For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

সাবধান: ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি হলেই কিন্তু কমবে স্মৃতিশক্তি!

সম্প্রতি একটি সমীক্ষা রিপোর্টে দেখা গেছে যত দিন যাচ্ছে তত ভারতীয়দের মধ্য়ে স্মৃতিলোপের মতো ঘটনা মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর এর পিছনে সবথেকে বড় কারণ হল ভিটামিন-ডি-এর ঘাটতি।

By Nayan
|

শরীরকে সুস্থ থাকতে যে যে উপাদনগুলির প্রয়োজন রোজ পরে, সেগুলির মধ্যে অন্যতম হল ভিটামিন ডি। মজার বিষয় হল সূর্যালোক যখন আমাদের ত্বকের সংস্পর্শে আসে, তখন আপনা থেকেই শরীরের অন্দরে এই বিশেষ ধরনের ভিটামিনটির ঘাটতি দূর হতে শুরু করে। সেই সঙ্গে বাড়তে থাকে স্মৃতিশক্তিও। কারণ এই ভিটামিন ডি-এর সঙ্গে স্মৃতিশক্তির বাড়া বা কমার সরাসরি যোগ রয়েছে। তাই ভুলেও যাতে এই ভাটিমিনটির ঘাটতি না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

সম্প্রতি একটি সমীক্ষা রিপোর্টে দেখা গেছে যত দিন যাচ্ছে তত ভারতীয়দের মধ্য়ে স্মৃতিলোপের মতো ঘটনা মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর এর পিছনে সবথেকে বড় কারণ হল ভিটামিন-ডি-এর ঘাটতি। মজার বিষয় হল আমাদের দেশে সূর্যের তেজ যেখানে এতটা প্রখর, সেখানে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি হওয়ার মতো ঘটনা ঘটাটা বেজায় আশ্চর্যের। কিন্তু এমনটা ঘটেছে। কারণ সারা বিশ্বের মধ্য়ে আজ আমাদের দেশ ভিটামিন ডি-এর ঘাটতির দিক থেকে অনেককেই পিছনে ফেলে দিয়েছে।

সম্প্রতি হওয়া বেশ কিছু স্টাডি অনুসারে গত কয়েক দশকে আমাদের দেশে যেহারে ভিটামিন ডি-এর ডেফিসিয়েন্সির মাত্রা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে, তাতে এই সমস্যা প্রায় মহামারির আকার নিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রয়োজনীয় সাবধানতা না নিলে কিন্তু বেজায় বিপদ। কারণ এই ভিটামিনটির সঙ্গে হাড়ের স্বাস্থ্যের সরাসরি যোগ রয়েছে। তাই ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি হওয়া মানে ধীরে ধীরে হাড় দুর্বল হয়ে পরা। আর এমনটা হওয়া মানেই আর্থারাইটিসের মতো রোগ মাথা চাড়া দিয়ে ওঠা। প্রসঙ্গত, বার্হিমগাম ইউনিভার্সিটির গবেষকদের করা এক গবেষণায় দেখা গেছে মানব শরীরে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি দেখা দিলে রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও মারাত্মক বেড়ে যায়। তাই জীবনকে যদি কষ্টের জেল খানায় বন্দি করে ফেলতে না চান, তাহলে এই ভিটামিনটির ঘাটতি হতে দেবেন না।

এক্ষেত্রে আরেকটি বিষয়ও মাথায় রাখা জরুরি যে ভিটামিন ডি হাড়কে শক্তোপোক্ত করার পশাপাশি হার্ট এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী করে তুলতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এক কথায় ব্রেন থেকে শুরু করে শরীরের প্রতি অংশকে সচল রাখতে ভিটামিন ডি-এর কোনও বিকল্প নেই বললেই চলে।

এখন প্রশ্ন হল শরীরে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি মেটানোর উপায় কী? এক্ষেত্রে কতগুলি সহজ পদ্ধিতির সাহায্য নিলেই আর কোনও চিন্তা থাকবে না। পদ্ধতিগুলি হল...

১. গায়ে রোগ লাগান:

১. গায়ে রোগ লাগান:

আজকাল আমাদের জীবনযাত্রা এত মাত্রায় এয়ার কন্ডিশান কেন্দ্রিক হয়ে উঠেছে যে শরীরে রোদ লাগে না বললেই চলে, যা ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি হওয়ার পিছনে মূল কারণ। আসলে সূর্যালোক হল এই ভিটামিনটির সবথেকে বড় সোর্স। তাই তো শরীরের অন্দরে ভিটামিন ডি-এর চাহিদা পূরণ করতে সপ্তাহে দুবার, সকাল বেলা কম করে ৩০ মিনিট গায়ে রোদ লাগাতেই হবে।

২. কর্ডলিভার অয়েল:

২. কর্ডলিভার অয়েল:

কর্ড মাছের লিভার থেকে সংগ্রহ করা এই তেল সারা গায়ে লাগিয়ে যদি মাসাজ করতে পারেন, তাহলে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই থাকে না। কারণ এই তেলটির অন্দরে প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন ডি মজুত থাকে, যা হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে এবং জযেন্ট পেন কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৩. মাশরুম:

৩. মাশরুম:

ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি মেটাতে এই প্রকৃতিক উপাদানটির কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। তাই হাড়ের পাশপাশি হার্ট এবং ব্রেনকে যদি চাঙ্গা রাখতে চান, তাহলে সপ্তাহে ২-৩ দিন মাশরুম খেতেই হবে। প্রসঙ্গত, ভিটামিন বি-এর চাহিদা পূরণেও মাশরুমের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে।

৪. সামদ্রিক মাছ:

৪. সামদ্রিক মাছ:

সারা ভারতবর্ষের হাল যেখানে দুর্বিসহ, সেখানে বঙ্গবাসীরা এখনও চাঙ্গা রয়েছেন। আর এমনটা কিভাবে হয়েছে, তা নিশ্চয় আর আলাদা করে বলে দিতে হবে না। কারণ যে জাতীর একদিনও মাছ ছাড়া চলে না, তাদের শরীরে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি হবে কিভাবে বলুন! আসলে মাছের শরীরে, বিশেষত সামদ্রিক মাছে যে পরিমাণে ওমেগা ত্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, সেই পরিমাণে থাকে ভিটামিন ডি-ও। তাই তো প্রতিদিন মাছ খেলে শরীরে এই বিশেষ ধরনের ভিটামনিটির ঘাটতি হওয়ার কোনও আশঙ্কাই থাকে না।

৫. সূর্যমুখী ফুলের বীজ:

৫. সূর্যমুখী ফুলের বীজ:

এই প্রাকৃতিক উপাদানটিতি প্রচুর মাত্রায় মজুত রয়েছে ভিটামিন ডি এবং উপকারি প্রোটিন। তাই তো নিয়মিত যদি সূর্যমুখী ফুলের বীজ একটু ভেজে নিয়ে খেতে পারেন, তাহলে ভিটামিন ডি-এর যোগান নিয়ে আর কোনও চিন্তাই থাকবে না।

৬. দুধ খাওয়া জরুরি:

৬. দুধ খাওয়া জরুরি:

মাশরুমে যে মাত্রায় ভিটামিন ডি রেয়েছে, তার থেকে কিছু কম নেই দুধে। তাই তো শরীরে এই উপকারি ভিটামিনটির যোগান ঠিক রাখতে প্রতিদিন দুধ নয়তো কোনও না কোনও দুগ্ধজাত খাবার খাওয়া জরুরি।

৭. ডিম:

৭. ডিম:

শরীরে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি মেটাতে যদি চান, তাহলে রোজের ডায়েটে একটা করে ডিম থাকা মাস্ট! নিউট্রিশনিস্টদের মতে ডিমের অন্দরে যেমন প্রচুর মাত্রায় প্রোটিন এবং উপকারি কোলেস্টেরল রয়েছে, তেমনি রয়েছে ভিটামিন ডি-ও। তাই তো শরীরকে কর্মক্ষম রাখতে এবং নানাবিধ হাড়ের রোগকে দূরে রাখতে নিয়মিত একটা বা দুটো করে ডিন খাওয়া উচিত।

৮. সোয়া মিল্ক:

৮. সোয়া মিল্ক:

একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে সোয়াবিন থেকে তৈরি হওয়া সোয়া মিল্কে প্রচুর মাত্রায় থাকে ভিটামিন ডি, সেই সঙ্গে থাকে ভিটামিন সি এবং আযরন। তাই তো নিয়মিত এই বিশেষ ধরনের খাবরটি খেলে স্মৃতিশক্তি লোপ পাওয়ার আশঙ্কা তো কমেই। সেই সঙ্গে আরও অনেক উপকার মেলে।

Read more about: রোগ শরীর
English summary

সম্প্রতি একটি সমীক্ষা রিপোর্টে দেখা গেছে যত দিন যাচ্ছে তত ভারতীয়দের মধ্য়ে স্মৃতিলোপের মতো ঘটনা মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর এর পিছনে সবথেকে বড় কারণ হল ভিটামিন-ডি-এর ঘাটতি।

A deficiency of Vitamin D in the body could lead to an increased risk of heart disease, multiple sclerosis, rheumatoid arthritis, depression and even dementia. A lot of scientific studies have found a link between Vitamin D deficiency and higher risk of developing dementia. One particular study by Australian researchers showed that increased exposure to the sun, which is a major source of Vitamin D, can reduce the risk of dementia. Another study from 2014, shows that patients with a deficiency in vitamin D were substantially more at risk of developing the condition. While link with dementia has not be verified yet, more research in this field can definitely help us get some answers about a condition that has no cure. Meanwhile, load up on the following natural sources of Vitamin D to keep all these ailments at bay.
Story first published: Tuesday, November 28, 2017, 15:20 [IST]
X
Desktop Bottom Promotion