Just In
- 2 hrs ago প্রচণ্ড গরমে শরীর ঠাণ্ডা রাখতে খান সুপারফুড চিয়া সিড!
- 4 hrs ago কাঠফাটা গরমে শরীরে জলের ঘাটতি পূরণ করবে এই ফলগুলি!
- 6 hrs ago নতুন কাজে সাফল্য বৃষ ও কর্কটের, ৫ রাশির জন্য শুভ আজকের দিন, জানতে দেখুন রাশিফল
- 22 hrs ago অতিরিক্ত দই, বিস্কুট খাচ্ছেন? আপনার ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়াতে পারে, সতর্ক থাকুন
Don't Miss
মেয়েরা এবং মায়েরা সুস্থ জীবন পেতে চান কি?
কয়েকদিন আগে একটি তথ্য সামনে এসেছে, যাতে বলা হয়েছে ১৯৯০ সালের পর থেকে সারা বিশ্বে মেয়েদের শারীরিক অবস্থার মারাত্মক অবনতি ঘটেছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে মৃত্যুহারও!
কয়েকদিন আগে একটি তথ্য সামনে এসেছে, যাতে বলা হয়েছে ১৯৯০ সালের পর থেকে সারা বিশ্বে মেয়েদের শারীরিক অবস্থার মারাত্মক অবনতি ঘটেছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে মৃত্যুহারও! এমন পরিস্থিতিতে যদি সুস্থভাবে বাঁচতে চান, তাহলে মেয়েরা এবং মায়েরা দয়া করে এই প্রবন্ধটি পড়তে ভুলবেন না যেন!
ইমিয়া ইউনিভার্সিটির গবেষকদের করা এই গবেষণায় দেখা গেছে ৯০-এর দশের পর থেকে যেখানে কম বয়সি পুরুষদের শারীরিক অবস্থার উন্নতি ঘটেছে, সেখানে মেয়েদের শারীরিক অবনতি ঘটেছে চোখে পরার মতো। ফলে ২৫-৩৪ বছর বয়সি মেয়েদের মধ্যে বেড়েছে মৃত্যুহার! প্রসঙ্গত, ১৯৯০ সালে যেখানে মেয়েদের মধ্যে অসুস্থতার হার ছিল মাত্র ৮.৫ শতাংশ, সেখানে এই হার ২০১৪ পেরতে না পেরতে প্রায় ২০ শতাংশতে এসে দাঁড়িয়েছে।
এখন প্রশ্নটা হল মহিলাদের শারীরিক অবস্থার অবনতি এতটা মাত্রায় হওয়ার পিছনে কী কারণ আছে? এই উত্তর খুঁজতে হওয়া একাদিক কেস স্টাডিতে দেখা গেছে ছেলেরা নিজেদের স্বাস্থ্যের বিষয়ে যতটা সচেতন, মেয়েরা এই বিষয়ে বড়ই উদাসীন। তাঁরা সামান্যতম বিষয়ও নজর রাখতে চান না। ফলে স্বাভাবিকভাবেই মেয়েদের মধ্যে ওবেসিটি, ডায়াবেটিস, অ্যাংজাইটি এবং স্ট্রেসের মতো মারণ রোগে আক্রান্ত হওয়ার হার বেশি। আর যেমনটা আপনাদের সকলেরই জানা আছে যে উপরে আলোচিত রোগগুলির কোনও যদি শরীরে এসে বাসা বাঁধে, তা আয়ু কমতে সময় লাগে না।
এমন পরিস্থিতিতে মেয়েদের সুস্থভাবে বাঁচার কি কোনও উপায় নেই? অবশ্যই আছে! তবে তার জন্য কতগুলি নিয়ম মেনে চলা জরুরি। যেমন...
১. ডায়াটের দিকে নজর দিতে হবে:
মেয়েদের শরীরে ছেলেদের তুলানায় অনেক বেশি জটিল হয়। তাই তো মেয়েদের বিশেষ করে নিজেদের শরীরের খেয়াল রাখা উচিত। আর এমনটা করতে গিয়ে প্রথম পদক্ষেপই হবে ডায়েটের দিকে নজর দেওয়া। এক্ষেত্রে প্রতিদিনের ডায়েটে ফল, সবুজ শাকসবজির পাশপাশি ডিম, মাছ এবং মাংসের মতো প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার থাকতে হবে। সেই সঙ্গে খেয়াল রাখতে হবে প্রতিদিন নিয়ম করে সব ধরনের ভিটামিন, মিনারেল এবং ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। এমনটা যদি করতে পারেন, তাহলে শরীর নিয়ে কোনও চিন্তাই থাকবে না। প্রসঙ্গত, ৪০-এর পর থেকে মহিলাদের শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হতে শুরু করে। ফলে নানাবিধ হাড়ের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। তাই এই সময় প্রতিদিন নিয়ম করে দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার খেতেই হবে। না হলে কিন্তু বেজায় বিপদ!
২. শরীরচর্চা মাস্ট:
একাধিক কেস স্টাডিতে দেখা গেছে শরীরচর্চার অভাবের কারণে মহিলাদের মধ্যে একদিকে যেমন বাড়ছে হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা, তেমনি বাড়ছে ওবেসিটি, ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপের মতো রোগের ফাঁদে পরার সম্ভাবনাও। আর যেমনটা আপনারা সকলেই জানেন যে এই সবকটি রোগই কিন্তু ধীরে ধীরে শরীরকে শেষ করে দেয়। তাই নিয়ম করে শরীরচর্চা করার অভ্যাস করতে হবে। এমনটা করলে ভয় অনেকটাই কমবে। প্রসঙ্গত, যাদের নিয়মিত শরীরচর্চা করার সময় নেই, তারা নিয়ম করে ঘর মোছা, বাসন মাজা এবং কাপড় কাচার মতো কাজগুলি করবেন। তাহলে আর আলাদ করে এক্সারসাইজ করার প্রয়োজন পরবে না।
৩. মদ্যপান এবং ধূমপান কমাতে:
যেমনটা একেবারে প্রথমেই আলোচনা করেছি যে মেয়েদের শরীর একেবারেই ছেলেদের মতো নয়। তাই যে অত্যাচারগুলি ছেলেরা নিজেদের শরীরে উপর করতে পারে, সেই একই কাজ কিন্তু মেয়েদের পক্ষে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি ডেকে আনতে পারে। এই কারণেই তো মেয়েদের মদ্যপান এবং ধূমপান করতে মানা করেন চিকিৎসকেরা। আর যদি একান্তই করতে হয়, তাহলে তা করতে হবে একেবারে অল্প মাত্রায়।
৪. স্ট্রেসকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে:
মেয়ে-মা-ঠাকুমা, জীবনের যে ভূমিকাতেই থাকুন না কেন, মানসিক চাপকে একেবারে ঘাড়ে উঠতে দেওয়া চলবে না। কারণ ডায়াবেটিসের মতো স্ট্রেসও হল এক ধরনের সাইলেন্ট কিলার। তাই তো একবার যদি এ রোগ শরীরে প্রবেশ করে যায়, তাহলে ধীরে ধীরে সব শেষ করে দেয়। তাই যখনই ক্লান্ত লাগবে, মনে হবে আর স্ট্রেস নিতে পারছেন না, তখনই সব কিছু ছেড়ে কিছুদিন কোথাও থেকে একটু ঘুরে আসবেন। প্রয়োজনে বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে সময় কাটাবেন। দেখবেন মানসিক চাপ আর ফনা তুলতে পারবে না। প্রসঙ্গত, স্ট্রেস কমাতে প্রাণায়ামেরও কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। তাই নিয়ম করে এই আসনটি করলেও দারুন উপকার পেতে পারেন।
৫. ব্রেস্ট ক্যান্সার থেকে সাবধান:
সরকারি এবং বেসরকারি নানা রিপোর্ট থেকে একটা কথা স্পষ্ট হয়ে গেছে যে জীবনযাত্রার কারণে হোক বা পরিবেশ গত কারণে, গত কয়েক দশকে সারা বিশ্বেই ব্রেস্ট ক্যান্সারের প্রকোপ চোখে পরার মতো বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই দয়া করে নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর এই বিষয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না যেন! কারণ এই মারণ রোগকে যদি আটকাতে হয়, তাহলে সচেতন হতেই হবে। কারণ একমাত্র রোগ সম্পর্কিত সচেতনতাই পারে মারাত্মক কোনও ক্ষতি হওয়ার আগে পরিস্থিতিকে সামলে নিতে!