Just In
- 12 hrs ago ঠাকুরকে নিত্যভোগ দেওয়ার সময় ঘণ্টা বাজে কেন? জানেন কি এর পিছনের রহস্য
- 14 hrs ago প্রখর রোদ থেকে স্বস্তি পেতে বাড়িতেই বানিয়ে নিন এই শরবতগুলি, ঠান্ডা রাখবে শরীরও
- 16 hrs ago গরমে এই পানীয়গুলি খেলে আপনিও থাকবেন হাইড্রেটেড ও সতেজ
- 18 hrs ago কাঠফাটা রোদ থেকে বাঁচতে কী করবেন? এড়িয়ে চলুন চা-কফি
বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস: এই নিয়মগুলি মেনে চললে জীবনে কোনও দিনই বদহজমের সমস্যা হবে না
শরীরে ভাল ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা যত বৃদ্ধি পাবে, তত হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটবে। আর এই কাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারে দই।
বেশিরভাগ বাঙালিই একটা রোগে খুব ভুগে থাকেন। তা হল হজমের সমস্যা। ভুগবেন নাই বা কেন বলুন! এত ঝাল-মশলা খেলে পেটের আর কী দোষ। সে তো এক সময়ে গিয়ে হাত তুলে দেবেই। তাই না! তবে এত চিন্তা করার কোনও কারণ নেই। বাঙালি হয়ে জন্মেছেন যখন তখন কব্জি ছুবিয়ে তো খাবেনই, তাতে কোনও অসুবিধা নেই। কিন্তু সেই সঙ্গে এই প্রবন্ধে যে নিয়মগুলি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে, সেগুলিকে অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলতে হবে। তাহলেই দেখবেন কোনও দিন হজমের গোলযোগ আপনাকে ছুঁতে পারবে না।
প্রসঙ্গত, খাবার হজমের সঙ্গে শরীরের ভাল-মন্দ অনেকাংশেই নির্ভর করে। তাই তো পেটকে ঠান্ডা রাখাটা আমাদের সবারই প্রথম কর্তব্য। আর এই কাজটি করবেন কীভাবে? চলুন আর সময় নষ্ট না করে জেনে নিন সে সম্পর্কে।
টিপ ১:
শরীরে ভাল ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা যত বৃদ্ধি পাবে, তত হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটবে। আর এই কাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারে দই। কারণ এই খাবারে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ভাল ব্যাকটেরিয়া, যা শরীরে এদের ঘাটতি মেটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
টিপ ২:
দই-এর পাশপাশি আরো যেসব প্রোবায়োটিক রয়েছে সেগুলি খেতে হবে। কারণ শরীরে কোনও দিন যাতে ভাল ব্যাকটেরিয়ার ঘাটতি দেখা না যায়, সেদিকে খেয়াল রাখাটা আমাদের একান্ত কর্তব্য।
টিপ ৩:
ফাইবার সমৃদ্ধ সবজি, যেমন- ঢেঁড়শ, গাজর, ব্রকলি প্রভৃতি বেশি করে খেতে হবে। কারণ শরীরে উপস্থিত নানা ক্ষতিকর টক্সিন এবং বর্জ্য বের করে দিতে ফাইবার দারুনভাবে সাহায্য করে। আর শরীরে খারাপ উপাদানের উপস্থিতি যত কমবে, তত হজম ক্ষমতার সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীর ভাল থাকবে।
টিপ ৪:
প্রতিদিন কম করে ২৫০ গ্রাম করে ফল খেতেই হবে। কারণ ফলে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ফাইবার এবং ভিটামিন-সি, যা হজম ক্ষমতার উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
টিপ ৫:
বেশি মাত্রায় রেড মিট খাওয়া একেবারেই চলবে না। কারণ এমন ধরনের খাবারে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ খুব বেশি থাকে, যা হজম ক্ষমতাকে একেবারেই কমিয়ে দেয়।
টিপ ৬:
প্রতিদিন জাঙ্ক ফুড এবং ভাজাভুজি জাতীয় খাবার খাওয়া বন্ধ করুন। কারণ এইসব খাবারে এমন কিছু উপাদান থাকে, যা হজম ক্ষমতাকে একেবারে খারাপ করে দেয়।
টিপ ৭:
অ্যালকোহল, বিশেষত, ভদকা, হুইস্কি এবং রামের মতো হার্ড লিকার খাওয়া একেবারেই চলবে না। কারণ এই ধরনের পানীয় ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রমের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়। সেই সঙ্গে হজম ক্ষমতারও অবনতি ঘটায়।
টিপ ৮:
শরীরে যেন জলের ঘাটতি দেখা না যায়। কারণ দেহে জলের অভাব দেখা দিলে ধীরে ধীরে হজম ক্ষমতা কমে যেতে শুরু করে। তাই তো দৈনিক ৩-৪ লিটার জল খাওয়া জরুরি।
টিপ ৯:
অনেকেরই দুগ্ধজাত খাবার খেলে হজমের সমস্যা হয়। তার তো এই ধরনের খাবার যতটা পারবেন এড়িয়ে চলবেন। ভুলেও দুধ বা ঐ জাতীয় খাবার খাবেন না।
টিপ ১০:
বেশিক্ষণ পেট খালি রাখবেন না। কারণ এমনটা করলে নানাবিধ গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা যেমন বৃদ্ধি পাবে, তেমনি হজম ক্ষমতাও ধীরে ধীরে কমতে শুরু করবে। তাই তো প্রতিটি মিল শেষ করার ৩-৪ ঘন্টা পর পুনরায় কিছু না কিছু খাবার খেতে ভুলবেন না।