Just In
- 3 hrs ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
- 5 hrs ago আপনার কি ক্রমাগত কান চুলকাচ্ছেন? অজান্তেই ডেকে আনচ্ছেন বড় বিপদ
- 8 hrs ago মসুর ডাল খেতে ভালোবাসেন? কিন্তু অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
- 10 hrs ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
উৎসবের মরসুমে শরীরকে চাঙ্গা রাখতে চাইলে খেতেই হবে এই খাবারগুলি!
বাঙালির উৎসবের মরসুম শুরু হয় দুর্গা পুজো দিয়ে। আর শেষ হয় কালি ঠাকুর জলে পরলে। তাই তো এই এক মাস, প্রতিটা মুহূর্তকে বাঙালি চেটেপুটে উপভোগ করতে চায়। আনন্দের ভেলায় ভাসিয়ে দিতে চায় সময়কে। কিন্তু এসব কিছুতে বাঁধ সাধতে পারে জ্বর-সর্দি-কাশি। কারণ ইতিমধ্যেই ওয়েদার চেঞ্জ হতে কিন্তু শুরু করে দিয়েছে। সকালে গরম তো রাতে পাখার গতি কমাতে হচ্ছে, নয়তো চাদর চরাতে হচ্ছে। এমন পরিস্থিতি ভাইরাল ফিবারে আক্রান্ত হওয়াটা খুবই "কমন" ঘটনা। সেই সঙ্গে লেজুড় হতে পারে সর্দি, কাশি। তাই তো বলি বন্ধু, এমন সব রোগের খপ্পরে পরে কালি পুজোটা খারাপ যাক, এমনটা যদি না চান, তাহলে এই প্রবন্ধে একবার চোখ রাখতে ভুলবেন না যেন! কারণ এই লেখায় এমন কিছু খাবার সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে, যা এখন থেকেই যদি খাওয়া শুরু করা যায়, তাহলে জ্বর, সর্দি-কাশি তো ছারুন, কোনও রোগই দেখবেন ধারে কাছে ঘেঁষতে পারবে না।
আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞদের মতে আসলে এই লেখায় আলোচিত প্রতিটি খাবারের মধ্যেই আছে ভিটামিন সি, সেই সঙ্গে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং আরও অনেক উপকারি উপাদান, যা রোগ প্রতিরোধক ব্যবস্থাকে এতটাই শক্তিশালী করে তোলে যে ছোট-বড় কোনও রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে। তাই তো বলি বন্ধু, আর অপেক্ষা নয়, চলুন জেনে ফেলা যাক সেইসব খাবারগুলি সম্পর্কে, যা বাস্তবকিরই শরীর বান্ধব...!
১. মিষ্টি আলু:
না না ভুল শোনেন নি! বাস্তবিকই কিন্তু এই অজনপ্রিয় সবজিটি শরীরকে চাঙ্গা রাখতে নানা ভাবে সাহায্য করে থাকে। আসলে মিষ্টি আলুর অন্দরে মজুত থাকা ভিটামিন এ, একদিকে যেমন নানাবিধ সংক্রামণকে শরীর থেকে দূরে রাখে, তেমনি চটজলদি পেট ভরাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
২. টমাটো:
আগামী কাল থেকে ব্রেকফাস্টে একটা করে কাঁচা টমাটো খাওয়া শুরু করুন। তারপর দেখুন কী হয়! আসলে এমনটা করলে শরীরে নানাবিধ ভিটামিনের পাশাপাশি বেশ কিছু মিনারেলের মাত্রাও বাড়তে শুরু করবে, যে কারণে শরীর ভিতর থেকে এতটাই শক্তিশালী হয়ে উঠবে যে সারা শীতকালে কোনও রোগ দেখবেন ধারে কাছে আসতে পারবে না। তাই তো বলি বন্ধু, যদি চান দুগ্গা পুজোর মতো কালি পুজোটাও আনন্দে কাটুক, তাহলে রোজের ডায়েটে টমাটোকে অন্তর্ভুক্ত করতে ভুলবেন না যেন!
৩. নিয়মিত খেতে হবে হলুদ:
এই মশলাটির অন্দরে উপস্থিত কার্কিউমিন নামক একটি উপাদান একদিকে যেমন শরীরের অন্দরে হতে থাকা প্রদাহ কমায়, তেমনি দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকেও ব্য়াপোক শক্তিশালী করে তোলে। প্রসঙ্গত, হলুদের শরীরে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল প্রপাটিজ এবং নানাবিধ ডিটক্সিফাইং এজেন্টও এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৪. জিঙ্ক এবং সেলেনিয়াম:
শরীর তখনই সফলভাবে সংক্রমণের সঙ্গে লড়াই করতে পারবে, যখন জিঙ্ক এবং সেলেনিয়ামের ঘাটতি দূর হবে। কারণ এই দুটি উপাদান রোগ প্রতিরাধী ব্যবস্থাকে এতটা শক্তিশালী করে তুলতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই তো রোজের ডায়েটে মাশরুম, পালং শাক, মুরগির মাংস এবং বাঁধা কোপি থাকা মাস্ট!
৫. ভিটামিন ডি রয়েছে এমন খাবার :
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে তোলার পাশাপাশি দূষণ এবং নানাবিধ সংক্রমণের হাত বাঁচাতেও এই ভিটামিনটি সাহায্য করে। তাই শীতকালে শরীরে যাতে কোনও ভাবেই এই ভিটামিনটির ঘাটতি না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আর এই কাজটি করবেন কিভাবে? খুব সহজ! প্রতিদিন সকালে কিছুটা সময় গায়ে রোদ লাগান। তাহলেই কেল্লাফতে! কারণ সূর্যালোক যখন আমাদের ত্বকের উপর আছড়ে পরে, তখন বিপুল পরিমাণে ভিটামিন ডি তৈরি হয় দেহের অন্দরে। এছাড়াও মাশরুম, মাছ এবং ডিম খেলেও শরীরে এই ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি দূর হয়।
৬. রসুনের গুণ:
হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটানোর পাশাপাশি রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধী ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে তুলতে রসুনের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। তাই তো এই শীতকালে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক কোয়া করে রসুন খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন উপকার মিলবে।
৭. ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া মাস্ট:
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে তুলতে ভিটামিন সি-এর কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। সেই কারণেই তো সারা বছর ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা। আর শীতকালে যেহেতু এমনিতেই নানাবিধ ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধি পায়, তাই এই সময় তো বেশি করে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার, যেমন- পাতি লেবু, কমলা লেবু, কর্নফ্লাওয়ার, আপেল এবং পেয়ারা খেতে হবে।
৮. ভিটামিন এ:
শরীরের বহিরাংশে যে কোষেরা রয়েছে, তারা হল দেহের প্রথম ডিফেন্স সিস্টেম। তাই তো ছোট-বড় নানা রোগ থেকে দূরে থাকতে হলে এই প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে তুলতে হবে। আর এই কাজটি করা তখনই সম্ভব হবে, যখন দেহে ভিটামিন এ-এর ঘাটতি দূর হবে। আসলে এই বিশেষ ধরনের ভিটামিনটি ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাসদের প্রতিরোধ করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই তো শীতকালে সুস্থ-সবল থাকতে বেশি করে খেতে হবে ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবার, যেমন- রাঙা আলু, ব্রকলি, গাজর, পালং শাক,মাছ, মাংস, ডিম প্রভৃতি।
৯. প্রোটিন থাকা চাইই চাই:
মানব শরীরকে চালাতে জলের পরেই যার নাম আসে সে হল প্রোটিন। এই উপাদানটি ছাড়া শরীরের পক্ষে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। তাই তো প্রোটিনের ঘাটতি যেন কোনও সময় না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে, বিশেষত শীতকালে। কারণ এই সময় এমনিতেই নান কারণে শরীর বেশ দুর্বল হয়ে পরে। তার উপর যদি ঠিক মতো প্রোটিনের যোগান না হয়, তাহলে আরও বিপদ! তাই শীতকালে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার, যেমন-মাছ, মাংস, ডিম, দুধ এবং পনির বেশি করে খেতে ভুলবেন না যেন!