Just In
- 11 hrs ago ঠাকুরকে নিত্যভোগ দেওয়ার সময় ঘণ্টা বাজে কেন? জানেন কি এর পিছনের রহস্য
- 13 hrs ago প্রখর রোদ থেকে স্বস্তি পেতে বাড়িতেই বানিয়ে নিন এই শরবতগুলি, ঠান্ডা রাখবে শরীরও
- 15 hrs ago গরমে এই পানীয়গুলি খেলে আপনিও থাকবেন হাইড্রেটেড ও সতেজ
- 17 hrs ago কাঠফাটা রোদ থেকে বাঁচতে কী করবেন? এড়িয়ে চলুন চা-কফি
Don't Miss
মন খারাপ থাকলে কি ওজন কমতে থাকে?
"শরীর হল একটা মন্দির"- জয় বাবা ফেলুনাথ সিনেমায় বিশ্বশ্রীর বলা এই কথাটা কি মনে আছে বন্ধুরা?
রিল লাইফের সেই বডি বিল্ডারের শরীরের মতো রিয়েল লাইফের গড়পরতা মানুষের শরীর অমন কারুকার্যপূর্ণ হয় না ঠিকই, কিন্তু বিশ্বশ্রীর মন্দিরে সামান্য চোট লাগলে যেমন সমগ্র মন্দির চত্ত্বর কেঁপে ওঠে, তেমনি সাধারণ মন্দিরের ক্ষেত্রেও কিন্তু একই ঘটনা ঘটে থাকে। তাই তো মনে চিড় ধরলে সারা শরীরে তার প্রভাব পরে! মনের আকাশে যত কালো মেঘ জমতে থাকে, তত শরীরও ভাঙতে শুরু করে।
কিন্তু মন খারাপ হলে শরীরে ক্ষয় ধরে কেন?
শরীর এবং মনের মধ্যে সম্পর্কে বেশ গভীর। তাই তো মন খারাপ থাকলে অথবা দুশ্চিন্তা ঘিরে ধরলে মস্তিষ্কে অ্যাড্রিনালিনের ক্ষরণ অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যায়। আর এমনটা হওয়া মাত্র কর্টিজল নামে একটি উপাদানের মাত্রা রক্তে বাড়তে শুরু করে। এর প্রভাবে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। সেই সঙ্গে খাওয়ার ইচ্ছাও চলে যায়। স্বাভাবিক ভাবেই এ সময় শরীর প্রয়োজনের থেকে কম পরিমাণ খাবার পেতে শুরু করে। ফলে পুষ্টির অভাব দেখা দেওয়ার কারণে ওজন কমতে শুরু করে।
তারপর...
শরীরে এমন নেতি বাচক রদবদলের কারণে পাকস্থলির উপরও খারাপ প্রভাব পরে। তাই তো একাধিক কেস স্টাডিতে ধরা পরেছে কারও যখন মন খারাপ থাকে তখন কিছু খেলেই মনে হয় বমি হয়ে যাবে। আসলে শরীরের অন্দরে তখন বিশেষ কিছু হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যাওয়ার কারণে এমন অনুভূতি হয়।
তাহলে উপায়!
এক্ষেত্রে শরীর দুটি কাজ করে থাকে। হয় মন ভাল করে দেওয়ার চেষ্টা চালায়। অথবা বিশ্রাম মোডে চলে যায়। শরীর যখন "রিপিয়ার মোড" অথবা মন ভাল করে দেওয়ার চেষ্টায় লেগে পরে তখন নানা কারণে ক্ষিদে আরও কমে যায়। ফলে শরীর ভাঙতে শুরু করে। সহজ কথায় শরীরে রিপিয়ার মোডে থাকাকালীন উপকার তো হয়ই না, উল্টে খারাপ হয়! তাই একথার মধ্যে কোনও ভুল নেই যে মন খারাপের সঙ্গে রোগা হওয়ার সরাসরি যোগ রয়েছে।
তাহলে শরীরের ভাঙল রোধে হবে কীভাবে?
প্রথমেই মন ভাল কীভাবে করা সম্ভব, তা ভাবতে হবে এবং সেই মতো কাজ করতে হবে। একবার মন চাঙ্গা হয়ে উঠবে তো ধীরে ধীরে খাওয়ার ইচ্ছাও ফিরে আসবে। ফিরবে ক্ষিদে ভাবও। অর্থাৎ মন ভাল করা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই কিন্তু! সেই সঙ্গে ইচ্ছা না হলেও ঠিক মতো খাবার খেযে যেতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে শরীরে কোনও ভাবেই যাতে পুষ্টিকর উপাদানের ঘাটতি না হয়।