Just In
(ছবি) স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে অবলম্বন করুন এই ৬ উপায় !
স্ট্রোক মানেই অবধারিত মৃত্যু না হলেও মৃত্যুর মুখোমুখি হওয়া তো বটেই। যখন মস্তিষ্কে রক্তচলাচল বাধাপ্রাপ্ত হয় তখন মস্তিষ্কের কোষগুলি মৃত হতে শুরু করে। যা অনেকসময় প্রাণঘাতীও হয়।[(ছবি) জেনে নিন ব্রেন ক্যানসার সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি তথ্য]
কিন্তু কয়েকটি উপায়ে স্ট্রোকের ঝুঁকি কমানো যেতে পাতে। তার জন্য সবার আগে জানতে হবে স্ট্রোকের ক্ষেত্রে কী কী কারণ গুরুতর হতে পারে। [(ছবি) জেনে নিন মানুষের শরীরের নানা চাঞ্চল্যকর অজানা তথ্য]
কিছু কিছু সমস্যা রয়েছে যা আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকে না। ফলে হাজার চেষ্টা সত্ত্বেও সেই ঝুঁকিগুলি আমরা কমাতে পারি না। কিন্তু কিছু সমস্যার সমাধান আমাদের হাতের মুঠোতেই রয়েছে। [(ছবি) জেনে নিন স্মৃতিভ্রম ও হার্টের অসুখ সারাবেন কী খাবার খেয়ে]
তাহলে আসুন দেখে নেওয়া যাক স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে আপনার নিয়ন্ত্রণে কী কী রয়েছে। [(ছবি) ঘুমের মধ্যে অবচেতনে আপনি কি করেন জানেন? জেনে নিন]
২০ মিনিট অ্য়াকটিভিটি
জগিং হোক বা স্কিপিং, জোরে হাঁটা হোকা বা যোগাসন যেটাই আপনার পছন্দ সপ্তাহে অন্তত পাঁচ দিন ২০-২৫ মিনিট তা করুন। এতে রক্তচলাচল স্বাভাবিক থাকে। এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেকটাই কমে।
খাবার বাছাইয়ে যত্নবান হোন
কোলেস্টরল জাতীয় খাবার আপনার স্বাস্থ্যের শত্রু। কী খাচ্ছেন তা নিয়ে ওয়াকিবহাল থাকুন। কোন খাবার আপনার শরীরের উপযোগী তা ভাল করে জানুন। রক্তে কোলেস্টরল, সুগারের পরিমাণ পরীক্ষা করাতে থাকুন নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে।
আপনার হৃদযন্ত্রকে কোন জিনিস নষ্ট করছে?
আমরা সবাই জানি ধূমপান আমাদের ফুসফুসকে নষ্ট করে দেয়। ধূমপানের জেরে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যাও হতে পারে, যা স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়়িয়ে দেয়। তাই ধূমপান এড়িয়ে চলুন।
ওজম কমান
শরীরে অতিরিক্ত মেদ কিন্তু স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। কারণ অতিরিক্ত মেদের জেরে শরীরের কোলেস্টরলের মাত্রা বৃদ্ধি পায়, হৃদযন্ত্র স্বাভাবিক কাজে বাধাপ্রাপ্ত হয়। তাই স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে গেলে সবার প্রথমে ওজন কমান।
হাইপারটেনশন
নিয়মিত চিকিৎসকের কাছে রক্তচাপের পরীক্ষা করান। অতিরিক্ত চিন্তার ফলে উচ্চরক্তচাপের সমস্যা হতে পারে। আবার অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায় কিছু সময়ের তফাতে কখনও উচ্চ রক্তচাপ তো কিছুক্ষণের মধ্যে নিম্ন রক্তচাপ। রক্তচাপের প্রকৃতির এই ধরণের তারতম্য হলে স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ খান, এবং দুশ্চিন্তা করা বন্ধ করুন।
লোভ সম্ভরণ
সবজি, ফল বা যা শরীরের পক্ষে উপকারি এই ধরণের খাবার বেশি করে খান। প্রক্রিয়াজাত খাবার, ভাজাভুজি, মিষ্টি জাতীয় এমনকী নোনতা খাবারও এড়িয়ে চলুন। খেতে ইচ্ছে করলেও জোর করেন মনকে না খাওয়ার জন্য রাজি করান।