Just In
- 1 hr ago আপনি কি সেলফি তুলতে পছন্দ করেন? বিশেষজ্ঞরা বলছেন সেলফি স্বাস্থ্যকর
- 1 hr ago হিন্দু নববর্ষের ৩ দিন আগেই গ্রহ পরিবর্তন, শনির প্রভাবে অর্থ-বৃষ্টির সম্ভাবনা এই রাশিগুলিতে
- 18 hrs ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
- 19 hrs ago আপনার কি ক্রমাগত কান চুলকাচ্ছেন? অজান্তেই ডেকে আনচ্ছেন বড় বিপদ
ফ্লাইটে ভ্রমণের সময় সংক্রমণের হাত থেকে নিজেকে বাঁচান এই উপায়গুলির মাধ্যমে
বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসে (COVID-19) আক্রান্তের সংখ্যা দিনে দিনে বেড়ে ওঠার কারণে বিমানবন্দরগুলিতে বিধিনিষেধগুলি আরও কঠোর হয়ে উঠেছে এবং ইন্টারন্যাশনাল বিমানবন্দরগুলিতে এর প্রতিরোধমূলক সুরক্ষা ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে। করোনা ভাইরাসের কারণে বর্তমানে প্রায় সব বিমানবন্দরগুলিই যাত্রীদের পরীক্ষা করছে।
যখন আপনি বিমানের অভ্যন্তরে থাকবেন তখন যদি আপনার পাশের ব্যাক্তিটি হাঁচি বা কাশি দেয় তাহলে আপনি কখনোই তা এড়াতে পারবেন না। তবে অবশ্যই নিজেকে সুস্থ রাখতে এই পরামর্শগুলি মেনে চলতে পারেন -
১) হাত পরিষ্কার রাখুন
দ্য সেন্টারস্ ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (CDC), জীবাণুর পরিমাণ কিছুটা হ্রাস করার জন্য ঘন ঘন হাত ধোয়ার পরামর্শ দেয়। তাই, হাতে সাবান দিয়ে পরিষ্কার জলে ভাল করে হাত ধোবেন।
২) স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন
ফ্লাইটে থাকার সময় ঘন ঘন হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন, বিশেষত আপনি যখন ওয়াশরুমে যাবেন বা আপনার খাবার ট্রে-তে হাত দেবেন। CDC পরামর্শ দেয় যে, অসুস্থতা এবং অন্যদের মধ্যে জীবাণু ছড়ানো এড়াতে কমপক্ষে ৬০ শতাংশ অ্যালকোহলযুক্ত হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করার।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে কার্যকর মাস্ক কোনটি?
৩) মা্স্ক পরুন
ফ্লাইটের অভ্যন্তরে মাস্ক ব্যবহার করলে তা আপনাকে বাতাসে থাকা যেকোনও জীবাণু থেকে রক্ষা করবে। যখন কেউ কাশি বা হাঁচি দেয় তখন জীবাণুগুলি বাতাসে মিশে যায় যা আপনাকে সংক্রামিত করতে পারে। তাই, ফেস মাস্ক ব্যবহার করলে তা আপনার নাক এবং মুখকে এই জীবাণু থেকে রক্ষা করবে এবং অসুস্থ হওয়া থেকে রক্ষা করবে।
৪) নিজেকে হাইড্রেটেড রাখুন
আপনি যখনই আকাশপথে ভ্রমণ করবেন তখন নিজেকে হাইড্রেটেড রাখতে এক বোতল জল নিজের সঙ্গে রাখুন কারণ আপনার শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ জল না থাকলে, ভাইরাল বা ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণের সম্ভাবনা বাড়বে।
৫) নিজস্ব বালিশ বা কম্বল রাখুন
কিছু এয়ারলাইনস্ যাত্রীদের বালিশ এবং কম্বল সরবরাহ করে, যেগুলি পূর্বে বহুবার ব্যবহৃত হয়েছে। সেগুলি সঠিকভাবে পরিষ্কার করা হয়েছে কি না তা আপনি জানেন না। সুতরাং, অসুস্থ হওয়া এড়াতে আপনি ফ্লাইটে ভ্রমণ করার সময় নিজের বালিশ এবং কম্বল বহন করুন।
৬) এয়ার ফ্লো নিয়ন্ত্রণ করুন
ওভারহেড এয়ার ভেন্ট কিছুটা পরিমাণে জীবাণুগুলিকে বার করে দেয়। আপনি যদি অসুস্থ ব্যক্তির পাশে বসে থাকেন তাহলে ওভারহেড এয়ার ভেন্ট ব্যবহার করুন যা জীবাণু অপসারণ করবে।
৭) নাক, চোখ এবং মুখ স্পর্শ করা এড়িয়ে চলুন
ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া দ্বারা দূষিত আঙ্গুলের সাহায্যে আপনার নাক, চোখ এবং মুখ স্পর্শ করলে জীবাণু সহজেই শরীরে প্রবেশ করে যায়। নিজেকে সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করতে মুখের এই উন্মুক্ত অঞ্চলগুলি থেকে আপনার হাত-কে দূরে রাখুন।
করোনা ভাইরাস : দেখে নিন ভাইরাস থেকে বাঁচার কিছু সেফটি টিপস্
৮) ন্যাসাল স্প্রে ব্যবহার করুন
যদি আপনি মনে করেন আপনার নাক শুকিয়ে যাচ্ছে, তবে এই স্প্রে-টি ব্যবহার করুন কারণ এটি সংক্রমণ রোধে কার্যকর। আপনার নাকের শ্লেষ্মা ঝিল্লি শুকিয়ে গেলে তা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়।
৯) চোখে ড্রপ ব্যবহার করুন
চোখের ড্রপ বহন করুন কারণ এটি চোখের শুকনো এবং চুলকানি দূর করতে সাহায্য করে। এর ফলে আপনি আপনার দূষিত হাত বা আঙুল দিয়ে কিছুটা হলেও চোখ স্পর্শ করা কমাবেন।
১০) নিজস্ব খাবার বহন করুন
বিমানে ভ্রমণ করার সময়, আপনার নিজস্ব খাবার বহন করুন কারণ এটি সংক্রমণের ঝুঁকি হ্রাস করে এবং এটি ফ্লাইটে দেওয়া খাবারের চেয়ে অনেকটা স্বাস্থ্যকর।
এ বিষয়ে সাধারণত যে প্রশ্নগুলি থাকে
কোন কোন সমস্যার ক্ষেত্রে আকাশপথে ভ্রমণ করা এড়ানো উচিত?
আপনার যদি বুকে ব্যথা, কান বা নাকের সিরিয়াস ইনফেকশন, সাইনাসের সমস্যা বা সিরিয়াস দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসযন্ত্রের সমস্যায় ভুগছেন তবে আপনার বিমানে ভ্রমণ করা এড়ানো উচিত।
প্লেনে মাস্ক পরা কি অসুস্থ হওয়া থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে?
বিমানের অভ্যন্তরে মাস্ক পরা বায়ুবাহিত সংক্রমণ রোধ করে এবং যদি আপনি সংক্রামিত থাকেন তবে অন্যান্য যাত্রীদের অসুস্থ হওয়ার হাত থেকেও এটি রক্ষা করবে।
আরও পড়ুন : মোবাইল ফোনের মাধ্যমেও ছড়াতে পারে করোনা! রইল এর থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায়
কীভাবে বিমানের সিট জীবাণুমুক্ত করবেন?
নিজেকে সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করতে আপনার সিট-টি মোছার জন্য একটি জীবাণুনাশক অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ওয়াইপ ব্যবহার করুন।
আকাশপথে ভ্রমণ করার সময় কীভাবে সংক্রমণ হয়?
আপনি যদি বিমানবন্দরে বা ফ্লাইটে অন্য অসুস্থ যাত্রীদের সংস্পর্শে আসেন তবে আপনার সংক্রমণ হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। এছাড়াও, বিমানের কেবিন এবং শৌচাগার জীবাণুর প্রজনন স্থল এবং এ থেকে আপনি অসুস্থ হতে পারেন।