For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

সুস্থ থাকতে প্রতিদিন কুমড়ো খাওয়া জরুরি কেন জানেন?

কুমড়োর অন্দরে উপস্থিত রয়েছে নানাবিধ উপকারি উপাদান, যেমন-ভিটামিন ই, থিয়ামিন, নিয়ালিন, ভিটামিন বি৬, ফলেট, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফসফরাস। সেই সঙ্গে রয়েছে ডায়াটারি ফাইবার, ভিটামিন এ, সি,রাইবোফ্লবিন

By Nayan
|

গরম গরম ভাত, সঙ্গে ঘি আর দু টুকরো কুমড়ো ভাজা থাকলে খাওয়াটা কেমন হবে বলুন! লাঞ্চ হোক কি ডিনার, গরম ভাতের সঙ্গে কুমড়ো ভাজার এই জোড়ি যে "এনি টাইম হিট", তা বলার অপেক্ষা রাখে না, কি তাই তো! কিন্তু একথা জানা আছে কি নানা পদের স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি শরীরকে চাঙ্গা রাখতেও এই সবজিটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। কিভাবে?

কুমড়োর অন্দরে উপস্থিত রয়েছে নানাবিধ উপকারি উপাদান, যেমন-ভিটামিন ই, থিয়ামিন, নিয়ালিন, ভিটামিন বি৬, ফলেট, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফসফরাস। সেই সঙ্গে রয়েছে ডায়াটারি ফাইবার, ভিটামিন এ, সি,রাইবোফ্লবিন, পটাশিয়াম, কপার এবং মেঙ্গানিজ। এই উপাদানগুলি শরীরের গঠনে তো কাজে আসেই। সেই সঙ্গে নানাবিধ রোগকে দূরে রাখার পাশপাশি আরও নানা উপকারে লাগে। যেমন...

১. ওজন কমাতে সাহায্য করে:

১. ওজন কমাতে সাহায্য করে:

কুমড়োর অন্দরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ডায়াটারি ফাইবার, যা শরীরে প্রবেশ করার পর একদিকে যেমন নানাবিধ পেটের রোগের প্রকোপ কমায়, তেমনি অনেকক্ষণ পর্যন্ত পেট ভরিয়ে রাখে, ফলে ক্ষিদে কমে যাওয়ার কারণে শরীরে ক্যালরির প্রবেশ কমে আসে। আর যেমনটা সবারই জানা আছে যে ক্যালরির প্রবেশ কমতে থাকলে স্বাভাবিকভাবেই ওজন বৃদ্ধির আশঙ্কাও কমে যায়। প্রসঙ্গত, ডায়াটারি ফাইবার মেটাবলিজম রেট বাড়ানোর মধ্যে দিয়েও ওজন হ্রাসে সাহায্য করে থাকে।

২. দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটায়:

২. দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটায়:

বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে শরীরে যত ভিটামিন এ-এর মাত্রা বাড়তে থাকে, তত দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটতে থাকে। বিশেষত ছানি এবং গ্লকোমার মতো চোখের রোগকে দূরে রাখতে এই ভিটামিনটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আর যেমনটা আগেই আলোচনা করা হয়েছে যে কুমড়োয় প্রচুর পরিমাণে রয়েছে ভিটামিন এ, তাই তো রোজের ডায়েটে এই সবজিটিকে রাখা শুরু করলে বয়সের সঙ্গে সঙ্গে দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। প্রসঙ্গত, যারা সারাক্ষণ কম্পিউটার বা টিভির সামনে বসে থাকেন, তাদের তো এই কারণেই বেশি করে কুমড়ো খাওয়া শুরু করা উচিত। কারণ এমনটা করলে ডিজিটাল স্ক্রিনের খারাপ প্রভাব চোখের উপর পরলেও দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটে না।

৩. রক্তচাপ কমায়:

৩. রক্তচাপ কমায়:

পরিবারে ব্লাড প্রেসারের মতো রোগের ইতিহাস আছে নাকি? যদি উত্তর হ্যাঁ হয়, তাহলে বন্ধু, কুমড়ো বীজের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতাতে ভুলবেন না যেন! কারণ এই প্রকৃতিক উপাদানটি নিয়মিত খাওয়া শুরু করলে দেহের অন্দরে ফাইটোইস্ট্রোজেনের মাত্রা বাড়তে শুরু করে, যা রক্তচাপকে স্বাভাবিক রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৪. অনিদ্রার সমস্যা দূর করে:

৪. অনিদ্রার সমস্যা দূর করে:

শরীর এবং মস্তিষ্ককে চাঙ্গা রাখতে ঘুমের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। তাই তো দিনের পর দিন ঠিক মতো ঘুম না হলে শরীর তো ভাঙতে শুরু করেই, সেই সঙ্গে নানাবিধ জটিল রোগও এসে বাসা বাঁধে শরীরে। তাই আপনিও যদি ইনসমনিয়াক হয়ে থাকে, তাহলে পেঁপে বীজ খাওয়া শুরু করতে একেবারে দেরি করবেন না। কারণ এর মধ্যে রয়েছে ট্রাইপটোফেন নামক একটি অ্যামাইনো অ্যাসিড, যা শরীরে প্রবেশ করার পর সেরাটোনিন হরমোনের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়। ফলে ঘুম আসতে একেবারেই সময় লাগে না।

৫. ক্যান্সারের মতো রোগকে দূরে রাখে:

৫. ক্যান্সারের মতো রোগকে দূরে রাখে:

আমাদের দেশে প্রতি বছর যে হারে ক্যান্সার রোগের প্রকোপ বাড়ছে, তাতে কুমড়ো খাওয়ার প্রয়োজনও যে বেড়েছে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কারণ এই সবজিটির অন্দরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা দেহের অন্দরে থাকা ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানদের বের করে দেয়। ফলে ক্যান্সার সেলের জন্ম নেওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়।

৬. হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে:

৬. হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে:

হাওয়ার্ড ইউনির্ভাসিটির গবেষকদের করা এক পরীক্ষায় দেখা গেছে শরীরে ডায়াটারি ফাইবারের মাত্রা বাড়তে শুরু করলে কোনও ধরনের করনারি আর্টারি ডিজিজে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রায় ৪০ শতাংশ কমে যায়। সেই সঙ্গে হঠাৎ করে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনাও হ্রাস পায়। তাই তো এই উপাদানটির মাত্রা যাতে শরীরে কোনও কম না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখা একান্ত প্রয়োজন। আর সেই কারণেই তো নিয়মিত কুমড়ো খাওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। কারণ এই সবজিতে যে পরিমাণে ফাইবার রয়েছে, তা হার্টের খেয়াল রাখার জন্য যথেষ্ট।

৭. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়:

৭. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়:

নিয়মিত কুমড়ো খেলে শরীরে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মাত্রা বাড়তে শুরু করে। এই দুটি উপাদান দেহের রোগ প্রতিরোধী সিস্টেমকে এতটা শক্তিশালী করে তোলে যে ছোট-বড় কোনও রোগই ধারে কাছে ঘেঁষার সুযোগ পায় না। শুধু তাই নয়, কোনও ধরনের সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়।

Read more about: রোগ শরীর
English summary

নানা পদের স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি শরীরকে চাঙ্গা রাখতেও এই সবজিটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। কিভাবে জানেন কি?

A cup of cubed pumpkin contains almost twice the recommended daily intake of vitamin A, which promotes good vision, especially in dim light, according to the National Institutes of Health. It has also been found to slow the decline of retinal function in those with retinitis pigmentosa, a degenerative eye disease that can lead to blindness, according to researchers from Harvard. Bonus: Vitamin A also helps form and maintain healthy skin, teeth and bones.
Story first published: Monday, January 15, 2018, 15:23 [IST]
X
Desktop Bottom Promotion