Just In
বিরাট কোহলি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এই খাবরগুলি কোনও দিন ছোঁবেন না! আপনিও এমনটা করুন না হলে কিন্তু বিপদ
ক্রিকেটাররা এমনিতেই বেশ স্বাস্থ্যসচেতন হন। আর এদিক থেকে বিরাট কোহলি যে সকলের "বাবা", সে বিষয়ে তার টিমমেটদের কোনও সন্দেহ নেই! শরীরকে ফিট রাখতে ডায়াটের দিকে যেমন সজাগ দৃষ্টি তার, তেমনি সকাল বিকাল ট্রিনিং এবং ওয়ার্কআউট করতেও ভোলেন না কোনওদিন। এমন একজন হেল্থ ফ্রিকের থেকে যদি কিছু টিপস পাওয়া যায়, তাহলে ক্ষতি কী!
গতকালের জয়ের পর হঠাৎই বিরাট কিছু খাবারকে এড়িয়ে চলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তার মনে হয়েছে এই খাবারগুলি যুব সমাজকে ধীরে ধীরে শেষ করে দিচ্ছে। তাই এই সব খাবারের এন্ডোর্সমেন্ট যেমন উনি করবেন না, তেমনি নিজের ডায়েটেও আর কোন দিন রাখবেন না। শুধু সিদ্ধান্ত নিয়েই থেমে থাকেননি বিরাট, এক আন্তার্জাতিক ঠান্ডা পানীয় কোম্পানির কোটি টাকার ডিল ইতিমধ্য়েই নাকচ করে প্রমাণ করে দিয়েছেন এই বিষয়ে কতটা বদ্ধপরিকর তিনি।
একবার ভাবুন, যুবসমাজের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে ভারতের ক্রিকেট অধিনায়ক যদি এতটা স্যাক্রিফাইস করতে পারেন, তাহলে নিজের কথা ভেবে আপনি কি একটু সাবধান হতে পারেন না?
আপনিও যদি বিরাটের মতো সুস্থ-সুন্দর জীবনযাপন করার সিদ্ধান্ত নেয়ে থাকেন, তাহলে কী কী খাবারকে এক্ষুনি কালো তালিকায় ফেলতে হবে, সে সম্পর্কে জেনে নিন।
১. সাদা পাঁউরুটি:
এতে না আছে ফাইবার, না আছে কোনও পুষ্টিকর উপাদান। তাই এমন খাবার খেয়ে লাভ কী! উল্টে বেশি পরিমাণ ময়দা খাওয়ার কারণে হতে পারে নানাবিধ শারীরিক সমস্যা। তাই তো সাদা পাঁভরুটিকে টাটা বলে হয় ব্রাউন ব্রেড, নয়তো হোল হোইট ব্রেড খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন পেটও ভরবে, শরীরও সুস্থ থাকবে।
২. ঠান্ডা পানীয়:
তেষ্টা মেটাতে জেনওয়াই ঠান্ডা পানীয়ই প্রেফার করে থাকেন। কিন্তু আপনাদের কি জানা আছে এই ধরনের ড্রিঙ্কস শরীরের পক্ষে একেবারেই ভাল নয়। বেশি মাত্রায় চিনি এবং ফসফরিক অ্যাসিড থাকার কারণে কোল্ড ড্রিঙ্কস খাওয়া মাত্র শরীরে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে শুরু করে। সেই সঙ্গে দেহে বেশ কিছু নেতিবাচক পরিবর্তনও হয়, যা থেকে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। তাই সাবধান! তেষ্টা মেটাতে গিয়ে হাসপাতালের বিছানা যেন পার্মানেন্ট ঠিকানা না হয়ে যায়।
৩. রেডিমেড সুপ:
চটজলদি বানিয়ে ফেলা যায় ঠিকই। কিন্তু এমন খাবার কি আদৌ স্বাস্থ্যকর? উত্তর হল একেবারেই নয়। সাধারণত এই ধরনের সুপে যে সব উপাদানগুলি ব্যবহার করা হয়, সেগুলি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই স্বাস্থ্যকর হয় না। শুধু তাই নয়, বেশি মাত্রায় প্রিজারভেটিভ থাকার কারণে এমন সুপ খেলে শরীরে অ্যান্ট-অক্সিডেন্টের মাত্রা কমতে শুরু করে। ফলে নানাবিধ জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়।
৪. চিনি:
শরীরের বন্ধু তো নয়ই, বরং প্রতিপক্ষ বললেও কম বলা হবে। কারণ একাধিক গবেষণায় একথা ইতিমধ্যেই প্রমাণিত হয়ে গেছে যে বেশি মাত্রায় রিফাউন্ড চিনি খেলে ডায়াবেটিস, হার্টের রোগ সহ একাধিক মারণ ব্যাধি শরীরে এসে ঘর বাঁধে। ফলে আয়ু তো কমেই, সেই সঙ্গে দৈনন্দিন জীবনযাত্রাও ব্যাহত হয়।
৫. এনার্জি ড্রিঙ্ক:
এতে থাকে ক্যাফেইন এবং চিনি। যেমনটা আপনাদের সকলেরই জানা আছে যে এই দুটি উপাদান বেশি মাত্রায় শরীরে প্রবেশ করা একেবারেই ভাল নয়। তাই তো এমন পানীয়কে এড়িয়ে চলাই উচিত। প্রসঙ্গত, এনার্জি ড্রিঙ্কে প্রচুর মাত্রায় ক্যাফেইন থাকার কারণেই এটি খাওয়া মাত্র ক্লান্তি দূর হয়। মনে হয় যেন শরীরের বল ফিরে এসেছে। কিন্তু এমনটা হওয়ার পাশাপাশি শরীর যে ভেতর থেকে খারাপ হয়ে যায়, সেদিকে কারও খেয়াল থাকে না।
৬. প্রক্রিয়াজত মাংস:
সসেজ, সালামি এবং হট ডগ খেতে যতই ভাল লাগুক না কেন, এমন খাবার যে শরীরের পক্ষে একেবারেই ভাল নয়, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কারণটা খুব সহজ। এমন খাবারে নাইট্রাইটস সহ একাধিক কেমিকেল থাকে, যা শরীরে বেশি মাত্রায় প্রবেশ করলে হার্টের রোগ, ক্যান্সার এবং বন্ধুত্বের মতো সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা চোখে পরার মতো বৃদ্ধি পায়।
৭. চিপস:
মুচমুচে, ট্যারা বাঁকা এই স্ন্যাক্সটি খেতে যতই তোফা লাগুক না কেন, শরীরের পক্ষে কিন্তু এটি বিষের সমান। কারণ এতে থাকে প্রচুর মাত্রায় নুন, ফ্যাট এবং অ্যাক্রাইল অ্যামাইড। এই উপাদানগুলির সঙ্গে হার্টের রোগ, কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপ এবং স্ট্রোকের মত মারণ ব্য়াধির সরাসরি যোগ রয়েছে। তাই যদি তাড়াতাড়ি স্বর্গে যেতে না চান, তাহলে দয়া করে বিরাটের কথাটা মেনে টিপস খাওয়াটা বন্ধ করুন। না হলে কিন্তু...
৮. নানা স্বাদের সোয়া মিল্ক:
এমনতি সোয়া মিল্ক শরীরের বেশ উপকারেই লাগে। কারণ এটি পটাসিয়াম এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ। কিন্তু যখনই স্বাদ পরিবর্তনের জন্য এতে নানাবিধ আপ্রকৃতিক উপাদান মেশান শুরু হয়, তখন আর এর কোনও গুণই অবশিষ্ট থাকে না। পরিবর্তে চিনির মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে শরীরে শুধু ক্যালরির মাত্রা বাড়তে থাকে। ফলে এক সময়ে গিয়ে ওজন বৃদ্ধি, ডায়াবেটিস, কোলেস্টরল এবং হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়।