রহণ করতে পরাবে যখন শরীরের অন্দরের ক্ষমতা বেশি হবে। আর সেই জন্য়ই তো পাইবার সমৃদ্ধ খাবার বেসি করে খেতে হবে। এমন ধরনের খাবার বেশি করে খাবেন তো কখনও এমন জাঙ্ক ফুড খেয়ে শরীর খারাপ হয়ে যাবে না। এই কথাগুলি বললাম এমন মানুষদের কতা ভেবে যাকা কাস্তার মোমো না খেয়ে থাকতে পারেবেন না। কিন্তু সাধারণ ভাবে এমন খাবার না খাওয়াই ভাল।