Just In
- 11 hrs ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
- 12 hrs ago আপনার কি ক্রমাগত কান চুলকাচ্ছেন? অজান্তেই ডেকে আনচ্ছেন বড় বিপদ
- 16 hrs ago মসুর ডাল খেতে ভালোবাসেন? কিন্তু অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
- 17 hrs ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
Don't Miss
ব্যায়াম করে এগুলো খান নাকি?
শরীর ভালো রাখতে ব্যায়াম অথবা জিম তো অনেকেই করেন। কিন্তু সুফল মেলে কজনের? এর মূল কারণ হল, জিম বা ব্যায়াম করলেও আমরা সঠিক খাবার খাই না। আর তার ফলএ ঘণ্টার পর ঘণ্টা শারীরিক কসরত করেও কোনও সুফল পাইনা আমরা।
অন্যদিকে, বাজার ছেয়ে গেছে বোতলবন্দী ফলের রস আর প্যাকেটবন্দী খাবারে। যারা দাবি করে, তাদের এই খাদ্যবস্তুগুলি একেবারেই নিরাপদ। আদতে তা কিন্তু একেবারেই নয়। কেমিক্যালে ঠাঁসা এই সব খাবার বরং আমাদের শরীরের আরও ক্ষতিই করে। আবার অনেক সময় ব্যায়াম করার পর আমরা বাড়িতে তৈরি করা খাবার এমিন পদ্ধতিতে খাই, যে সেটিও নানাভাবে শরীরের ক্ষতি করে। তাই বোল্ডস্কাই আজ জানাবে, ব্যায়াম করার পর কোন কোন খাবার একদমই খাওয়া উচিৎ নয়।
মশলাদার খাবার
অতিরিক্ত মশলা দার খাবার আমাদের শরীরের জন্য সব সময়ই ক্ষতিকারক। আর যদি ব্যায়াম বা জিম করে এই ধরণের খাবার খান, তাহলে সর্বনাশ অনিবার্য। এর কারণ, মশলাদার খাবার হজম করতে খুবই অসুবিধা হয়। যার ফলে নানা রকম পেটের সমস্যা, গ্যাস, অম্বল ইত্যাদি হয়ে থাকে। এই কারণে, জিম বা ব্যায়াম করার পর হালকা খাবার খাওয়া উচিৎ।
হাই প্রোটিন খাবার
ব্যায়াম করার পর বা জিম করার পর কোনও হাই প্রোটিন খাবারও খাওয়া উচিৎ নয়। এর কারণও অনেকটাই মশলা দার খাবারের মতো। কারণ, হাই প্রোটিন খাবারও হজম হতে অনেক সময় লাগে এবং নানা সমস্যার সৃষ্টি করে। তবে, একটি কথা অবশ্যভাবে বলতেই হবে যে, যদি আপনি ওজন বৃদ্ধির জন্য ব্যায়াম করে থাকেন তাহলে আপনার ডায়েটে বেশী করে কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার থাকা প্রয়োজন। আর যদি আপনি ওজন কমাতে চান, তাহলে পরিমাণ মতো হালকা ধরণের প্রোটিনযুক্ত খাবার খান।
চকোলেট
শরীরের যত্নে জিম বা ব্যায়াম করছেন অথবা দৌড়চ্ছেন। এদিকে এরপরেই হাতে তুলে নিচ্ছেন যে কোনও চকোলেট। এতে কিন্তু দারুণভাবে ক্ষতি হয়। কারণ, এর ফলে ওজন যেমন খুব বেশী হারে বৃদ্ধি পাবে, তেমনই চকোলেটের মধ্যে এমন উপাদান থাকে যে, এটি প্রোটিন জারণে অনেকটা সময় নিয়ে নেয়।
নোনতা খাবার
ব্যায়াম বা যে কোনও শারীরিক কসরত করার পর কোনও নোনতা খাবার খেতে নেই। এতে শরীরের আরও ক্ষতি হয়। কারণ, নোনতা জাতীয় খাবারেও বেশ কিছু পরিমাণে ফ্যাট থাকতে পারে, যা শরীরের জন্য একদমই উপকারী নয়।
মিষ্টি জাতীয় স্ন্যাক্স
শারীরিক কসরত করার পর কার্বোহাইড্রেট এবং ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিৎ। এর ফলে শরীরে গ্লাইকোজেনের মাত্রা সঠিকভাবে বজায় থাকবে। কিন্তু, ব্যায়াম করার পরেই যদি, পেস্ট্রি বা মিষ্টি জাতীয় কোনও খাদ্য খাওয়া হয়, তাহলে শরীরের যাবতীয় ক্ষতি হয়। এর কারণ, এই ধরণের মিষ্টি খাবারগুলিতে অস্বাস্থ্যকর কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট এবং শর্করা থাকে।
ডিম ভাজা
অনেকেই সকালে উঠে ডিম ভেজে খায়। যদিও তা শরীরের জন্য মোটেও ভালো নয়। কারণ, ডিম ভাজতে গেলে হয় তেল আর নয়তো মাখন ব্যবহার করতে হয়। এই কারণে, ডিম সেদ্ধ করে বা প্রোটিন শেক বানিয়ে তার মধ্যে মিশিয়ে খাওয়া উচিৎ।
অ্যালকোহল
ব্যায়াম করার পর কখনই অ্যালকোহল খাওয়া উচিৎ নয়। এতে মাংসপেশির ক্ষতি হয় এবং অসুস্থ হয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়ে যায়।
কাঁচা সবজি
কাঁচা সবজি বা স্যালাড শরীরের জন্য খুবই উপকারী। কিন্তু ব্যায়াম করার পরেই কাঁচা সবজি খাওয়া উচিৎ নয়। কারণ, ব্যায়াম করার পর শরীর নিজের থেকেই পৌষ্টিক উপাদান, খনিজ পদার্থ এবং ভিটামিন একত্রিত করতে শুরু করে, তখন বাইরে থেকে এগুলি শরীরের ভিতরে গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
ফ্যাটজাতীয় খাবার
শারীরিক কসরত করার পর কখনোই ফ্যাট জাতীয় খাবার খাওয়া উচিৎ নয়। কারণ, এতে হজম হতে খুব দেরি হয় এবং শারীরিক নানা সমস্যার সৃষ্টি হয়।
তাই ব্যায়াম করে শরীরের জন্য উপকারী খাবার খাওয়া উচিৎ। একইসঙ্গে ব্যায়াম করার পর দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকাও ভালো নয়। তাই সঠিক সময়ে, সঠিক পরিমাণে। সঠিক খাবার খাওয়াই সুস্থ শরীরের চাবিকাঠি।