For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

তাড়াতাড়ি মরতে না চাইলে মোবাইল ফোন থেকে সাবধান!

প্রতিদিন একটা একটা করে প্রাণ কেরে নিচ্ছে স্মার্ট ফোন। তবু আমরা চোখ বুঝে সেই ফাঁদে ঝাপিয়ে চলেছি। তাই তো ভয় হয়, আমাদের চোখ খুলতে খুলতে না অনেক দেরি হয়ে যায়।

By Nayan
|

প্রতিদিন একটা একটা করে প্রাণ কেরে নিচ্ছে স্মার্ট ফোন। তবু আমরা চোখ বুঝে সেই ফাঁদে ঝাপিয়ে চলেছি। তাই তো ভয় হয়, আমাদের চোখ খুলতে খুলতে না অনেক দেরি হয়ে যায়। না হলে একটা আস্ত প্রজন্ম অসুস্থতার অভিশাপে জর্জরিত হয়ে পরবে, আর আমাদের কিছু করার থাকবে না।

হঠাৎ করে কেন এমন কথা বলছি, তাই ভাবছেন নিশ্চয়? আসলে সম্প্রতি একটি স্টাডি প্রকাশিত হয়েছে, তাতে দেখা গেছে দীর্ঘ সময় ধরে মোবাইলের সঙ্গে আঠার মতো লেগে থাকলে মানসিক অবসাদ, অ্যাংজাইটি এবং ইনসমনিয়ার মতো রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। আর এই তিনটি রোগের কোনওটি যদি একবার আক্রমণ করে বসে, তাহলে লেজুড় হয় আরও সব মারণ রোগ। ফলে স্বাভাবিকভাবেই জীবনের মান কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে আয়ুও কমে যায় চোখে পরার মতো। তাই কম বয়সেই যদি নানা রোগে জীবনে জর্জরিত করতে না চান, তাহলে সাবধান হাওয়ার সময় এসে গেছে বন্ধুরা।

দক্ষিণ কোরিয়ার কেরিয়া ইউনিভার্সিটির গবেষকদের করা এই গবেষণায় দেখা গেছে অনেক সময় ধরে মোবাইল ব্যবহার করলে ব্রেনের অন্দরে নানা নেতিবাচক পরিবর্তন হতে থাকে। ফলে নানাবিধ ব্রেন ডিজিজে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা যেমন বৃদ্ধি পায়, তেমনি ডিপ্রশনের মতো মারণ রোগও ঘারে চেপে বসে। তবে এখানেই শেষ নয়, মোবাইল ফোনের অ্যাডিকশনের কারণে শরীরের আরও অনেক ধরনের ক্ষতি হয়ে থাকে। যেমন...

১.পিঠের পেশীরা দুর্বল হয়ে পরে:

১.পিঠের পেশীরা দুর্বল হয়ে পরে:

ব্রিটিশ বিজ্ঞানীদের করা এক গবেষণায় দেখা গেছে মোবাইল ফোন ব্যবহার করার সময় আমাদের বডি পসচার একেবার সঠিক পজিশনে থাকে না। বিশেষত পিঠ। ফলে এমনভাবে দীর্ঘ সময় থাকার কারণে স্বাভাবিকভাবেই পিঠের পেশীর কর্মক্ষমতা কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে ব্যাক পেন সহ আরও নানাবিধ সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে।

২. নার্ভের মারাত্মক ক্ষতি হয়:

২. নার্ভের মারাত্মক ক্ষতি হয়:

বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে স্মার্ট ফোন যে শুধু আমাদের শরীরের উপরই বিরূপ প্রভাব ফেলে এমন নয়, সেই সঙ্গে মস্তিষ্কের অন্দরে একাধিক নার্ভের ক্ষতি সাধনও করে থাকে। যে কারণে মারাত্মক মাথা যন্ত্রণা এবং মাইগ্রেনের মতো সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। সেই সঙ্গে অসিপিটাল নিউরোলজিয়া নামক এক ধরনের ব্রেন ডিজিজে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায়। প্রসঙ্গত, এই রোগটির চিকিৎসা কিভাবে করা সম্ভব, তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। তাই অতিরিক্ত সাবধান থাকার প্রয়োজন রয়েছে। না হলে কিন্তু...!

৩. অ্যাংজাইটি এবং মানসিক অবসাদে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে:

৩. অ্যাংজাইটি এবং মানসিক অবসাদে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে:

নর্থওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটি-এর গবেষকদের করা এক পরীক্ষায় দেখা গেছে বেশি মাত্রায় মোবাইল ব্যবহার করলে মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য খারাপ হতে শুরু করে। ফলে মানসিক অবসাদ ধীরে ধীরে গ্রাস করে ফেলে। সেই সঙ্গে অ্যাংজাইটি অ্যাটাকের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায়।

৪. স্ট্রেস লেভেল মাত্রা ছাড়ায়:

৪. স্ট্রেস লেভেল মাত্রা ছাড়ায়:

পরিসংখ্যান ঘাঁটলেই জানতে পারবেন গত এক দশকে স্ট্রেসের কারণে কীভাবে নানাবিধ মারণ রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পয়েছে। এমন পরিস্থিতি মাত্রাতিরিক্ত মোবাইল ফোনের ব্যবহার পরিস্থিতিকে যে আরও জটিল করে তুলেছে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কারণ ২০১২ সালে হওয়া এক গবেষণায় দেখা গেছে হোয়াটস অ্যাপ বা ম্যাসেঞ্জারে কোনও মেসেজ আসার সঙ্গে সঙ্গে তার উত্তর দেওয়া, বা সারাক্ষণ ফেস বুকে পরে থাকার কারণে স্ট্রেস লেভেল বাড়তে শুরু করে।

৫. ঘুম উড়ে যায়:

৫. ঘুম উড়ে যায়:

মোবাইল ফোন আরেকভাবে শরীরের মারাত্মক ক্ষতি করে থাকে। কিভাবে? বেশিক্ষণ ফোন ব্যবহার করলে ঘুম কমতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই মস্তিষ্ক এবং শরীর ঠিক মতো আরাম পেতে পারে না। আর এমনটা হতে থাকলে ধীরে ধীরে মস্তিষ্ক এবং শরীরের কর্মক্ষমতা কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে ইনসমনিয়ার মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায়। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি একটি কেস স্টাডি প্রকাশিত হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে ১৮-২৯ বছর বয়সীদের মধ্যে প্রায় ৬৩ শতাংশই মোবাইল সঙ্গে করে ঘুমতে যায়। এর থেকেই প্রমাণিত হয় যে কিভাবে মোবাইল ফোন ঘুমের ব্যাঘাতের কারণ হয়ে উঠছে।

৬. সংক্রমণের আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়:

৬. সংক্রমণের আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়:

অ্যারিজোনা ইউনির্ভাসিটির বিশেষজ্ঞদের করা এক গবেষণায় দেখা গেছে টয়লেট সিটের থেকে প্রায় ১০ গুণ বেশি ব্যাকটেরিয়া থাকে মোবাইল ফোনে। ফলে এমন জীবাণুভর্তি হ্যান্ডসেট সারাক্ষণ ব্যবহার করার কারণে আমাদের হাতে নানাবিধ ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া বাসা বাঁধতে শুরু করে, যা কোনওভাবে মুখে অন্দরে পৌঁছে গেলেই খেল খতম! তাই যদি সুস্থ থাকতে চান, তাহলে প্রয়োজন অতিরিক্ত ফোনের ব্যবহার বন্ধ করুন।

Read more about: রোগ শরীর
English summary

প্রতিদিন একটা একটা করে প্রাণ কেরে নিচ্ছে স্মার্ট ফোন। তবু আমরা চোখ বুঝে সেই ফাঁদে ঝাপিয়ে চলেছি। তাই তো ভয় হয়, আমাদের চোখ খুলতে খুলতে না অনেক দেরি হয়ে যায়। না হলে একটা আস্ত প্রজন্ম অসুস্থতার অভিশাপে জর্জরিত হয়ে পরবে, আর আমাদের কিছু করার থাকবে না।

Prolonged use of smartphones may significantly increase the risk of depression, anxiety and insomnia among teenagers, a study warns.
Story first published: Monday, December 4, 2017, 15:31 [IST]
X
Desktop Bottom Promotion