Just In
শক্তি বাড়িয়ে জীবনলাভ!
দীর্ঘদিন সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে পারাটা কি সম্ভব? উত্তর হল, একেবারে সম্ভব! তবে তার জন্য নিয়ম করে প্রতিদিন রতে হবে স্ট্রেন্থ বেসড এক্সারসাইজ।
বাঁচা-মরা কারও হাতে নেই। তবু এই নীল গ্রহ ছেড়ে যাওয়ার ইচ্ছা যেন কিছুতেই মনে আসে না। শরীর ভঙাতে চাইলে ভাঙুক। তবু যেন বাঁচার ইচ্ছায় কোন ঘাটতি চোখে পরে না। আর কেন পরবেই বা বালুন! কত কিছু দেখার আছে এই গ্রহে, কত কিছু অনুভব করার আছে। জানি এক জীবনে সব করে ওঠা সম্ভব নয়। তবু যতটা সম্ভব...
এমন ভবনা দশের মধ্যে নজনেরই মনের মণিকটায় যত্নে জমতে থাকে। তাই তো হাজারো কষ্টের মধ্যেও আমরা বাঁচার গান গাই। এখন প্রশ্ন হল দীর্ঘদিন সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে পারাটা কি সম্ভব? উত্তর হল, একেবারে সম্ভব! তবে তার জন্য নিয়ম করে প্রতিদিন স্ট্রেন্থ বেসড এক্সারসাইজ করতে হবে। তাহলেই দেখবেন কেল্লাফতে!
সম্প্রতি একটি গবেষণা পত্র প্রকাশিত হয়েছে, তাতে এমনটা দাবী করা হয়েছে যে নিয়মিত স্ট্রেন্থ এক্সারসাইজ করলে শরীরের ভিতরে-বাইরে শক্তি এতটাই বেড়ে যায় যে স্বাভাবিকভাবেই রোগ মুক্ত জীবনের পথ প্রশস্ত হয়। ফলে আয়ু চোখে পরার মতো বৃদ্ধি পায়। প্রসঙ্গত, ২ বছর ধরে প্রায় ৮০,৩০৬ জনের উপর চলা এই গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত নিজের শরীরের ওজনকে কাজে লাগিয়ে যদি টাক জাম্প, মাউন্টেন ক্লাইম্বার, পলিমেট্রিক পুশ আপ, স্টেয়ার ক্লাইম্ব, বার্পিস, প্লাঙ্ক, ওয়াল সিট, লাঞ্জ, স্কোয়াট এবং কাফ রাইজের মতো স্ট্রেন্থ এক্সারসাইজ করা যায়, তাহলে শরীরের প্রতিটি পেশি যেমন শক্তিশালী হয়ে ওঠে, তেমনি সারা দেহে রক্তার প্রবাহে উন্নতি ঘটে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই শরীরের ক্ষমতা এতটা বৃদ্ধি পায় যে নানাবিধ জটিল রোগ ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না।
স্ট্রেন্থ এক্সারসাইজ শুরু আগে শরীরের সার্বিক শক্তি কিছুটা হলেও বাড়িয়ে নেওয়াটা একান্ত প্রয়োজন। আর এই কাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারে কতগুলি খাবার। এই প্রবন্ধে আলোচিত খাবারগুলিতে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা পেশির গঠনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
১. ডিম:
শরীরের শক্তি বাড়াতে প্রোটিনের কোনও বিকল্প নেই। তাই তো ডিমের মতো প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার নিয়মিত খেতে হবে। প্রসঙ্গত, ডিম শুধু শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি দূর করে না, সেই সঙ্গে হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতিতেও বিশেষ ভূমিকা নেয়। আর যেমনটা আপনাদের সকলেরই জানা আছে যে হার্ট যদি সুস্থ থাকে, তাহলে আয়ু কমে যাওয়ার আশঙ্কা একেবারেই থাকে না বললেই চলে।
২. উপকারি ফ্যাটের ঘাটতি যেন না হয়:
শরীরে জমে থাকা অতিরিক্ত মেদ ঝড়িয়ে ফেলে ওজন কমাতে সাহায্য করে উপকারি ফ্য়াট। সেই সঙ্গে হজম ক্ষমতার উন্নতিতে এবং সার্বিকভাবে শরীরের ক্ষমতা বাড়াতেও এই উপদানটি বিশেষ ভূমিকা নেয়। প্রসঙ্গত, অ্যাভোকাডো এবং অলিভ অয়েলে প্রচুর পরিমাণে উপকারি ফ্যাট থাকে। তাই তো শরীরেকে সুস্থ রাখতে এবং পেশিকে শক্তিশালী করে তুলতে এই খাবারগুলির খাওয়ার প্রয়োজন রয়েছে।
৩. হোল গ্রেন ফুড খেতে হবে:
নিয়মিত গম, বাজরা, জোয়ার, বার্লি, রাগি, ওটস এবং কর্নের মতো হোল গ্রেন খাবার খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। কারণ এই ধরনের খাবারগুলি শুধু আমাদের শরীরে শক্তি বৃদ্ধি করে না। সেই সঙ্গে ভিটামিন এবং মিনারেলের ঘাটতি দূর করার মধ্যে দিয়ে শরীরকে রোগমুক্ত রাখতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রসঙ্গত, হোল গ্রেন খাবারে প্রচুর মাত্রায় ফাইবার থাকে, যা হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটানোর মধ্যে দিয়ে নানাবিধ পোটের সমস্যা কমাতে এবং ওজন হ্রাসে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৪. জল:
আমাদের শরীরের সিংহভাগই জল দিয়ে তৈরি। তাই এই উপাদানটির ঘাটতি যাতে কোনও সময় না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখা একান্ত প্রয়োজন। প্রসঙ্গত, স্ট্রেন্থ এক্সারসাইজ করার সময় ঘামের মধ্যে প্রচুর মাত্রায় জল বেরিয়ে যায়। সেই কারণেই তো এমন ধরনের শরীরচর্চা করার পর শরীরে জলের ঘাটতি দূর করতে এবং পেশির গঠনকে ত্বরান্বিত করতে প্রচুর মাত্রায় জল খাওয়ার পরামর্শ করা হয়। এক্ষেত্রে আরেকটি বিষয় জেনে রাখা জরুরি যে শরীরে উপস্থিত টক্সিক উপাদানদের বের করে দিতেও জলের কোনও বিকল্প হয় না। তাই তো দিনে পর্যাপ্ত পরিমাণ জল খেতে ভুলবেন না কখনও!
৫. মাছ:
ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড এবং উপকারি ফ্যাটে ভরপুর থাকার কারণে প্রতিদিন যদি মাছ খাওয়াটা জরুরি। এমনটা করলে শরীরের ক্ষমতা চোখে পরার মতো বৃদ্ধি পায়। আসলে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড পেশির গঠনে সাহায্য করে, সেই সঙ্গে উপকারি ফ্যাট সার্বিকভাবে শরীরের সচলচতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা নেয়। তাই তো স্ট্রেন্থ এক্সারসাইজ করার সময় প্রতিদিনের ডায়েটে মাছকে রাখতে ভুলবেন না যেন!