Just In
- 6 min ago রুক্ষ-শুষ্ক চুল নিয়ে চিন্তা? জেনে নিন চুলের যত্নে গ্লিসারিনের অবিশ্বাস্য় ভূমিকা
- 1 hr ago মেষ রাশিতে অস্ত যাবে বুধ, কাজে বাধা-অসাফল্য়, কোন কোন রাশির জন্য বিপদ?
- 17 hrs ago আপনার সুন্দর নখ ভেঙে গিয়েছে? ভাঙা নখ ঠিক করার কিছু ঘরোয়া টোটকা
- 19 hrs ago ধূমপান ছাড়তে চান, কিন্তু পারছেন না! মৃত্য়ুর হাত থেকে বাঁচতে মেনে চলুন এই উপায়গুলি
কন্ডোমের লজ্জা!
চাঁদের পর মঙ্গল। এরপর লাইনে যে কোন গ্রহ দাড়িয়ে জানা নেই! তবু আজও মেডিকেল শপে গিয়ে লাজুক লাজুক ভঙ্গিতে অনেকটা চোরের মতো কন্ডোম কিনতে দেখা যায় যুবসমাজের অনেক প্রতিনিধিকে।
চাঁদের পর মঙ্গল। এরপর লাইনে যে কোন গ্রহ দাড়িয়ে জানা নেই! তবু আজও মেডিকেল শপে গিয়ে লাজুক লাজুক ভঙ্গিতে অনেকটা চোরের মতো কন্ডোম কিনতে দেখা যায় যুবসমাজের অনেক প্রতিনিধিকে। এমনটা হওয়া কি সমাজের জন্য়, আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য় আদৌ শুভ সংকেত কি? মনে তো হয় না।
আমাদের দেশে যেখানে সারা বিশ্বের মধ্যে এইচ আই ভি আক্রান্তের বিচারে তিন নম্বরে রয়েছে, সেখানে এমন সোসাল ট্যাবু যে বেজায় ভয়ঙ্কর, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। প্রসঙ্গত, সেকসুয়াল ট্রান্সমিটেড জিজিজের প্রকোপও যেখানে এদেশে লাফিয়ে লাফিয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে সেখানে কন্ডোমের ব্যবহার যে অনেকটাই এই ভয়ের মেঘকে কাটাতে পারে, তা বলার অপেক্ষা রাখে ন। তাই তো যুবসমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। লজ্জা ঝেড়ে ফেলে বাকি মেডিসিনের মতেই কন্ডোম কিনতে হবে নিজেকে সুস্থ রাখার তাগিদে।
এত কিছুর মাঝে একটা বেশ ভাল খবর আছে। গত কয়েক দিন আগে এইডস হেল্থ কেয়ার ফায়ুন্ডেশনের সদস্যরা একটা উদ্যোগ শুরু করেছিলেন। কী ছিল সেই উদ্যোগ? "দা লাভ কন্ডোম" নামক এই ইনিশিয়েটিভের মূল লক্ষ ছিল ফ্রিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কন্ডোম বিতরণ করা। আর এই প্রয়াসের ব্যাপারে অনলাইনের প্রচারও শুরু হয়। আর তার পর পরই মাত্র ৭০ দিনের মধ্যে সারা দেশ থেকে প্রায় ১০ লাখ কন্ডোমের অর্ডার পান তারা। এর থেকেই বোঝা যায় যে ধীরে হলেও চাকা ঘুরছে। একটু হলেও কমছে লজ্জা, বাড়ছে সচেতনতা।
প্রসঙ্গত, শরীরকে সুস্থ রাখতে এবং মৃত্যুর ছোবল থেকে বাঁচাতে বাস্তবিকই কন্ডোমের ব্যবহারের অনেক উপকারিতা আছে। যেমন ধরুন...
১. এস টি ডি এর আশঙ্কা কমে:
গত কয়েক বছর ধরে হওয়া একাধিক কেস স্টাডিতে দেখা গেছে শারীরিক মিলনের সময় কন্ডোম ব্যবহার না করলে সেকসুয়াল ট্রান্সমিটেড ডিজিজ, যেমন-জেনিটাস হার্পিস, গনোরিয়াস, এইচ আই ভি প্রভৃতিতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। আর এমন কোনও রোগ শরীরে বাসা বেঁধে বসলে যে কী হতে পারে, তা নিশ্চয় আর বলে দিতে হবে না। তাই সুস্থভাবে জীবনযাপন করতে এবং বৈবাহিক জীবনকে সুন্দর করে তুলতে কন্ডোমের ব্যবহার ভুলেও বন্ধ করবেন না যেন!
২. গর্ভবতী হওয়ার আশঙ্কা কমে:
গত কয়েক দশক ধরে এই নিয়ে অনেক আলোচনা এবং সেমিনার হয়েছে। বানানো হয়েছে অনেক বিজ্ঞাপনও। তবু আমারা রয়েছি সেই তিমিরেই। যদি পরিসংখ্যানের দিকে নজর ফেরান, তাহলে দেখতে পাবেন কীভাবে আমাদের দেশে অপরিকল্পিত প্রেগন্যান্সির হার বাড়ছে। আর এটা যে কেবল গ্রামাঞ্চলের ছবি, এমন নয় কিন্তু! শহুরে মানুষরাও এই দলে রয়েছে বৈকি। তাই আপনিও যদি অসময়ে বাচ্চা নিতে না চান তাহলে কন্ডামের ব্যবহার থেকে নিজেকে বিরত রাখবেন না যেন!
৩. সংক্রমণের আশঙ্কা কমে:
শারীরিক মিলনের সময প্রয়োজনীয় সাবধনতা না নিলে যে কেবল এস টি ডি-এর মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়, তা নয় কিন্তু! সেই সঙ্গে নানাবিধ সংক্রমণের কবলে পরার সম্ভাবনাও বৃদ্ধি পায়, বিশেষত ইউরিনারি ট্রাক্ট ইনফেকশন হওয়ার আশঙ্কা থাকে সবথেকে বেশি। তাই মহিলাদের এই বিষয়ে সাবধান হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে ।
৪. কন্ট্রাসেপটিভ পিল খাওয়ার মাত্রা কমায়:
কন্ডোম ছাড়া শারীরিক মিলন করলে গর্ভবতী হয়ে যাওয়ার ভয় থাকেই। আর সেই থেকেই কন্ট্রাসেপটিভ পিল খাওয়ার প্রবণতা বাড়তে থাকে। প্রসঙ্গত, এই ধরনের বার্থ কন্ট্রোল পিল খাওয়া একেবারেই শারীরের জন্য ভাল নয়। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে বেশি মাত্রায় এমন ওষুধ খেলে একাধিক শারীরিক সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। যেমন- মাথা যন্ত্রণা, হরমোনাল ইমব্যালেন্স, মুড সুইং, পিরিয়োড পিছিয়ে যাওয়া, ভেজাইনাল ডিসচার্জ প্রভৃতি। তাই তো বার্থ কন্ট্রোল পিল না খেয়ে পরিবর্তে কন্ডোম ব্যবহার করাটা অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর।
৫. সার্ভিকাল ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কম থাকে:
বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে শারীরিক মিলনের সময় কন্ডোম ব্যবহারের অভ্যাস থাকলে মহিলাদের সার্ভিকাল ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। আসলে শরীরিক মিলনের সময় অনেক ক্ষেত্রেই হিউমেন প্যাপিলোমা ভাইরাস নামক এক ধরনের জীবাণু পুরুষ সঙ্গীর শরীর থেকে মেয়েদের শরীরে চলে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে, আর এই ভাইরাসটি যদি একবার শরীরে প্রবেশ করে যায়, তাহলে সার্ভাকাল ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়।
৬. পিরিয়োডের সমস্যা দেখা দেয় না:
বেশ কয়েকটা স্টাডিতে দেখা গেছে কন্ডোম ব্যবহার করলে পিরিয়োডের সমস্য়া কম হয়, সেই সঙ্গে অনিয়মিত পিরিয়োড হওয়ার মতো কোনও প্রবলেম হওয়ার আশঙ্কাও কমে।
এবার বুঝছেন তো বন্ধু, একটা ছোট্ট সিদ্ধান্ত কত কিছু বদলে দিতে পারে!