For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

সাবু দানার খিচুড়ি খেলেই কিন্তু...!

সাবুদানায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, যা পেশির গঠনে যেমন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে, তেমনি শরীরের সার্বিক শক্তি বৃদ্ধিতেও সাহায্য় করে।

By Nayan
|

পুজো আসতে আসছে বলে প্রায় এসেই গেল। এই সময় যে যে আমিষ-নিরামিষ পদগুলি প্রায় সব বাঙালি হেঁসেলেই তৈরি হবে, তার মধ্যে অন্যতম হল খিচুড়ি। চালে-ডালে খিচুড়ি সেই লিস্টে তো থাকবেই। সেই সঙ্গে সাবু দানার খিচুড়িকে কিভাবে বাদ দেওয়া যায় বলুন! সেই কারণেই তো আজ সাবু দানার ভাল-মন্দ নিয়ে কিছু জরুরি তথ্য় তুলে ধরার চেষ্টা করা হবে এই প্রবন্ধে।

নবরাত্রির সময় থেকেই বাঙালি-অবাঙালি বাড়িতে উপোস করা শুরু হয়ে যায়। এই সময় গৃহিনীরা মূলত সাবুদানার খিচুড়ি খেতেই ভালবাসেন। আবার বিকেলের স্ন্যাক্স, চায়ের সঙ্গে সাবুদানার পাকোরাও কম জনপ্রিয় নয়! কিন্তু প্রশ্নটা হল সাবুদানা দিয়ে বানানো এই পদটি কি আদৌ স্বাস্থ্যকর?

খাবারের ভাল-মন্দ নিয়ে গবেষণা করা বিশেষজ্ঞদের মতে সাবুদানায় রয়েছে প্রচির পরিমাণে প্রোটিন। সেই সঙ্গে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়রন, ক্যালসিয়াম, ফলিক অ্যাসিড এবং ভিটামিন বি। এই উপাদানগুলি নানাভাবে শরীরের কাজে লেগে থাকে। যেমন ধরুন...

১. পেশির শক্তি বাড়ায়:

১. পেশির শক্তি বাড়ায়:

সাবুদানায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, যা পেশির গঠনে যেমন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে, তেমনি শরীরের সার্বিক শক্তি বৃদ্ধিতেও সাহায্য় করে। তাই তো যারা নিয়মিত শরীরচর্চা করে থাকেন, তারা ব্রেকফাস্টে সাবুদানার খিচুড়ি খাওয়া শুরু করতে পারেন। এমনটা করলে দেখবেন নানাভাবে উপকার পাবেন।

২. হাড়ের গঠনে উন্নতি ঘটে:

২. হাড়ের গঠনে উন্নতি ঘটে:

বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে সাবুদানার অন্দরে থাকা ভিটামিন কে এবং ক্যালসিয়াম শরীরে প্রবেশ করার পর হাড়ের ক্ষয় দূর করে। সেই সঙ্গে অস্টিওআর্থ্রাইটিসের মতো হাড়ের রোগ যাতে ধারে কাছেও ঘেঁষতে না পারে, সেদিকেও খেয়াল রাখে। প্রসঙ্গত, একাধিক কেস স্টাডি করে দেখা গেছে ৪০ বছরের পর থেকে নানা কারণে মহিলাদের শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব হতে থাকে। ফলে এই সময় হাড় ক্ষয়ে যাওয়া সহ নানাবিধ রোগ ঘারে চেপে বসে। তাই তো ৪০-এর পর থেকে মহিলাদের নিয়ম করে ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত, যার মধ্যে থাকতে পারে সাবুদানা দিয়ে বানানো নানা পদও।

৩. অ্যানিমিয়ার প্রকোপ কমায়:

৩. অ্যানিমিয়ার প্রকোপ কমায়:

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের প্রকাশ করা রিপোর্ট অনুসারে আমাদের দেশের বেশিরভাগ মহিলাই অ্যানিমিয়া বা রক্তাল্পতায় ভুগে থাকেন। এর পিছনে ঠিক মতো খাবার না খাওয়া যেমন একটা কারণ, তেমনি অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রাকেও দায়ি করা যেতে পারে। এমন পরিস্থিতে অ্যানিমিয়ার প্রকোপ কমাতে সাবুদানার কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। আসলে এই খাবারটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, যা অল্প সময়ের মধ্যেই শরীরে লহিত রক্তকণিকার অভাব ঘুঁচিয়ে অ্যানিমিয়ার চিকিৎসায় বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৪. রক্তচাপ কমায়:

৪. রক্তচাপ কমায়:

সাবু দানার যে কোনও পদ খাওয়ার পর শরীরের প্রতিটি অংশে রক্তের প্রবাহ মারাত্মক বেড়ে যায়। ফলে ধমনি প্রসারিত হতে থাকে। যে কারণে রক্তচাপ একেবারে স্বাভাবিক লেভেলে চলে আসে। তাই তো পরিবারে যদি এই রোগের ইতিহাস থাকে, তাহলে রোজের ডায়েটে এই খাবারটিকে রাখতে ভুলবেন না যেন!

৫. এনার্জির ঘাটতি দূর করে:

৫. এনার্জির ঘাটতি দূর করে:

একবার খেয়াল করে দেখুন তো কী কী পুষ্টিকর উপাদান থাকে সাবুদানায়। আচ্ছা দাঁড়ান দাঁড়ান, আমিই বলে দিই। এতে রয়েছে প্রোটিন, ভিটামিন এবং নানা ধরনের উপকারি খনিজ। এই সবকটি উপাদানই নানাভাবে এনার্জির ঘাটতি দূর করতে বিশেষ ভূমিকা নেয়। তাই তো এবার থেকে যখনই মনে হবে শরীর আর চলছে না, অল্প করে সাবুদানার কোনও পদ বানিয়ে চটজলদি খেয়ে নেবেন। এমনটা করলে দেখবেন শরীরটা চাঙ্গা হয়ে উঠতে সময় সাগবে না।

৬. ভাবী মায়েদের জন্য খুব উপকারি:

৬. ভাবী মায়েদের জন্য খুব উপকারি:

একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে সাবুদানায় থাকা খনিজ এবং ভিটামিনগুলি ভাবী মায়ের শরীরে প্রবেশ করার পর ফিটাসের যাতে কোনও রকমের ক্ষতি না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখে। ফলে প্রসবকালীন কোনও সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। তবে গর্ভাবস্থায় একেক জনের শরীরের অবস্থা একেক ধরনের হয়, তাই ডায়েটে কোনও পরিবর্তন আনার আগে একবার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিতে ভুলবেন না।

৭. হজমে সহায়ক:

৭. হজমে সহায়ক:

এক্ষেত্রে দুভাবে সাবুদানা নিজের খেল দেখিয়ে থাকে। প্রথমত, হজমে সহায়ক অ্যাসিডের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়। আর অন্যদিকে পাকস্থলীর কর্মক্ষমতা বাড়ায়। ফলে নিয়মিত সাবু দানা খেলে হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটতে একেবারে সময়ই লাগে না।

English summary

সাবু দানার ভাল-মন্দ নিয়ে কিছু জরুরি তথ্য় তুলে ধরার চেষ্টা করা হবে এই প্রবন্ধে। কারণ আদৌ এই খাবারটি শরীরের উপকারে লাগে কিনা সে বিষয়ে জেনে নেওয়াটা জরুরি।

The Navratri festival is at it's end and many of you may have consumed the tasty, yet healthy, 'sabudana kichdi' during this time, especially while fasting. Did you know that sabudana comes with numerous health benefits?
Story first published: Saturday, September 23, 2017, 11:22 [IST]
X
Desktop Bottom Promotion