For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

ডেঙ্গুর আক্রমণে বলি আরও দুই কলকাতাবাসী! এর পরের নাম্বার আপনার না তো?

আক্রমণ যেন থামতেই চাইছে না। সঙ্গে ঘনাচ্ছে মৃত্যু মেঘ সারা রাজ্য জুড়ে। কে যে কখন ডেঙ্গুর আক্রমণে কাহিল হয়, কেউ জানে না।

By Nayan
|

আক্রমণ যেন থামতেই চাইছে না। সঙ্গে ঘনাচ্ছে মৃত্যু মেঘ সারা রাজ্য জুড়ে। কে যে কখন ডেঙ্গুর আক্রমণে কাহিল হয়, কেউ জানে না। এমন পরিস্থিতিতে এমন ভাইরাসের মার থেকে বাঁচতে সাবধান যে হতেই হবে বন্ধুরা। না হলে যে বেজায় বিপদ!

ডেঙ্গুর সাম্প্রতিকতম বলি ক্লাস সিক্স এর এক ছাত্র। গতকাল চিত্তরঞ্জন সেবা সদনে প্রাণ হারিয়েছে সে। একই ঘটনা ঘটেছে দমদমেও। ৭৭ বছরের সেই বৃদ্ধের শরীরে বাসা বেঁধে থাকা ডেঙ্গু ভাইরাসকে মারতে ব্যর্থ হয়েছেন চিকিৎসকেরা। এমন অবস্থায় যে কী করণীয় তা অনেকেই ভেবে পাচ্ছেন না। তাই তো আজ বোল্ডস্কাই বাংলার পাঠকদের জন্য এমন কিছু ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে আলোচনা করা হল, যা মেনে চললে খুব সহজেই ডেঙ্গুর ভাইরাস থেকে দূরে থাকা সম্ভব হবে।

ডেঙ্গু ফিবারে আক্রন্ত হওয়ার পিছনে দায়ি থাকে বিশেষ এক ধরনের ভাইরাস, যা মূলত অ্যাডিস মশাদের শরীর থেকে মানব শরীরে এসে বাসা বাঁধে। প্রসঙ্গত, মূলত চার ধরনের ডেঙ্গু ভাইরাসের খোঁজ পাওয়া গেছে। সেগুল হল- ডেন১, ডেন২, ডেন৩ এবং ডেন ৪। তবে এই বছর নতুন ধরনের এক ডেঙ্গু ভাইরাস আক্রমণ চালাচ্ছে বলে মনে করছেন চিকিৎসকেরা।

ডেঙ্গু ভাইরাস শরীরে বাসা বাঁধলে সাধারণত যে যে লক্ষণগুলি প্রকাশ পায়, সেগুলি হল- হঠাৎ করে শরীরের তাপমাত্র বেড়ে যাওয়া, মাথা যন্ত্রণা, চোখে ব্যথা, জয়েন্টে ব্যথা, ক্লান্তি, বমি এবং রক্তচাপ কমে যাওয়া প্রভৃতি। প্রসঙ্গত, এমন সব লক্ষণ দেখা গেলে সময় নষ্ট না করে যত শীঘ্র সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কারণ ভুলে যাবেন না এক্ষেত্রে প্রতিটি মিনিট খুব গুরুত্বপূর্ণ।

একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে বেশ কিছু প্রকৃতিক উপাদান রয়েছে যা ডেঙ্গু ভাইরাসের আক্রমণ আটকাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই উপাদানগুলি হল...

১. গুলঞ্চ:

১. গুলঞ্চ:

নিয়মিত এই পাতাটি খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা মারাত্মক শক্তিশালী হয়ে ওঠে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ডেঙ্গু ভাইরাস আক্রমণ করার সুযোগই পায় না। সেই সঙ্গে হজম ক্ষমতারও উন্নতি ঘটে। প্রসঙ্গত, কাঁচা অবস্থাতেও যেমন এই পাতাটি খেতে পারেন, তেমনি রস বানিয়ে খেলেও সমান উপকার পাওয়া যায়।

২. পেঁপে পাতা:

২. পেঁপে পাতা:

ডেঙ্গু জ্বরের হাত থেকে বাঁচতে পেঁপে পাতার কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। কারণ একাধিক স্টাডিতে দেখা গেছে নিয়মিত এই প্রকৃতিক উপাদানটি গ্রহণ করলে শরীরে প্লেটলেট কাউন্ট বাড়তে শুরু করে। ফলে ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করে গেলেও পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাওয়ার কোনও আশঙ্কাই থাকে না। কিন্তু প্রশ্নটা হল পেঁপে পাতা খাবেন কিভাবে, তাই তো? পরিমাণ মতো পাতাটি সংগ্রহ করে রস বানিয়ে নিন। তারপর সেটি খেয়ে ফেলুন। প্রতিদিন যদি এমনটা করতে পারেন, তাহলে ডেঙ্গু নিয়ে দেখবেন আর কোনও চিন্তাই থাকবে না।

৩. মেথি পাতা:

৩. মেথি পাতা:

রোগের আক্রমণ থেকে বাঁচার উপায় জানাটা যেমন জরুরি, তেমনি ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ কিভাবে কমানো সম্ভব, সে সম্পর্কে জেনে নেওয়াটাও উচিত, তাই না! তাই তো মেথি পাতার উল্লেখ রইল এই প্রবন্ধে। আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞদের মতে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার পর যদি নিয়মিত মেথি পাতার রস খাওয়া যায়, তাহলে জ্বরে প্রকোপ তো কমেই। সেই সঙ্গে জয়েন্ট পেন এবং অনিদ্রাও দূর হয়। এক কথায় ডেঙ্গু জ্বরের নানা লক্ষণ কমাতে এই প্রকৃতিক উপাদানটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৪. গোল্ডেনসিল:

৪. গোল্ডেনসিল:

উত্তর আমেরিকায় জন্ম হওয়া এই গুল্মটির খোঁজ আমাদের দেশে পাওয়া বেশ কঠিন। তবে আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে হয়তো পেয়েও যেতে পারেন। ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধ এই প্রকৃতিক উপাদানটি দারুন কাজে আসে। কারণ এই মূল দিয়ে বানানো ওষুধ প্রতিদিন খেলে শরীরের অভ্যন্তরীণ ক্ষমতা এতটাই বেড়ে যায় যে শুধু ডেঙ্গু ভাইরাস নয়, যে কোনও ধরনের সংক্রমণই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না।

৫.হলুদ:

৫.হলুদ:

শরীরকে নানা রোগের খপ্পর থেকে বাঁচাতে কয়েক হাজার বছর ধরে নিজের খেল দেখিয়ে চলেছে হলুদ। এখন তো ডেঙ্গুর মার থেকে বাঁচাতেও এই প্রকৃতিক উপাদানটিকে ব্যবহার করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। আসলে হলুদের অন্দরে থাকা একাধিক উপকারি উপাদান শরীরে প্রবেশ করার পর একদিকে যেমন ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ কমায়, তেমনি অন্যদিকে হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটাতেও বিশেষ ভূমিকা নেয়।

৬. তুলসি পাতা:

৬. তুলসি পাতা:

আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞদের মতে নিয়মিত এক গ্লাস তুলসি পাতার রসের সঙ্গে যদি অল্প করে গোলমরিচ মিশিয়ে খাওয়া যায়, তাহলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এতটাই শক্তিশালী হয়ে ওঠে যে ডেঙ্গু ভাইরাস ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না। তাই এমন ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে যদি সুস্থ থাকতে চান, তাহলে এই সব ঘরোয়া টোটকার সাহায্য নিতে ভুলবেন না যেন!

Read more about: রোগ শরীর
English summary

আক্রমণ যেন থামতেই চাইছে না। সঙ্গে ঘনাচ্ছে মৃত্যু মেঘ সারা রাজ্য জুড়ে। কে যে কখন ডেঙ্গুর আক্রমণে কাহিল হয়, কেউ জানে না। এমন পরিস্থিতিতে এমন ভাইরাসের মার থেকে বাঁচতে সাবধান যে হতেই হবে বন্ধুরা। না হলে যে বেজায় বিপদ!

Regular flu may be due to a simple viral or bacterial infection, amongst other possible causes. Dengue is a more dangerous form and needs a hands-on approach. The World Health Organisation says, "Dengue is a viral infection transmitted by the bite of an infected female Aedes mosquito. There are four distinct serotypes of the dengue virus (DEN 1, DEN 2, DEN 3 and DEN 4). The symptoms of the illness only appear 3–14 days after the mosquito bite and not immediately. Dengue fever is a flu-like illness that affects infants, young children and adults alike." A more severe manifestation of this illness, Dengue hemorrhagic fever, tends to affect children under 10 years of age which can cause abdominal pain, bleeding and affect the circulatory system.
Story first published: Thursday, October 26, 2017, 10:45 [IST]
X
Desktop Bottom Promotion