For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

লবঙ্গ খেলেই রোগেদের খেল খতম!

১৪ শতকের মাঝামাঝি সময়। তুমুল লড়াই চলছে দেশে দেশে। যুদ্ধের কারণটা যদিও বড়ই আজব! লবঙ্গের চাষ ইন্দোনেশিয়ার যে দ্বীপে হয়, সেখানকার অধিকার কোন দেশের হাতে থাকবে, সেই নিয়েই বেঁধেছে তুমুল লড়াই।

By Nayan
|

১৪ শতকের মাঝামাঝি সময়। তুমুল লড়াই চলছে দেশে দেশে। যুদ্ধের কারণটা যদিও বড়ই আজব! লবঙ্গের চাষ ইন্দোনেশিয়ার যে দ্বীপে হয়, সেখানকার অধিকার কোন দেশের হাতে থাকবে, সেই নিয়েই বেঁধেছে তুমুল লড়াই। কয়েক বছর রক্ত ঝরার পর অবশেষে বিজয় পাতকা হাতে সেই দ্বীপে পৌঁছালেন ডাচেরা। আর সেই থেকে লবঙ্গের উপর অধিকার স্থাপিত হল ইউরোপের এই দেশটির। পরবর্তি সময়ে পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়েছিল ঠিকই। কিন্তু আজও লবঙ্গের গুরুত্ব কমেনি একটুও। আর কেন কমবেই বা বলুন! একটা লবঙ্গ মুখে পরতেই যে হাজারো রোগের নিকেশ ঘটে যায়। এমন মহৌষধিকে কাছে রাখতে চাইবে না, এমন মুর্খ কেউ আছে নাকি!

ন্যাশনাল নিউট্রিয়েন্ট ডেটাবেস ফর স্ট্যান্ডার্ড রেফারেন্স-এর নথি অনুসারে ১০০ গ্রাম লবঙ্গে প্রায় ৬৫ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ৬ গ্রাম প্রোটিন, ১৩ গ্রাম লিপিড এবং ২ গ্রাম চিনি রয়েছে। সেই সঙ্গে রয়েছে ফাইবার, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম, সোডিয়াম, জিঙ্ক, ভিটামিন সি, থিয়েমিন, ভিটামিন বি৬,বি১২,এ,ই,ডি এবং কে। এই সবকটি উপাদানই নানাভাবে শরীরের গঠনে কাজে লেগে থাকে। যেমন...

১. ডায়াবেটিস রোগকে নিয়ন্ত্রণে রাখে:

১. ডায়াবেটিস রোগকে নিয়ন্ত্রণে রাখে:

বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে লবঙ্গের অন্দরে থাকা একাধিক উপকারি উপাদান শরীরের অন্দরে প্রবেশ করার পর ইনসুলিনের কর্মক্ষমতা বাড়াতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়।

২. আর্থ্রাইটিসের যন্ত্রণা কমায়:

২. আর্থ্রাইটিসের যন্ত্রণা কমায়:

লবঙ্গে উপস্থিত অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি প্রপাটিজ এই ধরনের হাড়ের রোগের প্রকোপ কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এক্ষেত্রে এক কাপ লবঙ্গ চা বানিয়ে কয়েক ঘন্টা ফ্রিজে রেখে দিতে হবে। তারপর সেই ঠান্ডা চা ব্যথা জায়গায় কম করে ২০ মিনিট লাগালে দেখবেন যন্ত্রণা একেবারে কমে গেছে। প্রসঙ্গত, জয়েন্ট পেন কমানোর পাশাপাশি পেশির ব্যথা এবং ফোলা ভাব কমাতেও এই ঘরোয়া ঔষধিটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৩. জ্বরের চিকিৎসায় কাজে লাগে:

৩. জ্বরের চিকিৎসায় কাজে লাগে:

লবঙ্গে থাকা ভিটামিন কে এবং ই, রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে এতটাই শক্তিশালী করে দেয় যে শরীরে উপস্থিত ভাইরাসেরা সব মারা পরে। ফলে ভাইরাল ফিবারের প্রকোপ কমতে সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার হয়ে যাওয়ার পর সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও কমে যায়।

৪. দাঁতের ব্যাথা কমায়:

৪. দাঁতের ব্যাথা কমায়:

লবঙ্গতে উপস্থিত অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান শরীরে প্রবেশ করার পর এমন কিছু বিক্রিয়া করে যে নিমেষে দাঁতের যন্ত্রণা কমে যায়। তাই তো এবার থেকে দাঁতে অস্বস্তি বা মাড়ি ফোলার মতো ঘটনা ঘটলে একটা লবঙ্গ মুখে ফেলে দেবেন। দেখবেন সঙ্গে সঙ্গে উপকার পাবেন।

৫. হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে:

৫. হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে:

লাঞ্চ বা ডিনারের আগে লবঙ্গ দিয়ে বানানো এক কাপ গরম গরম চা খেলে হজমে সহায়ক অ্যাসিডের ক্ষরণ বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে পেটের দিকে রক্ত প্রবাহেরও উন্নতি ঘটে। ফলে খাবার হজম হতে সময় লাগে না। তাই যাদের কম ঝাল-মশলা দেওয়া খাবার খেলেও বদ-হজম হয়, তারা লবঙ্গ চা পান করে একবার দেখতে পারেন। এমনটা করলে উপকার যে মিলবে, তা হলফ করে বলতে পারি।

৬. সাইনাস ইনফেকশনের প্রকোপ কমায়:

৬. সাইনাস ইনফেকশনের প্রকোপ কমায়:

মাঝে মধ্য়েই কি সাইনাসের আক্রমণ সহ্য করতে হয়? তাহলে তো বলতে হয় এই প্রবন্ধটি আপনার জন্যই লেখা। কারণ লবঙ্গ যে এই ধরনের সমস্যা দূর করতে কাজে আসতে পারে, সে বিষয়ে কি জানা ছিল? আসলে এই প্রকৃতিক উপাদানটির শরীরে উপস্থিত ইগুয়েনাল নামে একটি উপাদান সাইনাসের কষ্ট কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই কারণেই তো আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞরা আজও এই ধরনের অসুখের চিকিৎসায় লবঙ্গের উপরই ভরসা করে থাকেন।

৭. ত্বকের সংক্রমণ সারায়:

৭. ত্বকের সংক্রমণ সারায়:

এবার থেকে কোনও ধরনের ত্বকের সংক্রমণ হলেই চোখ বুজে ক্ষতস্থানে লবঙ্গ চা লাগাতে ভুলবেন না। এমনটা করলে দেখবেন কষ্ট কমতে একেবারে সময়ই লাগবে না। আসলে লবঙ্গে উপস্থিত ভোলাটাইল অয়েল শরীরে উপস্থিত টক্সিক উপাদানদের বের করে দেয়। সেই সঙ্গে জীবাণুদেরও মেরে ফেলে। ফলে সংক্রমণজনিত কষ্ট কমতে সময় লাগে না।

৮. লিভারের কর্মক্ষমতা বাড়ায়:

৮. লিভারের কর্মক্ষমতা বাড়ায়:

লবঙ্গে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট লিভারের অন্দরে জমতে থাকা টক্সিক উপাদানদের বের করে দেয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই লিভারের কর্মক্ষমতা বাড়তে শুরু করে। প্রসঙ্গত, এই প্রকৃতিক উপাদানটিতে একাধিক হেপাটোপ্রটেকটিভ প্রপাটিজও রয়েছে, যা এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

Read more about: রোগ শরীর
English summary

আজও লবঙ্গের গুরুত্ব কমেনি একটুও। আর কেন কমবেই বা বলুন! একটা লবঙ্গ মুখে পরতেই যে হাজারো রোগের নিকেশ ঘটে যায়। এমন মহৌষধিকে কাছে রাখতে চাইবে না, এমন মুর্খ কেউ আছে নাকি!

According to the National Nutrient Database for Standard Reference, the nutrients found in 100 grams of cloves include 65 grams of carbohydrate, 6 grams of protein, 13 grams of total lipids, 2 grams of sugars, 274 kcal of energy and 33 grams of dietary fibers. Minerals in cloves include calcium, iron, magnesium, phosphorous, potassium, sodium, and zinc. The vitamins found in them include vitamin C, thiamin, riboflavin, niacin, folate, vitamin B6, vitamin B12, vitamin A, vitamin E, vitamin D, and vitamin K.
Story first published: Wednesday, December 27, 2017, 17:34 [IST]
X
Desktop Bottom Promotion