For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

(ছবি) জেনে নিন কোন অভ্যাস আপনার হার্টকে অসুখের দিকে ঠেলে দিচ্ছে

|

শরীরের সবচেয়ে কর্মব্যস্ত অঙ্গের মধ্যে একটি হল হার্ট বা হৃদপিণ্ড। এটি দেহের প্রত্য়েকটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে অক্সিজেন পৌঁছে দেয় রক্তের মাধ্যমে। ফলে হৃদপিণ্ড কোনওভাবে বিগড়ে গেলে সুস্থ থাকা কোনওভাবেই সম্ভব হয়ে ওঠে না।

এখনকার দিনে দূষিত পরিবেশে শুধু বয়স্করাই নন, কমবয়সীদের মধ্যেও হার্টের সমস্যা দেখা দিচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে গেলে আর কিছু না হোক, হৃদয়কে সুস্থ রাখতে হবে। আর একইসঙ্গে জানতে হবে, কি কি অভ্যাস আপনার হৃদপিণ্ডের ক্ষতি করছে। সেগুলি জানতে পারলে তবেই একমাত্র আপনি সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে পারবেন। উপভোগ করতে পারবেন জীবনের নানা ছোট-বড় মুহূর্ত। নিচের স্লাইডে দেখে নিন কী কী অভ্যাস আপনার হৃদপিণ্ডের ক্ষতি করছে।

নেতিবাচক ভাবনা

নেতিবাচক ভাবনা

সবসময়ে ইতিবাচক থাকা শুধু মনের জন্য নয়, শরীরের জন্যও অত্যন্ত উপকারী। সাম্প্রতিক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, মানসিকভাবে ইতিবাচক থাকলে শরীর সুস্থ থাকে, বজায় থাকে হৃদয়ের স্বাস্থ্যও।

স্ট্রেরয়েড দেওয়া ওষুধ

স্ট্রেরয়েড দেওয়া ওষুধ

শরীরের নানা জ্বালা-যন্ত্রণা কমানোর জন্য স্ট্রেরয়েডের ব্যবহার করা হয়। কেউ কেউ আবার শরীরের মাংসপেশি বৃদ্ধির জন্য এটির ব্যবহার করে থাকেন। মনে রাখা দরকার স্ট্রেরয়েড নেওয়া হার্টের পক্ষে একেবারেই ভালো নয়। একইসঙ্গে তা হাড় ও কিডনিকেও ক্ষতিগ্রস্ত করে।

পরোক্ষ ধূমপান

পরোক্ষ ধূমপান

অনেকেই ধূমপান না করলেও ধূমপায়ীদের সঙ্গে ওঠাবসা করেন। জেনে রাখা দরকার, প্রত্যক্ষভাবে ধূমপানের চেয়ে পরোক্ষে ধূমপান হার্টের জন্য আরও বেশি ক্ষতিকর।

দাঁত মাজায় অবহেলা

দাঁত মাজায় অবহেলা

অনেকেই এটি শুনে বিস্মিত হবেন তবে ঘটনাটি সত্যি। ভালোভাবে দাঁত মাজার সঙ্গে সুস্থ হদয়ের সম্পর্ক রয়েছে। প্রতিদিন নিয়মিত দাঁত মাজা ও জিহ্বা পরিষ্কার না করলে মুখের স্বাস্থ্যও ভালো থাকে না আর একইসঙ্গে হার্টেরও।

অনিয়মিত সময়ে ঘুমের অভ্যাস

অনিয়মিত সময়ে ঘুমের অভ্যাস

হার্টের সমস্যায় অনুঘটক হিসাবে কাজ করে অনিয়মিত সময়ে ঘুমের অভ্যাস। পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, অতিরিক্ত বা স্বল্প ঘুম আমাদের শরীরে হরমোনের স্বাভাবিক ক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটায়। আর শরীরে হরমোনের সমতা নষ্ট হলে তা হৃদপিণ্ডে প্রভাব ফেলে।

চিকিৎসককে এড়িয়ে যাওয়া

চিকিৎসককে এড়িয়ে যাওয়া

অনেক সময়েই দেখা যায়, শরীর খারাপ হলেও বহু মানুষ চিকিৎসকের কাছে যেতে চান না। বন্ধু-বান্ধব বা আত্মীয়দের কাছে থেকে শুনে নিয়ে নিজে নিজেই চিকিৎসা করেন। এটা একেবারেই উচিত নয়। অনেকক্ষেত্রে হার্টের সমস্যা খুব সুক্ষ্মভাবে দেখা যায় যা নিজে থেকে বোঝা সম্ভব নয়। চিকিৎসকেরাই একমাত্র তা বুঝতে পারেন।

ক্লান্তি ও রাগ

ক্লান্তি ও রাগ

অসুস্থ হদয়ের জন্য সবসময় আমাদের শরীরই দায়ী নয়। মানসিকভাবে সুস্থ থাকলে তবেই হৃদয়ও সুস্থ থাকবে। তাই ক্লান্তি, অবসাদ ও রাগকে যতটা পারা যায় নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। সমীক্ষা বলছে, হঠাৎ করে রেগে যাওয়া ব্যক্তিরা বেশি করে হার্টের সমস্য়ায় ভোগেন, স্ট্রোক হওয়ার প্রবণতাও এঁদের বেশি থাকে।

দূষণ

দূষণ

যত দিন যাচ্ছে প্রতিনিয়ত আরও বেশি করে দূষিত হচ্ছে প্রকৃতি। প্রতিদিনই আমাদের কাজের সূত্রে বাইরে বেরতে হয়। আর এই দূষণ প্রবলভাবে ক্ষতি করছে আমাদের হৃদয়কে। দূষণ থেকে বেঁচে নিজের হৃদয়কে সুস্থ রাখা তাই সবার আশু কর্তব্য।

মাতৃত্ব

মাতৃত্ব

মাতৃত্বকালীন অবস্থা মায়েদের শরীরকে অত্যন্ত দুর্বল করে দেয়। এই সময়ে হার্টের উপরে অত্যন্ত চাপ পড়ে। অনেকের হার্টের অসুখের প্রবণতা দেখা দেয়।

English summary

These Habits Can Damage Your Heart

These Habits Can Damage Your Heart
Story first published: Monday, July 6, 2015, 14:15 [IST]
X
Desktop Bottom Promotion