Just In
সাবধান: এদেশে বাড়ছে কিডনি স্টোনে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা!
মায়ো ক্লিনিকের করা এক সমীক্ষা অনুসারে এদেশের কম বয়সি ছেলে-মেয়েদের মধ্যে বাড়ছে কিডনি স্টোনের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার মতো ঘাটনা। তাই সাবধান থাকার সময় মনে হয় এসে গেছে বন্ধুরা!
মায়ো ক্লিনিকের করা এক সমীক্ষা অনুসারে এদেশের কম বয়সি ছেলে-মেয়েদের মধ্যে বাড়ছে কিডনি স্টোনের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার মতো ঘাটনা। তাই সাবধান থাকার সময় মনে হয় এসে গেছে বন্ধুরা!
এমন প্রশ্ন হল, এমন পরিস্থিতিতে কীভাবে সুস্থভাবে বেঁচে থাকা যায়, সে সম্পর্কে কোনও ধরণা আছে কি? উত্তর যদি না হয়, তাহলে এই প্রবন্ধে চোখ রাখা মাস্ট! কারণ এই লেখায় এমন কিছু খাবারের প্রসঙ্গে আলোচনা করা হল, যা নিয়মিত খেলে কিডনিতে স্টোন হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়, সেই সঙ্গে কিডনির কর্মক্ষমতা এতটা বৃদ্ধি পায় যে সার্বিকভাবে শরীরের সচলতাও বাড়তে শুরু করে।
কী কী খাবার এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে, সে বিষয়ে আলোচনা করা হবে ঠিকই, তবে তার আগে এই রোগ কতটা বিষ ছড়িয়েছে ভারতীয় জনগণের অন্দরে, সে সম্পর্কে একটু জেনে নেওয়াটা জরুরি। ১৯৮৪ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ডেটা বিশ্লেষণ করে গবেষকরা জানতে পরেছেন প্রতি বছর এই রোগের প্রকোপ বাড়ছে এবং সেই অগ্রগতি এখনও থেকে যায়নি। শুধু তাই নয়, ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের মধ্যে এই রোগের প্রসার সবথেকে বেশি। বিশেষত ১৮-৩৯ বছর বয়সিদের মধ্যে। কেন এমনটা হয়েছে? কারণ অনেক, সে সম্পর্কে না হয় পরে কোনও দিন আলোচনা করা যাবে। কিন্তু এখন প্রথম কাজ হল সেই সব খাবারের সম্পর্কে জেনে নেওয়া যা সুস্থ থাকার পথ দেখাবে। সেই সঙ্গে কিডনি স্টোন কেন হয় সে সম্পর্কেও জানতে হবে।
কেন
হয়
কিডনি
স্টোন?
নানা
কারণে
কিডনির
অন্দরে
যখন
ক্যালসিয়াম
এবং
নুনের
মাত্রা
বাড়তে
শুরু
করে,
তখন
এই
দুই
উপাদান
একসঙ্গে
মিশে
গিয়ে
ধীরে
ধীরে
পাথরে
পরিণত
হয়।
আর
এই
পাথরকেই
কিডনি
স্টোন
বলা
হয়ে
থাকে।
তবে
অনেক
চিকিৎসক
এই
ধরনের
স্টোনকে
"ক্যালকিউলি"
নামেও
ডেকে
থাকেন।
প্রসঙ্গত,
কিডনি
স্টোন
হওয়ার
পিছনে
অনেক
কারণ
দায়ি
থাকে,
কিন্তু
মূল
কারণ
হিসেবে
জল
কম
খাওয়ার
অভ্যাসকেই
দায়ি
করে
থাকেন
চিকিৎসকেরা।
তাই
প্রতিদিন
৩-৪
লিটার
জল
খাওয়ার
পাশাপাশি
এই
প্রবন্ধে
আলোচিত
খাবারগুলি
যদি
খেতে
পারেন,
তাহলে
দেখবেন
এই
রোগ
আপনার
ধারে
কাছেও
ঘেঁষতে
পারবে
না।
প্রসঙ্গত, যে যে খাবরগুলি এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন থাকে, সেগুলি হল...
১. অ্যাপেল সিডার ভিনিগার:
এতে উপস্থিত সাইট্রিক অ্যাসিড কিডনির অন্দরে প্রবেশ করে ধীরে ধীরে স্টোনকে গলাতে শুরু করে। ফলে খুব কম সময়ই এই ধরনের সমস্যা একেবারে কমে যায়। তবে সরাসরি অ্যাপেল সিডার ভিনিঘার খাওয়া চলবে না। খেতে হবে জলে মিশিয়ে। প্রসঙ্গত, কিডনি স্টোনকে গলিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানদের বের করে দিয়ে সার্বিকভাবে দেহকে বিষমুক্ত করতেও এই উপাদানটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
২. বেদানার রস:
এই ফলটির অন্দরে মজুত রয়েছে প্রচুর মাত্রায় পটাশিয়াম, যা কিডনি স্টোনের প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে কিডনি স্টোনকে গলিয়ে ফেলতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই এই রোগের খপ্পর থেকে যদি নিজেকে দূরে রাখতে চান, তাহলে নিয়মিত এক গ্লাস করে বেদানার রস খেতে ভুলবেন না যেন! প্রসঙ্গত, এই ফলটির অন্দরে আরও অনেক উপকারি উপাদান রয়েছে, যা নানাভাবে শরীরের উপকারে লেগে থাকে। তাই দীর্ঘদিন যদি সুস্থভাবে বাঁচতে চান তাহলে রোজের ডায়েট থেকে এই ফলটিকে কোনও সময় বাদ দেবেন না যেন!
৩. তুলসি পাতা:
এই প্রকৃতিক উপাদানটিকে সর্ব গুণসম্পন্ন বলা যেতে পারে। কেন এমন কথা বলছি,তাই ভাবছেন তো? আসলে তুলসি পাতার অন্দরে থাকা নানাবিধ উপকারি উপাদান একদিকে যেমন কিডনি স্টোনের আশঙ্কা কমায়, তেমনি শরীরের এই ভাইটাল অঙ্গটির কর্মক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি শরীরকে বিষমুক্ত করতে এবং ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই নিয়মিত ৩-৪ টে করে তুলসি পাতা খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন দারুন উপকার পাবেন।
৪. খেজুর:
রাত্রে শুতে যাওয়ার আগে এক গ্লাসে জলে কয়েকটি খেজুর ফেলে দিন। পর দিন সকালে উঠে সেই খেজুরগুলি খেয়ে ফেলুন। এমনটা যদি নিয়মিত করতে পারেন, তাহলে শরীরে ফাইবারের মাত্রা বৃদ্ধি পাবে। ফলে কিডনিতে স্টোন হওয়ার আশঙ্কা যাবে কমে। আর যদি ইতিমধ্যেই স্টোন তৈরি হয়ে গিয়ে থাকে, তাহলে কোনও চিন্তা নেই। কারণ কিডনি স্টোনকে গলিয়ে ফলতেও এই প্রকৃতিক উপাদনটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে শরীরকে ভিতর থেকে এতটাই শক্তিশালী করে তোলে যে ছোট-বড় কোনও রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না।