For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

নিয়মিত কারি পাতা খাওয়া কি উচিত?

বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত কারি পাতা খাওয়া শুরু করলে মাথার চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত শরীরের প্রতি অঙ্গের কর্মক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

|

সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের তত্ত্বাবধানে হওয়া বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত কারি পাতা খাওয়া শুরু করলে মাথার চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত শরীরের প্রতি অঙ্গের কর্মক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে একাধিক মারণ রোগকে দূরে রেখে আয়ু বৃদ্ধিতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই যদি সুস্থ-সুন্দর জীবন যদি পেতে চান, তাহলে ভুলেও কারি পাতাকে উপেক্ষা করা চলবে না কিন্তু!

এখন প্রশ্ন হল কারি পাতা শরীরের অন্দরে প্রবেশ করার পর কী কী উপকারে লেগে থাকে?

১. ক্যান্সারের মতো মারণ রোগকে দূরে রাখে:

১. ক্যান্সারের মতো মারণ রোগকে দূরে রাখে:

আমাদের দেশে যেহারে ক্যান্সার রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে তাতে কারি পাতার খাওয়ার প্রয়োজন যে বেড়েছে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। কারণ একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে কারি পাতায় উপস্থিত ফেনলস নামক একটি উপাদান, লিউকোমিয়া এবং প্রস্টেট ক্যান্সারের মতো রোগকে দূরে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রসঙ্গত, একদল জাপানি বিজ্ঞানী সম্প্রতি একটি গবেষণা চালিয়েছিলেন। সেই পরীক্ষায় দেখা গেছে কারি পাতায় উপস্থিত কার্বেজল অ্যালকালোয়েড নামক একটি উপাদানও এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

২. ডায়ারিয়ার প্রকোপ কমে:

২. ডায়ারিয়ার প্রকোপ কমে:

সকাল-বিকাল বাইরে খাওয়ার অভ্যাস আছে নাকি? তাহলে তো বন্ধু পেটকে ঠান্ডা রাখতে নিয়মিত কারি পাতাও থাওয়া উচিত। কেন এমন উপদেশ দেওয়া হচ্ছে, তাই ভাবছেন নিশ্চয়? আসলে নিয়মিত কারি পাতা খাওয়া শুরু করলে পেটের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়। সেই সঙ্গে ডায়ারিয়ার প্রকোপ কমাতেও এই প্রকৃতিক উপাদানটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আসলে কারি পাতার অন্দরে উপস্থিত কার্বেজল অ্যালকালয়েড নামক উপাদান এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৩. হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে:

৩. হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে:

কারি পাতায় এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা রক্তে খারাপ কোলেস্টরলের মাত্রা কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আর একবার খারপ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে চলে এলে হার্টের ক্ষতি হওয়ার কোনও আশঙ্কাই থাকে না। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি জার্নাল অব চাইনিজ মেডিসিনে প্রকাশিত একটি গবেষণা পত্র অনুসারে কারি পাতা শরীরে প্রবেশ করা মাত্র খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা তো কমেই, সেই সঙ্গে ভাল কোলেস্টরলের পরিমাণও বাড়তে শুরু করে। ফলে হার্টের কর্মক্ষমতার উন্নতি ঘটে।

৪. ত্বকের সংক্রমণ কমায়:

৪. ত্বকের সংক্রমণ কমায়:

শুনে অবাক হচ্ছেন? হবেন না! কারণ কারি পাতায় উপস্থিত শক্তাশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল প্রপাটিজ যে কোনও ধরনের স্কিন ইনফেকশন কামতে দারুন কাজে লাগে।

৫. অ্যানিমিয়া রোগকে দূরে রাখে:

৫. অ্যানিমিয়া রোগকে দূরে রাখে:

ফলিক এবং আয়রনে ভরপুর এই প্রকৃতিক উপাদানটি শরীরে প্রবেশ করার পর লহিত রক্ত কনিকার মাত্রা এতটাই বাড়িয়ে দেয় যে অ্যানিমিয়ার মতো রোগ বেশিদিন দাপাদাপি করার সুযোগই পায় না। এক্ষেত্রে প্রতিদিন সকালে একটা খেজুরের সঙ্গে ২ টো কারি পাতা খেলেই উপকার মেলে।

৬. অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ঘাটতি মেটে:

৬. অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ঘাটতি মেটে:

এই উপাদানটির মাত্রা শরীরে যত বাড়তে শুরু করে, তত একাধিক রোগ দূরে থাকতে বাধ্য হয়। তাই সুস্থ শরীরের স্বপ্ন পূরণ করতে নিয়মিত কারি পাতা খাওয়া শুরু করতে হবে। কারণ এই প্রকৃতিক উপাদানটির অন্দরে প্রচুর মাত্রায় মজুত রয়েছে এই উপাদানটি, যা নিমেষে দেহের অন্দরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ঘাটতি দূর করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৭. লিভারের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়:

৭. লিভারের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়:

প্রায় প্রতিদিনই কি অ্যালকোহল সেবন করেন? তাহলে তো নিয়মিত কারি পাতা খাওয়াও মাস্ট! কারণ এই প্রকৃতিক উপাদানটি অক্সিডেটিভ স্ট্রেস এবং ক্ষতিকর টক্সিনের হাত থেকে লিভারকে রক্ষা করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই শরীরের এই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গটির কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে লিভারের উপর অ্যালকোহলের কুপ্রভাবও পরে কম। এখন প্রশ্ন হল, লিভারের উপকারে কিভাবে খেতে হবে কারি পাতা? এক্ষেত্রে এক কাপ কারি পাতার রসে এক চামচ ঘি, অল্প পরিমাণে চিনি এবং গোলমরিচ মিশিয়ে খেলে উপকার পাবেন।

৮. হজম ক্ষমতা ভাল হতে শুরু করে:

৮. হজম ক্ষমতা ভাল হতে শুরু করে:

প্রাচীন আয়ুর্বেদিক পুঁথিতে উল্লেখ পাওয়া যায়, কারি পাতায় উপস্থিত ল্যাক্সেটিভ প্রপাটিজ শুধু যে হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়, তা নয়। সেই সঙ্গে শরীরে উপস্থিত টক্সিক উপাদনদেরও বার করে দেয়। ফলে নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেক কমে। তাই যারা প্রায়শয়ই বদ-হজমের সমস্যায় ভুগে থাকেন, তাদের কারি পাতাকে সঙ্গী বানানো মাস্ট!

৯.ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণে রাখে:

৯.ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণে রাখে:

খাবারে দিয়ে প্রতিদিন কারি পাতা খেলে ইনসুলিনের কর্মক্ষমতা বাড়তে শুরু করে। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক লেভেলের উপরে যাওয়ার সুযোগ পায় না। এখানেই শেষ নয়, কারি পাতায় উপস্থিত ফাইবারও ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

Read more about: শরীর রোগ
English summary

সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের তত্ত্বাবধানে হওয়া বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত কারি পাতা খাওয়া শুরু করলে মাথার চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত শরীরের প্রতি অঙ্গের কর্মক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

Benefits Of Curry LeavesCurry leaves are natural flavoring agents with a number of important health benefits, which make your food both healthy and tasty along with giving it a pleasant aroma. They contain various antioxidant properties and have the ability to control diarrhea, gastrointestinal problems such as indigestion, excessive acid secretion, peptic ulcers, dysentery, diabetes, and an unhealthy cholesterol balance. They are also believed to have cancer-fighting properties and are known to protect the liver.
Story first published: Monday, March 5, 2018, 17:21 [IST]
X
Desktop Bottom Promotion